২০২৪ সালের নির্বাচনেও লড়ার কথা বললেন জো বাইডেন
প্রকাশ | ২৬ মার্চ ২০২১, ১৫:০৬
যুক্তরাষ্ট্রের ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর নিজের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন ইচ্ছের কথা জানিয়ে বলেছেন, তখনও কামালা হ্যারিসকেই তার রানিং মেট হিসেবে রাখতে চান।
বয়স এবং শারীরিক অবস্থার কারণে বাইডেন আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে চাইবেন কিনা এনিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই জল্পনা-কল্পনা চলছিল।
একই সাথে এ সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে অভিবাসীদের ঢল, পররাষ্ট্র নীতি, অস্ত্র নিয়ন্ত্রণসহ নানা বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন তিনি।
জো বাইডেন বলেন করোনাভাইরাসের টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে তার প্রশাসনের লক্ষ্য হলো প্রথম একশ দিনের মধ্যে বিশ কোটি টিকা দেয়া।
এর আগে শুরুতে প্রথম একশ দিনে দশ কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার লক্ষ্যের কথা জানিয়েছিলেন তিনি। তবে সেই লক্ষ্যমাত্রা দেশটি ইতোমধ্যেই অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
অবশ্য এ সংবাদ সম্মেলনের বেশিরভাগ অংশজুড়েই ছিলো যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত ইস্যু।
ওই সীমান্তে মানবিক সংকটের জন্য তিনি তার পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দায়ী করেন এবং বলেন ওই সীমান্তে শীতের সময়ে অভিবাসী বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বাভাবিক।
এসব অভিবাসীদের আসার জন্য তিনি তাদের দেশের অবস্থা বিশেষ করে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অপরাধ ও অর্থনৈতিক সুযোগের অভাবকেও দায়ী করেন।
কখন তিনি সাংবাদিকদের জন্য সরকার পরিচালিত ডিটেনশন ক্যাম্পগুলো উন্মুক্ত করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে মিস্টার বাইডেন বলেন তিনি এ বিষয়ে স্বচ্ছতা দেখাবেন।
"সবকিছুতেই আপনাদের প্রবেশাধিকার থাকবে", বলেন তিনি। যদিও কবে নাগাদ সেটি হবে তার কোন সময়সীমা তিনি উল্লেখ করেননি।
সতের হাজারেরও বেশি শিশুকে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার পরিচালিত এসব ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হয়েছে।
আফগানিস্তান ও চীন প্রসঙ্গ-
প্রশ্ন ছিলো যে পহেলা মে'তে আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের যে অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্র করেছে সেটি তিনি রক্ষা করবেন কিনা।
জবাবে মিস্টার বাইডেন স্বীকার করেন যে সময়সীমা রক্ষা করা হবে খুব কঠিন কাজ।
"আমরা ছেড়ে আসবো। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কখন ছাড়বো। কিন্তু আমরা দীর্ঘ সময় থাকবো না"।
সংবাদ সম্মেলনে চীনের সাথে চলা বাকযুদ্ধের বিষয়টিও উঠে এসেছে।
তবে জো বাইডেন বলছেন, "আমি কোন সংঘাত চাইছি না"।
তবে তিনি দেশটির নীতির কঠোর সমালোচনা করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন সামনের দিনগুলোতে তিনি অভিবাসন, অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, ভোটাধিকার, জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোতে রিপাবলিকানদের সাথে একযোগে কাজ করবেন।
তবে তিনি ইঙ্গিত দেন যে সামনে অগ্রাধিকার পাবে অবকাঠামো নির্মাণ বিল কারণ বাইডেন প্রশাসন মনে করে এ বিষয়ে কিছু রিপাবলিকান আইন প্রণেতার সমর্থন পাওয়া যাবে।