যুদ্ধ থামাতে একজন চ্যাপলিন প্রয়োজন: জেলেনস্কি

বিশ্বের নামি দামি সব তারকারা এসেছে আন্তর্জাতিক কান চলচ্চিত্র উৎসবে। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন যদিও হতবাক করল রেড কার্পেটের সাজকে। তবে ঝকঝকে এই প্রেক্ষাগৃহ আলো করে ভিডিও বার্তা দিলেন ইউক্রেনের যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সেখানে যুদ্ধের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে এখন একজন চার্লি চ্যাপলিনের প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি। তার বক্তব্যের সময় উপস্থিত সবাই দাঁড়িয়ে সম্মান জানায় তাকে। নিজ ভাষণে ‘দ্য গ্রেট ডিক্টেটর’ ও ‘অ্যাপোক্যালিপস নাউ’ সিনেমার উদাহরণ টানেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। চলচ্চিত্রে যুদ্ধ ও স্বৈরশাসকদের অবস্থান তুলে ধরতে উদাহরণগুলো দেন তিনি। সূত্র: দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।

বিশ্ব সিনেমা কি ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াবে না- এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন গণকবরে ভরে গেছে। প্রতিদিন আমার দেশের মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। রক্তাক্ত, ক্ষত-বিক্ষত হয়ে পড়েছে আমাদের সাজানো রঙিন দেশ। অথচ বিশ্ব সিনেমা নিশ্চুপ! কিন্তু এমন তো হওয়ার কথা ছিল না।’

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিখ্যাত কৌতুক অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিনের উদাহরণ টেনে জেলেনস্কি মনে করিয়ে দেন, ১৯৪০ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলারের আগ্রাসী নীতির বিরুদ্ধে চার্লির রুখে দাঁড়ানোর কথা। দ্য গ্রেট ডিক্টেটর সিনেমায় হিটলার সেজে অভিনয় করেছিলেন চার্লি চ্যাপলিন। তার ওই সিনেমা বিশ্বব্যাপী যুদ্ধের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদী রূপ হয়ে উঠেছিল।

জেলেনস্কি বলেন, ‘আমাদের এখন নতুন একজন চ্যাপলিন দরকার। যিনি প্রমাণ করবেন, আমাদের সময়ে সিনেমা নীরব নয়। সিনেমার জন্য নীরব না থাকা আবশ্যক। যারা আমার কথা শোনে তাদের আমি বলছি, হতাশ হবেন না। একটা সময় আসবে মানুষের ঘৃণা কেটে যাবে। স্বৈরশাসকদের মৃত্যু হবে। তারা যে ক্ষমতা জনগণের কাছ থেকে নিয়েছিল তা জনগণের কাছে ফিরে আসবে। স্বাধীনতা কখনই বিনষ্ট হবে না। আমি নিশ্চিত যে স্বৈরশাসক হেরে যাবে। এই যুদ্ধে আমরা জিতবই।’

সাহস২৪.কম/টিএ/এসটি/এসকে.