রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক: ভারতকে সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র

ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধাবস্থার মধ্যেই রুশদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্বের বিরুদ্ধে ভারতকে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিষয়টি জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শীর্ষ অর্থনৈতিক উপদেষ্টা।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে অস্বীকার করেছে ভারত, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য মিত্র দেশ এ  নিষেধাজ্ঞার মিছিলে শামিল হয়েছে। ভারতকে এশিয়ায় চীনের উত্থানের বিরুদ্ধে পাল্টা শক্তি হিসেবে দেখে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, রাশিয়ার অস্ত্রের সবচেয়ে বড় ক্রেতা ভারত।

হোয়াইট হাউসের অর্থনৈতিক পরিষদের পরিচালক ব্রায়ান ডিজ বুধবার (৬ এপ্রিল) এক বক্তব্যে বলেছেন, "ভারত সরকারের প্রতি আমাদের বার্তা হচ্ছে, রাশিয়ার দিকে আরও স্পষ্ট কৌশলগত জোটবদ্ধতার দিকে এগিয়ে যাওয়ার পরিণতি ও খেসারত উল্লেখযোগ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী হতে পারে"। "এই আক্রমণের (ইউক্রেইন) প্রেক্ষাপটে নিশ্চিতভাবে কিছু ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে আমরা চীন এবং ভারত, উভয়ের সিদ্ধান্তে হতাশ হয়েছি"। ভারতে যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা দালীপ সিংয়ের সরকারি সফরের পর গত সপ্তাহে এ সতর্কতা জানাল হোয়াইট হাউস। সূত্র: বিবিসি

চলতি সপ্তাহে সিং ভারত থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাওয়ার পর হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি বলেছেন, "এই সফরে দালীপ তার ভারতীয় প্রতিপক্ষকে যে বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন তা হল, রাশিয়ার জ্বালানি ও অন্যান্য পণ্য আমদানি ত্বরান্বিত করা বা বাড়ানো ভারতের স্বার্থে এটি আমরা বিশ্বাস করি না"। এর আগে মার্কিন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানিয়েছিলেন, ইউক্রেনে মস্কোর হামলার প্রতিক্রিয়ায় দেওয়া নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে যুক্তরাষ্ট্র যখন চাপ বাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন ভারত যদি রাশিয়ার তেল আমদানির পরিমাণ বাড়ায় তাহলে তা নয়া দিল্লিকে 'বড় ধরনের ঝুঁকির' মুখে ঠেলে দিতে পারে।

রাশিয়া ইউক্রেনে ২৪ ফেব্রুয়ারি হামলা শুরু করার পর নিষেধাজ্ঞার মুখে রুশ তেল কেনা থেকে পিছু হটে অন্য ক্রেতারা। কিন্তু বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ তেল আমদানিকারক ও ভোক্তা দেশ ভারতের খনিজ তেল পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলো ব্যাপক মূল্য হ্রাসের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রাশিয়ার কাছ থেকে বাড়তি তেল কেনা শুরু করে তাৎক্ষণিক টেন্ডারের মাধ্যমে। পুরো ২০২১ সালে তারা রাশিয়া থেকে তেল কিনেছিল ১ কোটি ৬০ লাখ ব্যারেলেরও কম। সেখানে চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারত কিনেছে অন্তত এক কোটি ৩০ লাখ ব্যারেল তেল।