মাজেদের ফাঁসি বাংলাদেশের জন্য স্বস্তির বিষয়: আইনমন্ত্রী
প্রকাশ : ১২ এপ্রিল ২০২০, ০৩:৪৯
![](https://mail.sahos24.com/templates/sahos-v2/images/sahosh.png)
![](/assets/news_photos/2020/04/12/image-61475.jpg)
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর হওয়াকে বাংলাদেশের জন্য স্বস্তির বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, এটা আমাদের জন্য স্বস্তির, পর্যায়ক্রমে সকল বঙ্গবন্ধুর সকল খুনিদের এনে রায় কার্যকর করা হবে।
শনিবার (১১ এপ্রিল) রাত ১২টা ১ মিনিটে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়। জল্লাদ শাজাহানের নেতৃত্বে একদল জল্লাদ ফাঁসি কার্যকর করেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, রায় কার্যকর হওয়া অবশ্যই স্বস্তির। বঙ্গবন্ধুর আরও এক খুনির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের মাধ্যমে জনগণের কাছে আমাদের যে প্রতিশ্রুতি ছিল, সেটা রক্ষা করা হয়েছে।
আনিসুল হক আরও বলেন, এরা হচ্ছে প্রকৃত খুনি, এদের সমাজে রাখাই উচিত নয়। আমরা মৃত্যুদণ্ড যে কার্যকর করতে পেরেছি, তা নিশ্চয়ই আমাদের জন্য এক বিরাট স্বস্তির বিষয়। আমি আগেও বলেছি, যারা (বঙ্গবন্ধুর খুনি) দেশের বাইরে আছেন আমরা তাদের সবার রায় (স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা মামলার রায়) দেশে ফিরিয়ে এনে কার্যকর করবো।
ফাঁসি কার্যকরের সময় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ঢাকা জেলা প্রশাসক, সিনিয়র জেল সুপার, জেল সুপার, ডেপুটি জেলার, সিভিল সার্জনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে মাজেদের মরদেহ নেয়ার জন্য ইতোমধ্যে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স রাখা হয়েছে। সিভিল সার্জন মাজেদের মৃত্যু নিশ্চিতের পর তাকে যে কোনো একটি অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যাওয়া হবে। ফাঁসি কার্যকরকে কেন্দ্র করে কেরানীগঞ্জের কারাগারের চারপাশে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে কারা সূত্র জানায়, প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতি বাতিল করে দেয়ার পর সেই চিঠিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছেছে। কারাবিধি অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করার কথা। তবে বৃহস্পতিবার রাতে শবেবরাতের কারণে ফাঁসি কার্যকর হয়নি। এ ছাড়া শুক্রবারও ফাঁসি কার্যকরের সম্ভাবনা কম। এর পরের দু’দিনের যে কোনো সময় ফাঁসি কার্যকর করা হতে পারে। তবে আজ ফাঁসি কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
এদিকে শুক্রবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মাজেদের স্ত্রী সালেহা, এক শ্যালক এবং এক চাচা-শশুরসহ পাঁচজন আবদুল মাজেদের সাথে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে দেখা করেছেন। তারা প্রায় ২৫ মিনিট মাজেদের সাথে সময় কাটিয়েছেন।
বুধবার মাজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করে দেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। এর ফলে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পথে আর কোনো বাধা রইল না। একই দিনে, বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে আদালত। ওই দিন কারাগার থেকে মাজেদকে আদালতে হাজির করার পর ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ এম হেলাল চৌধুরী পরোয়ানা জারি করেন। এছাড়া আদালত তাকে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়।
কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের একটি দল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে মিরপুর থেকে মাজেদকে গ্রেপ্তার করে। পরে মঙ্গলবার তাকে আদালতে হাজির করা হলে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এএম জুলফিকার হায়াত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।