কঙ্গোয় করোনার মধ্যেই ইবোলার থাবা, নিহত ১

প্রকাশ : ১৩ এপ্রিল ২০২০, ১৪:৪৯

সাহস ডেস্ক

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস স্থবির করে দিয়েছে পুরো বিশ্বকে। এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে এক লাখেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। এরই মাঝে আফ্রিকার দেশ কঙ্গোয় ফের থাবা বসিয়েছে ইবোলা ভাইরাস।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কঙ্গোর বেনি শহরে নতুন করে ২৬ বছর বয়সী এক ব্যক্তির শরীরে ইবোলা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। আক্রান্তের ৫০ দিন পর অর্থাৎ গত বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

এই মৃত্যুকে আশঙ্কাজনক বলে বিবৃতি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কেননা ইবোলায় মারা যাওয়া ব্যক্তি কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় শহর বেনিতে আক্রান্ত হয়েছেন। আর বেনি শহরকেই ইবোলার আঁতুড়ঘর বলা হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বেনিকে মহামারীর মূল কেন্দ্র বলে আখ্যা দিয়েছিল ২০১৮ সালেই। বেনিতে ইবোলায় নতুন করে আরও অনেকেই আক্রান্ত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে হুর ডিরেক্টর জেনারেল প্রধান ড. টেড্রস অ্যাডহানম গেব্রেইয়েসুস বলেছেন, ‘করোনা তাণ্ডবের মাঝে কঙ্গোর এ খবরটি গভীর উদ্বেগের। মহামারীটি ফের যেন ছড়িয়ে না পড়ে সে লক্ষ্যে আমরা বেনি এবং তার আশপাশে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোকে নজরদারি বাড়িয়েছি। লকডাউনের মেয়াদ শেষ হলেও তা আরও দীর্ঘায়িত হতে যাচ্ছে।’

ঘটিনার পর কঙ্গোর ইবোলা মহামারী প্রতিরোধে গঠিত মাল্টিসেক্টরাল কমিটি এক বিবৃতিতে জানায়, ‘শুরু থেকেই ইবোলা সংক্রমণ ঠেকাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আমরা একসঙ্গে কাজ করছি। বেনিতে ফের ইবোলা রোগী পাওয়ার পর মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু হয়েছে। সংক্রমণ কতদূর ছড়িয়েছে আগে তা শনাক্ত করা হবে। এর পরই তারা জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

২০১৮ সালের আগস্টে দেশটিতে প্রথম ইবোলায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় কঙ্গোতে। গত বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ২০ লাখ মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। তবে মৃত্যুবরণ করেছেন ২ হাজার ২০০ মানুষ। এদিকে কঙ্গোয় এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৩৪ জন। এতে মারা গেছেন ২০ জন। সুস্থ হয়েছেন ১৬ জন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত