যেকোনো মূহুর্তে গ্রেপ্তার হতে পারেন শাহবাজ শরীফ

প্রকাশ : ০৪ জুন ২০২২, ১৯:৫৫

সাহস ডেস্ক

শাহবাজ শরিফের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের বহুল আলোচিত চিনি দুর্নীতি ও তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অর্থপাচার মামলায় যেকোনো মুহুর্তে গ্রেপ্তার হতে পারেন দেশটির বর্তমান এ প্রধানমন্ত্রী। একই মামলায় গ্রেপ্তার হতে পারেন তার বড় ছেলে ও পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হামজা শাহবাজও। পাকিস্তানের বিশেষ আদালত সেন্ট্রাল ওয়ানে চলছে এ মামলার বিচারকাজ।

শনিবারের (০৪ জুন) শুনানিতে বিচারক ইজাজ হাসান আওয়ান মামলার বাদীপক্ষ ও পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ফেডারেল ইনভেস্টিগেটিং এজেন্সির (এফআইএ) কর্মকর্তাদের প্রশ্ন করেন, এফআইএ শাহবাজ শরিফ ও হামজা শাহবাজকে গ্রেপ্তার করতে চায় কি না? জবাবে এফআইএ কর্মকর্তারা বলেন, তারা শাহবাজ শরিফ ও হামজা শাহবাজকে গ্রেপ্তার করতে ইচ্ছুক।

তবে এদিন শাহবাজ ও হামজার জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তবে মামলার অন্যতম আসামি ও শাহবাজের ছোট ছেলে সুলেমান শাহবাজসহ অপর দুই আসামি তারিক নাকভি ও মালিক মাকসুদের বিরুদ্ধে শনিবার পুনরায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন পাকিস্তানের এ আদালত। শাহবাজ ও হামজার জামিনের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়েছেন আদালত। শনিবারের শুনানিতে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ ও ছেলে হামজা উভয়েই উপস্থিত ছিলেন। তবে শুনানি শেষ হওয়ার আগেই আদালতের অনুমতি নিয়ে বেরিয়ে যান তারা।

উল্লেখ্য, ১ হাজার ৬০০ কোটি পাকিস্তানি রুপি বিদেশে পাচারের অভিযোগ রয়েছে পাকিস্তানের বর্তমান এ প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। ২০২০ সালে এ বিষয়ে লাহোরের বিশেষ আদালতে শাহবাজ, তার দুই ছেলে হামজা ও সুলেমানসহ কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এফআইএ। অভিযোগে বলা হয়, পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে আখ ক্রয়, চিনি উৎপাদন ও বিপণন প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি লোপাটের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে শাহবাজ শরিফ, তার দুই ছেলে ও এজাহারভূক্ত অন্যান্য আসামিদের। এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন পাঞ্জাব প্রদেশের কয়েকজন চিনি কল মালিকও। এতে বলা হয়, বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংকে বেনামে ২৮টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে শাহবাজের পরিবারের সদস্যদের। সেসব ব্যাংকে এ অর্থ পাচার করা হয়েছে হুন্ডির মাধ্যমে। রাজনীতির পাশপাশি চিনির ব্যবসা রয়েছে পাকিস্তানের শরিফ পরিবারের। আল-আরাবিয়া মিলস নামে একাধিক চিনির কারখানা রয়েছে তাদের।

তবে বরাবরের মত শাহবাজ শরিফ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে পাকিস্তানে রাজনীতি ও নির্বাচন করার অধিকার হারাবেন তিনি। প্রসঙ্গত, শাহবাজের বড় ভাই ও পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধেও অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা হয়েছিল। মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় রাজনীতি থেকে বাধ্যতামূলক অবসর নিতে হয়েছে তাকে। চিকিৎসার জন্য লন্ডন গিয়ে আর দেশে ফেরেননি তিনি।

সাহস২৪/এসটি/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত