মালদ্বীপের কাছেই পড়লো চীনের রকেট

প্রকাশ : ০৯ মে ২০২১, ১৬:১৭

সাহস ডেস্ক

চীনের বৃহত্তম লং মার্চ ফাইভ-বি নামের রকেটের ধ্বংসাবশেষ ভারত মহাসাগরে মালদ্বীপের খুব নিকটবর্তী স্থানে পড়েছে। কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা না ঘটলেও রকেটটির ধ্বংসাবশেষ জনবহুল এলাকায় গিয়ে পড়তে, এমনটিও আশঙ্কা করছিলেন অনেকেই।

রবিবার (৯ মে) রকেটটির খণ্ড-বিখণ্ড সাগরে পড়ার আগে ১৮ টন ওজের রকেটটির বেশিরভাগ অংশই বায়ুমণ্ডলে পুনরায় প্রবেশের সময়ই ধ্বংস হয়ে যায়।

গত ২৯ এপ্রিল চীনের হাইনান দ্বীপ থেকে বিস্ফোরণের পর থেকে লং মার্চ ফাইভ-বি নামের রকেটটির ধ্বংসাবশেষ ভূমিতে পড়ছে কিনা দেখার জন্য অনেকেই আকাশের দিকে তাকিয়ে ছিল। কিন্তু বেশিরভাগ ধ্বংসাবশেষই বায়ুমণ্ডলে পুড়ে গেছে।

চীনের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, রকেটের কিছু অংশ বেইজিংয়ের সময় সকাল ১০ টা ২৪ (বাংলাদেশ সময় ৮ টা ২৪) এ বায়ুমণ্ডলে পুনরায় প্রবেশ করে এবং ৭২ দশমিক ৪৭ ডিগ্রি পূর্ব অক্ষাংশ এবং ২ দশমিক ৬৫ ডিগ্রি উত্তরের দ্রাঘিমাংশের অবতীর্ণ হয়েছে। স্থানটি মালদ্বীপের পশ্চিমে অবস্থিত।

নাসার প্রশাসক বিল নেলসন জানান, মহাকাশে প্রবেশকারী দেশগুলোকে অবশ্যই পৃথিবীতে স্থান ও স্থানের স্থাপনা ও জীবনের ঝুঁকি হ্রাস করতে হবে এবং এ ধরনের অভিযানের বিষয়ে স্বচ্ছতা বাড়াতে হবে। এটা স্পষ্ট যে চীন তাদের মহাশূন্য ধ্বংসাবশেষ সম্পর্কিত দায়িত্ব পূরণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, পৃথিবীর বেশিরভাগ পৃষ্ঠ সমুদ্র দিয়ে ঢাকা থাকার কারণে, ভূমিতে জনবহুল অঞ্চলের প্রতিকূলতা ও আহত হওয়ার সম্ভাবনাও কম ছিল। কিন্তু রকেটের কক্ষপথ পরিবর্তন হয়ে বায়ুমণ্ডলে পুনরায় প্রবেশের সময় জনবহুল এলাকায় তা অবরণের সম্ভাবনা প্রবল।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী জোনাথন ম্যাকডোয়েল বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, সম্ভাব্য ধ্বংসস্তূপ অঞ্চলটি নিউইয়র্ক, মাদ্রিদ বা বেইজিংয়ের মতো দক্ষিণে এবং দক্ষিণ চিলি এবং ওয়েলিংটন, নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণে হতে পারত।

ম্যাকডোয়েল আরও জানান, ১৯৭৯ সালের জুলাই মাসে নাসা স্পেস স্টেশন স্কাইল্যাবের বৃহৎ অংশগুলো কক্ষপথ থেকে ছিটকে অস্ট্রেলিয়ায় পড়েছিল। তারপর থেকেই বেশিরভাগ দেশ নিজেদের মহাকাশযানের নকশার মাধ্যমে এভাবে আছড়ে পড়া এড়াতে চেষ্টা করে আসছে।

তবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন এক ব্রিফিংয়ে বলেন, বায়ুমণ্ডলে পুনরায় প্রবেশের সময় রকেটগুলোর উপরের স্তর পুড়ে যাওয়ার ঘটনা বিশ্বজুড়ে প্রচলিত। এই রকেটের উপরের স্তরটি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছিল। যার অর্থ এটির বেশিরভাগ অংশ পুনরায় প্রবেশের সময় পুড়ে যাবে, ফলে বিমান ও স্থল সুবিধা এবং অন্যান্য ক্ষতির সম্ভাবনা অত্যন্ত কম।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত