মিয়ানমারে বিক্ষোভ ঠেকাতে বড় শহরগুলোতে সাজোয়া যান মোতায়েন

মিয়ানমারের দখলদার সামরিক বাহিনী ক্ষমতা পাকাপোক্ত ও দীর্ঘ করতে দেশটির বড় শহরগুলোতে সাজোয়া যান মোতায়েন করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদের কণ্ঠ বন্ধ করতে ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মিয়ানমারের প্রধান প্রধান শহরগুলোতে সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যান টহল দিতে দেখা গেছে। ইয়াঙ্গুনে স্যুলে প্যাগোডার সামনে সেনাবাহিনীর চারটি জলবাহী কামান দেখা যায়। এই স্থানটি বিক্ষোভকারীদের কেন্দ্রস্থল।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল সন্ধ্যায় ইয়াঙ্গুন, মিতকিনা ও রাখাইন রাজ্যের সিত্তে শহরে সাজোয়া যান মোতায়েন করা হয়েছে। অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম এমন সাজোয়া যান দেখা গেল। গতরাতে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর আজ সকালে তা স্বাভাবিক করা হয়েছে। দেশটির চারটি টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক আজ ভোররাত ১টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত বন্ধ ছিল। পরে তা আবার চালু হয়েছে।

গতকাল দেশটির উত্তরাঞ্চলের কাচিন রাজ্যের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালিয়েছে পুলিশ। সেখানে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সেনারা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিতে পারে এমন আশঙ্কায় জনতা সেখানে সমবেত হন। রাজ্যের রাজধানী মিতকিনায় বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির দৃশ্য ফেসবুকে লাইভ দেখানো হয়েছে।

প্রতিবেদন আরও বলা হয়েছে, অবৈধভাবে ছয়টি ওয়াকি-টকি রেডিও আমদানির অভিযোগে সু চির আটকাদেশ আজ শেষ হতে পারে। এরপর এনএলডি নেত্রীর ভাগ্য কী ঘটতে যাচ্ছে তা জানতে তার আইনজীবী খিন মং জও এর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছে তবে তাকে পাওয়া যায়নি।