ইউক্রেইন-রাশিয়া তুমুল লড়াই, পাল্টা আক্রমণ শুরু

প্রকাশ | ১০ জুন ২০২৩, ২০:৩৬

রয়টার্স
ইউক্রেইন-রাশিয়ার লড়াই

রাশিয়া এবং ইউক্রেইন দুপক্ষেই শুক্রবার তুমুল লড়াই চলার খবর জানিয়েছে। যুদ্ধপন্থি রুশ ব্লগাররা এ লড়াইয়ে ইউক্রেইনকে প্রথম জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা যাওয়ার কথা জানিয়েছে।

এর মধ্য দিয়ে রাশিয়ার ওপর ইউক্রেইনের দীর্ঘ প্রতিক্ষীত পাল্টা হামলা শুরু হওয়ার ইঙ্গিত মিলছে বলেই অভিমত ব্লগারদের।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “আমরা নিশ্চিত করেই বলতে পারি যে, ইউক্রেইনের আক্রমণ শুরু হয়ে গেছে।”

তবে ইউক্রেইনের সেনারা কোনও সেক্টরেই তাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি বলে দাবি করেন পুতিন। সেইসঙ্গে এ মুহূর্তে তুমুল লড়াইয়ে লিপ্ত রুশ সেনাদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “আমরা আপনাদের বীরত্ব দেখেছি। আপনাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।”

ইউক্রেইনের সামরিক বিশ্লেষক ওলেক্সান্দর মুসিয়েঙ্কো দেশটির এনভি রেডিও তে বলেছেন, ইউক্রেইন অগ্রগতি অর্জন করছে। তবে দক্ষিণ-পূর্ব জাপোরিজিয়া অঞ্চলে ইউক্রেইনের বড় ধরনের পাল্টা হামলা হওয়ার রুশ খবর নাকচ করে দিয়েছেন তিনি।

“তিনি বলেন এটি সত্য নয়। এ লড়াই পাল্টা হামলার মূল পর্ব নয়। এটি কেবল একটি ধাপ মাত্র। বড় কোনও যাত্রা নয়, যা থেকে আমরা জলদি কোনওকিছু আশা করতে পারি এবং শত শত কিলোমিটার স্বাধীন ভূখন্ড পেতে পারি।”

ইউক্রেইনের পাল্টা হামলায় আদতে পশ্চিমাদের প্রশিক্ষিত এবং অস্ত্রসজ্জিত শত শত সেনা যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র এ পাল্টা হামলার জন্য  শুক্রবার আকাশ প্রতিরক্ষা এবং গোলাবারুদসহ নিরাপত্তা সহায়তা হিসাবে অতিরিক্ত ১২০ কোটি ডলার তহবিল ঘোষণা করেছে।

রাশিয়া গতকয়েকমাসধরে ইউক্রেইনের পাল্টা আক্রমণের সম্ভাবনার মুখে নিজেদের প্রতিরক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছে। এ সপ্তাহের শুরু থেকেই তারা হামলার জবাব দিয়ে এসেছে। তবে কিইভ বলছে,তাদের মূল প্রচেষ্টা শুরু হতে এখনও বাকী।

ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের স্থলযুদ্ধবিষয়ক জ্যেষ্ঠ ফেলো বেন ব্যারি বলেছেন, ওরিখিভের দক্ষিণে তোকমাক এলাকার কাছে জার্মানির তৈরি লিওপার্ড ট্যাংক এবং যুক্তরাষ্ট্রের ব্র্যাডলি সাঁজোয়া যান দেখা যাওয়ার খবর জানিয়েছেন রুশ ব্লগাররা। এ খবর সত্য হলে পশ্চিমা অস্ত্রে সজ্জিত ইউক্রেইনের নতুন ব্রিগেডগুলোর লড়াই যোগ দেওয়ার এটিই হবে প্রথম প্রমাণ।

পাল্টা হামলা চালাতে কিইভের মোট ১২টি ব্রিগেডে ৫০ থেকে ৬০ হাজার সেনা প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে নয়টি ব্রিগেডে পশ্চিমা অস্ত্র সজ্জিত এবং কিইভের পশ্চিমা মিত্ররা তাদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।