বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনে উপনির্বাচন ১৪ জুলাই
প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০২০, ২০:১৭
![](https://mail.sahos24.com/templates/sahos-v2/images/sahosh.png)
![](/assets/news_photos/2020/07/04/image-63357.jpg)
বগুড়া-১ ও যশোর-৬ সংসদীয় আসনে উপনির্বাচনে ১৪ জুলাই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. আলমগীর। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ব্যালট পেপারে।
শনিবার (৪ জুলাই) বিকেলে এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব মো. আলমগীর।
মো. আলমগীর বলেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে করোনা মহামারির মধ্যেও ভোট করতে হচ্ছে। কারণ সংবিধানে ‘শ্যাল’ (বাধ্যবাধকতা বোঝায়) বলা আছে। কমিশন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। যেহেতু সংবিধানে বিধানটি স্পষ্ট তাই এখানে সুপ্রিম কোর্ট থেকে ব্যাখ্যা চাওয়ার প্রয়োজন নেই বলে মত এসেছে। ১৪ জুলাই এই দুটি আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে।
আরো দুটি উপ-নির্বাচন আছে, যেগুলোর ১৮০ দিন মেয়াদ ঘনিয়ে আসবে কিছুদিনের মধ্যে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে কমিশন হয়তো সেগুলোতেও নির্বাচনের সিদ্ধান্ত দেবে, যোগ বলেন মো. আলমগীর।
তিনি আরও বলেন, বগুড়া-১ আসনের ১৮০ দিন পূর্ণ হবে ১৫ জুলাই। আর যশোর-৬ আসনের ১৮০ দিন মেয়াদ পূর্ণ হবে ১৮ জুলাই।
ইসি সচিব বলেন, নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে নয় বরং ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। পুরো স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ভোটগ্রহণ হবে। এবং আরো বেশি সতর্ক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্বাচন নিয়ে পরবর্তীতে ডিটেইল জানানো হবে।
তিনি বলেন, শুধু নির্বাচনের ডেটটা স্থগিত করেছিলাম, তাই নতুন করে কারো ঢোকা বা বের হবার (প্রার্থী হওয়া বা প্রার্থিতা বাতিলের) সুযোগ নেই। এখন আর কেউ মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন না। যেখানে নির্বাচন স্থগিত হয়েছিল, সেখান থেকেই আবার শুরু হবে।
সংবিধান অনুযায়ী, জাতীয় সংসদের কোনো আসন শূন্য হলে শূন্য ঘোষণার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে ভোট করতে হয়। তবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার যদি মনে করেন কোনো দৈব দুর্বিপাকের কারণে এই সময়ে ভোট করা সম্ভব নয় তাহলে এই মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে ভোট করতে হবে। অর্থাৎ আসন শূন্য হওয়ার ১৮০ দিনের মধ্যে ভোট করতে হবে।
১৫ জুলাই বগুড়া-১ আসনে এবং ১৮ জুলাই যশোর-৬ আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সংবিধান নির্ধারিত ১৮০ দিন শেষ হতে যাচ্ছে।