পঙ্গপালের ৭০ বছরের রেকর্ড হানায় খাদ্য সংকটে ইথিওপিয়া

প্রকাশ : ১৫ এপ্রিল ২০২০, ২০:২৭

মারাত্মক খাদ্য সংকটে পড়েছে ইথিওপিয়া।একদিকে করোনাভাইরাসের কারণে ঘর থেকে বের হওয়া বন্ধ অন্যদিকে শত শত কোটি পঙ্গপালের দ্বিতীয় হানায় মাঠের ফসল শেষ।ইতোমধ্যেই পূর্ব আফ্রিকার দেশটিতে দুই লাখ হেক্টর জমির ফসল উজাড় হয়েছে এবং সেখানে এখনই অন্তত ১০ লাখ মানুষের জন্য জরুরি খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) ।

একদফা পঙ্গপালের আক্রমণ দমন করার পর কয়েক সপ্তাহের ব্যাবধানে দ্বিতীয় দফা আবার আক্রমণের শিকার হয় পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলো। এবারের পঙ্গপালেরা আকারে পূর্বের বারের চেয়েও ২০ গুণ বড় এবং কয়েকটি দেশে এই প্রকোপ গত ৭০ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বর্ষণমুখর বর্ষাকালে এ অঞ্চলে হঠাৎই পঙ্গপালের বংশবৃদ্ধি কয়েকগুণ বেড়ে গেছে।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) ১৩ এপ্রিল, সোমবার ইথিওপিয়ান সরকারের সঙ্গে এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিনে পূর্ব আফ্রিকায় পঙ্গপাল পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে। শত শত কোটি পঙ্গপাল চষে বেড়াচ্ছে এ অঞ্চলে।এফএও আরও জানিয়েছে, দেশটিতে খাদ্য সহায়তা আবশ্যক হয়ে পড়া ১০ লাখ মানুষের ৭৫ শতাংশই সোমালি ও ওরোমিয়া অঞ্চলে বসবাস করেন।

জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থাটির তথ্যমতে, আফ্রিকার দ্বিতীয় ঘনবসতিপূর্ণ দেশ ইথিওপিয়ায় অন্তত ১১ কোটি মানুষের বসবাস যার ৮৫ লাখ লাখ মানুষ তীব্র খাদ্য সংকটে ভুগছে। এছাড়া কেনিয়া, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান, উগান্ডা ও তানজানিয়ার অন্তত দুই কোটি মানুষ পঙ্গপালের কারণে খাদ্য সংকটে পড়েছেন যাদের জরুরি ভিত্তিতে মানবিক সহায়তা প্রয়োজন।

পঙ্গপালের মোকাবেলায় জাতিসংঘ ১৫.৩ কোটি ডলারের তহবিল চেয়েছে। যার মধ্যে ১১ কোটি ডলার তহবিল জোগার হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

উল্লেখ্য, গত বছরের করোনার আক্রমণের পূর্বে গত বছরের শেষ দিকে পঙ্গপালেরা হানা দেয় আফ্রিকায়। একদফা শেষ করতে না করতে গতমাসের বৃষ্টিতে প্রচুর বংশবিস্তার করার কারনে নতুন করে প্রকোপ দেখা দেয়। এদিকে, সরকারি হিসাবে ইতোমধ্যেই ইথিওপিয়ায় ৭৪ জনের শরীরে নভেল করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত