‘জাতিকে শেখ হাসিনা আর কত দেবেন’
প্রকাশ : ২১ মে ২০২২, ১৮:৩৯
![](https://mail.sahos24.com/templates/sahos-v2/images/sahosh.png)
![](/assets/news_photos/2022/05/21/image-76464.jpg)
‘জাতিকে শেখ হাসিনা আর কত দেবেন?’ বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে জাতির কাছে এ প্রশ্ন তুলে ধরেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) শনিবার (২১ মে) এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্তব্য করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যবর্তন দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “দেশে মাস র্যাপিড ট্রানজিট, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে, কর্ণফুলী ট্যানেল, রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা সমুদ্র বন্দরসহ গড়ে উঠছে আরও অনেক প্রকল্প। ‘একটা জাতিকে তিনি আর কি দেবেন?’ ১৯৭৫ এর পর থেকে এখন পর্যন্ত গত ৪৭ বছরে সবচেয়ে সৎ এবং সাহসী নেতা, দক্ষ প্রশাসক আর সফল কূটনৈতিক হলেন শেখ হাসিনা।”
এসময় সকলকে ১৩ বছর আগের বাংলাদেশ আর বর্তমান বাংলাদেশ মিলিয়ে দেখার আহবান জানান তিনি। পদ্মা সেতু নিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতুর স্বপ্ন আজ সত্যে পরিণত হয়েছে। জুন মাসের চন্দ্রদিপ পূর্ণিমা রাতে পদ্মা সেতু থেকে দাঁড়িয়ে বাংলার মানুষ পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে পাবে। আমরা আগামীকাল নেত্রীকে সামারি পাঠাবো। তার নির্ধারণ করা সময়ে আমরা পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করব।’ বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে কাদের বলেন, ‘দেশের মানুষ ভালো থাকলে মির্জা ফখরুলের মন খারাপ হয়। পদ্মা সেতু হয়ে গেছে। কর্ণফুলী টানেলও হয়েই গেছে। মেট্রোরেল হয়ে যাচ্ছে। বিএনপির জ্বালা শেখ হাসিনা সব করে ফেলল। আমরা কিছুই করতে পারলাম না। নির্বাচন আসছে। কী দেখিয়ে ভোট চাইবেন?’
বাংলাদেশকে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের সঙ্গে তুলনা করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যতদিন শেখ হাসিনা নেতৃত্বে থাকবে, ততদিন বাংলাদেশ- শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান কিংবা পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনা নয়, বাংলাদেশকে তুলনা করা হবে আমেরিকা, ইউরোপের সঙ্গে।’ এদিকে অপর এক বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বিএনপির নেতাদের সমালোচনা করে বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল অনেক বেশি কথা বলেন, যেগুলোর কোনো যুক্তি নেই।’ অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রেক্ষাপট এবং তৎকালীন সময়ের পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
পদ্মা সেতুর নামকরণ নিয়ে তিনি ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “পদ্মা সেতু কীভাবে নির্মিত হয়েছে সেটা আমরা জানি। এই সেতুর জন্য জননেতা ওবায়দুল কাদেরসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ‘শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু’ নাম প্রস্তাব করেছেন। আমি উসকানি দিতে চাই না, উৎসাহিত করছি। পদ্মা সেতু বঙ্গবন্ধু কন্যার নামে হওয়ার জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগেরও দায়িত্ব আছে। আমি শুধু এইটুকু বললাম। বাকি কী করবেন সেটা আপনার সিদ্ধান্ত নেবেন।”
এসময় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
সাহস২৪/টিএ/এসটি/এসকে.