যুক্তরাষ্ট্রে ফের বন্দুক হামলায় নিহত ৩

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় বন্দুক হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ১১ জন। স্থানীয় সময় শনিবার (৪ জুন) পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলাডেলফিয়ার একটি জনবহুল সড়কে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টের খবরে বলা হয়, গভীর রাতে ফিলাডেলফিয়ার কোলাহলপূর্ণ সাউথ স্ট্রিট এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় তিন জন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছে।

ফিলাডেলফিয়ার পুলিশের পরিদর্শক ডি.এফ. পেস সাংবাদিকদের বলেন,  ‘এ হামলায় ১৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। একটি ব্যস্ত রাস্তায় এই হামলা চালানো হয়। নিহত ব্যক্তিদের দুজন পুরুষ এবং একজন নারী রয়েছেন। হাসপাতালে আনার পরে তাদের মৃত ঘোষণা করা হয়।’

পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ২৫ বছর বয়সী এক নারী এবং ২২ বছর বয়সী এক পুরুষ রয়েছেন। অপর নিহতের বয়স বা পরিচয় জানায়নি পুলিশ। এ ছাড়া আহতদের ফিলাডেলফিয়ার থমাস জেফারসন ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি জানান, সাউথ স্ট্রিটে শত শত মানুষ নিজেদের মধ্যে সময় কাটাচ্ছিলেন। তারা ছুটির দিন উদযাপন করছিলেন। সে সময়ই ওই হামলার ঘটনা ঘটে। তিনি আরও জানান, কর্মকর্তারা এক হামলাকারীকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছেন। তবে ওই ব্যক্তির গুলি লেগেছে কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে দুটি হ্যান্ডগান উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে উল্লেখযোগ্য হারে যুক্তরাষ্ট্রে বেড়েছে বন্দুক হামলা। দেশটিতে প্রায়ই কোনো না কোনো অঙ্গরাজ্যে নৃশংস বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটছে। যা থেকে রেহাই পাচ্ছে না শিশুরাও। এফবিআইয়ের প্রকাশিত এক প্রতিবেদন সূত্র হতে জানা যায়, ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ৬১টি বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে। যা আগের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের তুলনায় ৫২ শতাংশ বেশি। গত বছর ৩০টি অঙ্গরাজ্যে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে প্রাণ হারান ১০৩ জন ও আহত হন ১৪০ জন।

যুক্তরাষ্ট্রে নিয়মিত বন্দুক হামলা ও তাতে প্রাণহানির ঘটনা ঘটলেও সেখানে বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইন এখনো কঠোর করা যায়নি। মার্কিন কংগ্রেসে এ বিষয়ে কয়েকবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও শেষপর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে সেগুলো।

দেশটিতে প্রায় প্রতিটি পরিবারেই কারও না কারও কাছে ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য বন্দুক রয়েছে। ২০২০ সালে আমেরিকায় ৪৫ হাজারেরও বেশি মানুষ আগ্নেয়াস্ত্র সম্পর্কিত আঘাতের কারণে মারা গেছে। গাড়ির দুর্ঘটনায় যত তরুণ মারা যায় তার চেয়ে বেশি নিহত হচ্ছে বন্দুক হামলায়।

সাহস২৪.কম/এআর/এসকে.