চতুর্থদিনের লকডাউন: রাজধানীতে বাড়ছে গাড়ির চাপ

প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০২১, ১৩:১৩

সাহস ডেস্ক

দেশে কয়েক দিন ধরে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা শতকের ঘর পেরিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন জেলা শহরগুলোতেও আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। স্থানীয়ভাবে লকডাউন দিয়েও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছিল না। এ পরিস্থিতে সরকার দেশে সাত দিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে। লকডাউন সফল করতে মাঠ পর্যায়ে নামানো হয়েছে পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যদের। কিন্তু অসচেতন জনগণের জন্য সরকারের এ উদ্যোগও যেন স্তিমিত হয়ে যাচ্ছে। সড়কে বাড়ছে ব্যাক্তিগত গাড়ির উপস্থিতি।

গত বৃহস্পতিবার (১জুলাই) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এ কঠোর লকডাউনে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যরা । জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হলে জরিমানা ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কিন্তু  গণপরিবহন না চললেও এই লকডাউনকে বৃদ্ধাআঙ্গুলি দেখিয়ে রাজধানীর সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ি।

আজ রবিবার (৪ জুলাই) সরকার ঘোষিত সাতদিনব্যাপী কঠোর লকডাউনের চতুর্থ দিন। সকাল থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে সরেজমিন দেখা গেছে বিভিন্ন অজুহাতে রাস্তায় বের হচ্ছে মানুষ। গলির মোড়ের চায়ের দোকানগুলো চলছে ফুটবল আড্ডা। নূন্যতম সামাজিক দূরত্বটুকু বজায় রাখছে না তারা, অনেকে মুখেই ছিল না মাস্ক। লকডাউন মানতে উদাসীন একটা ভাব লক্ষ্য করা গেছে সবার মাঝে।

লকডাউনে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়ায় রাজধানীতে প্রথম দিন ৫৫০, দ্বিতীয় দিন ৩২০ ও তৃতীয় দিন ৬২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তৃতীয় দিনে ৩৪৬ জনকে ১ লাখ ৬ হাজার ৪৫০ টাকা জরিমানাও করা হয়। অন্যদিকে লকডাউনের তৃতীয় দিনে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় সারাদেশে ২৭৭ জনকে প্রায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে র‌্যাব। সারাদেশে ৩১টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা এই অর্থদণ্ড প্রদান করেন।

কঠোর লকডাউন আপাতত চলবে ৭ জুলাই বুধবার পর্যন্ত। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হতে পারে। লকডাউনের সরকারি নির্দেশনায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হলে যেমন জেল-জরিমানা তেমনি বাইরে বের হলে মাস্ক পরে এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরার কথাও বলা হয়েছে। তাছাড়া জরুরি পরিষেবা ছাড়া বন্ধ রয়েছে সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সব প্রতিষ্ঠান।

রাজধানীর বিজয় সরণিতে দায়িত্বরত ডিএমপির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, গত তিন দিনের তুলনায় আজ গাড়ির চাপ একটু বেশি। কারণ অনেক প্রতিষ্ঠান আজ খোলা রয়েছে। আমরা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে যেতে দিচ্ছি না।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত