বাংলা জানেন না ইরফান, চলাফেরা করতেন ১২ দেহরক্ষী নিয়ে
প্রকাশ : ২৮ অক্টোবর ২০২০, ১৩:৫৭
![](https://mail.sahos24.com/templates/sahos-v2/images/sahosh.png)
![](/assets/news_photos/2020/10/28/image-66036.jpg)
৭০ জনের বেশি সদস্যের এক শক্তিশালী গ্যাং আছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে মোহাম্মদ এরফান সেলিমের। ওয়াকিটকি মাধ্যমে তাদের সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান যোগাযোগ করতেন। এছাড়াও নিজের চলাফেরার জন্য পাশে রাখতেন ১২ জন দেহরক্ষী।
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) তার দেহরক্ষী জাহিদুলের কাছ থেকে এমনই এক অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে র্যাব। অধিকাংশ দেহরক্ষীরই অবৈধ অস্ত্র আছে। ব্যবহারের চেয়ে ভয়ভীতি দেখানোর কাজে ব্যবহার করা হত।
র্যাব বলছে, এই অস্ত্রগুলো অবৈধ পথে বিদেশ থেকে নিয়ে আসা। দেহরক্ষীদের সঙ্গে নিয়মিত মদ পান করেন ইরফান। মদ খেয়ে মাতাল অবস্থাতেই মারধর করেন তিনি। ঘটনার পর বাসায় ফিরে নিজের ভুল বুঝতে পারেন ইরফান। এই মারধরের পরিণাম ভাল হবে না ভেবে আবার দাদা বাড়ীর চারতালায় নিজের বারে ঢুকে সারারাত মদ পান করেন। অভিযানের সময় র্যাবকে সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন এবং নিজের মদ পানের কথাও স্বীকার করেন।
র্যাব সুত্রে জানা যায়, ছোটবেলা থেকে কানাডায় থাকার কারণে বাংলা জানেন না ইরফান। র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালীন সময়ে আদালতের কাছে অপরাধের স্বীকারোক্তি লেখার সময় বাংলার চেয়ে ইংরেজি লিখতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করার কথা জানিয়েছিলেন ইরফান। কিন্তু ভ্রাম্যমাণ আদালত সেটাতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে বাংলা লিখতে অপারগতা প্রকাশ করেন এই কাউন্সিলর। পরবর্তীতে অন্য একজনের সহায়তায় বাংলা লেখা দেখে, নিজের অপরাধের স্বীকারোক্তিমূলক স্টেটমেন্ট দেন ইরফান।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, ইরফানের বাংলাটা খুব একটা ভালো না। সে ইংরেজি বলতে ও লিখতে অভ্যস্ত বলে মনে হয়েছে। আদালতের আদেশের নিজের নাম বাংলা লিখতেও অপারগতা প্রকাশ করেন।