আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্লান

সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ

প্রকাশ | ১৭ আগস্ট ২০২২, ১৯:৫১

অনলাইন ডেস্ক

২০২২ থেকে ২০২৭ সালের মার্চ পর্যন্ত নতুন একটি ফিউচার ট্যুর প্লান (এফটিপি) দিয়েছে আইসিসি। এই এফটিপি’র পূর্ণাঙ্গ সূচিও প্রকাশ করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা। যে সূচিতে দম ফেলার সময় নেই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। ২০২৩-২৭ সময়কালের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি দ্বিপক্ষীয় সিরিজের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। বুধবার (১৭ আগস্ট) নতুন এ এফটিপি প্রকাশ করেছে আইসিসি।

নতুন এ চক্রে ৩৫টি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। এ ছাড়া ৫৯টি ওয়ানডে ও ৫৭টি টি-টোয়েন্টি খেলবে লাল-সবুজের দল। সব মিলিয়ে এই চার বছরে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে মোট ১৫১টি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা। এর বাইরে আইসিসির ওয়ানডে বিশ্বকাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ম্যাচ তো আছেই।

নতুন এফটিপিতে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ভারত সফর করবে বাংলাদেশ। সেখানে তিনটি টি-টোয়েন্টি ও দুটি টেস্ট খেলবে লাল-সবুজের দল। পাকিস্তানের বিপক্ষে হোম-অ্যাওয়ে দুই সিরিজই আছে। ২০২৪ সালের আগস্টে দুটি টেস্ট নিয়ে পাকিস্তান সফর করবে বাংলাদেশ। ২০২৫ সালের মে মাসে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে আবারও পাকিস্তান যাবে বাংলাদেশ। ২০২৬ সালের মার্চে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি টেস্ট এবং তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে টাইগাররা।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আছে চারটি সিরিজ। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে ও নভেম্বরে দুটি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। ডিসেম্বরেই বাংলাদেশ যাবে নিউজিল্যান্ডে। সেখানে খেলবে তিনটি করে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে। ২০২৬ সালের মার্চে নিউজিল্যান্ড আবারও বাংলাদেশ আসবে তিনটি করে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে খেলতে। ২০২৭ সালের মার্চে অস্ট্রেলিয়া সফর করবে বাংলাদেশ। সেখানে দুটি টেস্ট খেলবে। এর আগে ২০২৬ সালের জুনে অস্ট্রেলিয়া তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসবে।

এই চক্রে নেই ইংল্যান্ড সফর। অবশ্য ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে দুবার ইংল্যান্ড আসবে বাংলাদেশে। ২০২৩ সালের মার্চে বাংলাদেশের মাটিতে তিনটি করে ওয়ানডে ও টেস্ট খেলবে ইংলিশরা। ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে এসে দুটি টেস্ট খেলবে ইংল্যান্ড। ২০২৩ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দেশে ও আয়ারল্যান্ডের মাটিতে দুটি সিরিজ আছে বাংলাদেশের। মার্চে দেশে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১টি টেস্ট এবং তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি। মে মাসে আয়ারল্যান্ডের মাটিতে তিনটি ওয়ানডে ও চারটি টি-টোয়েন্টি। ২০২৫ সালের নভেম্বরে আয়ারল্যান্ড বাংলাদেশে আসবে দুটি টেস্ট এবং তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২০২৩ সালের জুনে হোম সিরিজে আছে দুটি টেস্ট। এ ছাড়া আছে তিনটি করে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে। ২০২৪ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ দেশের মাটিতে। ২০২৫ সালের জুনে শ্রীলঙ্কা সফরে দুটি টেস্ট এবং তিনটি করে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুটি সিরিজ আছে এই চক্রে। ২০২৪ সালের অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকা বাংলাদেশে আসবে। এই সফরে দুটি টেস্ট খেলবে তারা। ২০২৫ সালের মার্চে আবারও দক্ষিণ আফ্রিকা বাংলাদেশ আসবে। এই সফরে তিনটি করে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে। ২০২৬ সালের নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে দুটি টেস্ট এবং তিনটি করে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ। ২০২৩ থেকে ২০২৭ পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিনটি সিরিজ বাংলাদেশের। ২০২৪ সালের এপ্রিলে ঘরের মাঠে দুটি টেস্ট এবং তিনটি করে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে। ২০২৫ সালের মার্চে আরও একটি হোম সিরিজ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। এতে থাকছে তিনটি করে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে। ২০২৬ সালের জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ে সফরে বাংলাদেশ খেলবে দুটি টেস্ট ও পাঁচটি ওয়ানডে।