রাষ্ট্রপতির কাছে ৬ দফা প্রস্তাব জানিয়েছে ওয়ার্কার্স পার্টি
প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২১, ২০:৪৩
![](https://mail.sahos24.com/templates/sahos-v2/images/sahosh.png)
![](/assets/news_photos/2021/12/28/image-74641.jpg)
নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে ছয় দফা প্রস্তাব পেশ করেছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে চলমান সংলাপের পঞ্চম দিনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেয় ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বাধীন ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। এসব কথা জানিয়েছেন প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন।
জয়নাল আবেদীন বলেন, এ সময় রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, রাজনীতিতে গুণগত মান নিশ্চিত করা না গেলে ভবিষ্যতে রাজনীতিবিদদের জন্য রাজনীতি করা কঠিন হয়ে যাবে।
ওয়াকার্স পার্টির সাথে সংলাপ শেষে রাষ্ট্রপতিকে উদ্ধৃত করে প্রেস সচিব বলেন, রাজনীতি হচ্ছে জনগণের কল্যাণের জন্য। এ ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোকে তৃণমূল পর্যায়ে সঠিক জনমত গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপ্রধান একটি স্বাধীন নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য ইসি গঠনের ব্যাপারে সকল রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা কামনা করেন।
আবেদীন জানান, প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার উদ্যোগ নেয়ার জন্য রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান। সেখানে তারা একটি স্বাধীন নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য ছয়টি প্রস্তাবনা রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করেন।
প্রতিনিধি দল বলেন, নির্বাচন কমিশন যাতে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণমুক্ত ও স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করা জরুরি।
নেতৃবৃন্দ বলেন, তারা বছরের শুরুতেই জরুরি ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের জন্য প্রস্তাব করেন। এছাড়া নির্বাচন কমিশন থেকে নির্বাচনী আইনসমূহের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করার ব্যাপারে তারা মতামত দেন।
ওয়ার্কার্স পার্টি নির্বাচন কমিশন গঠনে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের মতামত গ্রহণেরও প্রস্তাব দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম খান।
রাষ্ট্রপতি হামিদ গত ২০ ডিসেম্বর সংলাপের প্রথম দিনে সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সাথে আলোচনা করেন। এ পর্যন্ত মোট সাতটি রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চলমান সংলাপের অংশ হিসেবে আগামী ২৯ ডিসেম্বর বুধবার বিকেল চারটায় বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ সাথে এবং ইসলামী ঐক্যজোটের সাথে আলোচনা হবে ২৯ ডিসেম্বর বুধবার সন্ধ্যা ৬ টায়, ২ জানুয়ারি বৈঠক হবে গণফোরামের সাথে সন্ধ্যা ছয়টায় এবং বিকল্প ধারা বাংলাদেশ এর সাথে সন্ধ্যা সাতটায়, আগামী ৩ জানুয়ারি সংলাপ হবে গণতন্ত্রী পার্টির সাথে সন্ধ্যা ৭ টায় এবং বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সাথে সন্ধ্যা সাতটায়।
অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার তারিখ এখনো নির্ধারিত হয়নি।
এর আগে নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
রাষ্ট্রপতিকে সিইসি এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। গত কয়েকটি মেয়াদে রাষ্ট্রপতি 'সার্চ কমিটি'র সুপারিশের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন।
বর্তমান ইসির পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি। এ সময়ের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি নতুন কমিশন গঠন করবেন, যাদের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।