মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান, সু চি, প্রেসিডেন্ট আটক

প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১২:৫৫

সাহস ডেস্ক

মিয়ানমার সামরিক বাহিনী রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের আটক করে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। দেশজুড়ে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। মিয়ানমারের সামরিক টেলিভিশন বলেছে, সেনাবাহিনী এক বছরের জন্য দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে।

সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে সামরিক মালিকানাধীন মায়াওয়াদ্দি টিভিতে এক ঘোষক এই ঘোষণা দেন। সামরিক অভ্যুত্থানের হুমকির বিষয়ে উদ্বেগের পরেই এবং দেশটির নতুন সংসদ অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে এই ঘোষণা এসেছে।

রাজধানী নেপিডো ও প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ সিনিয়র জেনারেল মিং অং হ্লাং-এর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়েছে বলে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর মালিকানাধীন টেলিভিশনে এক ঘোষণায় বলা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠিত অনলাইন নিউজ সার্ভিস, ইরাওয়াদ্দি জানিয়েছে যে দেশের শীর্ষস্থানীয় নেতা স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি এবং দেশটির রাষ্ট্রপতি উইন মিন্টকে সোমবার ভোরে আটক করা হয়েছে। নিউজ সার্ভিসটি সু চির ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) মুখপাত্র মায়ো নিন্টের বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, আইন প্রণেতা এবং আঞ্চলিক মন্ত্রিসভার সদস্যদেরও হেফাজতে নেয়া হয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, সোমবার ভোরে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান হচ্ছে এবং স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চিকে গৃহবন্দী করে আটক করা হয়েছে, রাজধানীর সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

নেপিডোতে ফোন এবং ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে এবং সু চির ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি পার্টিতে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া এবং অন্যান্য দেশ এই খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

ওয়াশিংটন থেকে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি বলেছেন, বার্মার সেনাবাহিনী স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি এবং অন্যান্য বেসামরিক কর্মকর্তাদের আটকসহ দেশটির গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে বিনষ্ট করার পদক্ষেপ নিয়েছে, এমন খবরে আমেরিকা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে এ সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তন করতে বা মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে বাধা দেয়ার যেকোনো প্রয়াসের বিরোধিতা করছে এবং এই পদক্ষেপ থেকে সরে না আসলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেরিস পেইন সু চি এবং আটক অন্যদের মুক্তি দেয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, আমরা ২০২০ সালের নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফলের সাথে সামঞ্জস্য রেখে জাতীয় পরিষদের শান্তিপূর্ণ পুনর্গঠনকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত