সিরিজের শেষ ওয়ানডে

৪০০তম ম্যাচ জিতে হোয়াইটওয়াশ এড়ালো বাংলাদেশ

প্রকাশ : ১০ আগস্ট ২০২২, ২০:৫২

সাহস ডেস্ক

নিজেদের ৪০০তম ম্যাচে বাংলাদেশের মিশন ছিল হোয়াইটওয়াশ ও ক্লিন সুইপ ঠেকানো। তবে আগের দুই ম্যাচের তুলনায় যথেষ্ট পুঁজি করতে পারেনি বাংলাদেশ। কিন্তু বোলাররা ঠিকই সেটিকে বানিয়ে ফেললেন যথেষ্টর চেয়েও বেশি। জিম্বাবুয়েকে দাঁড়াতেই দেয়নি বাংলাদেশের বোলাররা। প্রথম ২ ওভারেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলা জিম্বাবুয়ে পথ খুঁজে পায়নি আর। মোস্তাফিজ, ইবাদত, তাইজুলরা প্রতিপক্ষের ভুলগুলোও কাজে লাগিয়ে জিম্বাবুয়েকে হারিয়েছেন। এতে হোয়াইটওয়াশের বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে পারল বাংলাদেশ। পাশাপাশি এ জয় দিয়েই রাঙিয়েছেন নিজেদের ৪০০তম ম্যাচ।

বুধবার (১০ আগস্ট) হারারে স্পোটিং ক্লাবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ১০৫ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। আগের টানা দুই ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করে রেখেছে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। এতে ২-১-এ সিরিজ হারল বাংলাদেশ।

এদিন টস হেরে আগে ব্যাটিং পায় বাংলাদেশ। এ নিয়ে ওয়ানডে সিরিজের তিন ম্যাচেই টস হেরেছেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এর আগে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও টানা টস হেরেছিলেন নুরুল হাসান ও মোসাদ্দেক হোসেন। দুই সংস্করণ মিলিয়ে ৬ ম্যাচে ৬টি টসই হারল বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫৬ রান করে বাংলাদেশ। ২৫৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩২.২ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান তুলতে সক্ষম হয়   জিম্বাবুয়ে।

প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। হাসান মাহমুদের ভেতরের দিকে ঢোকা বলটা আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে মিস করেন তাকুদজোয়ানাশে কাইতানো। হন এলবিডব্লু। প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। ওয়াইড ও লেগ বাই থেকে প্রথম ওভারে আসে ৫ রান। পরের ওভারে আবার উইকেট। দ্বিতীয় ওভারটি করতে আসেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে ক্রিজ ছেড়ে তেড়েফুড়ে এসে খেলতে গিয়ে বলের লাইন পুরোপুরি মিস করেন মারুমানি। এতে অফ স্টাম্প হারায় তার।

ইবাদত হোসেনের পর পর ২ বলে নেই দুই উইকেট, মাধেভেরে ও রাজা। ৬ষ্ঠ ওভার করতে আসেন ইবাদত। তার তৃতীয় বলে বাড়তি বাউন্সে ভড়কে গেলেন ওয়েসলি মাধেভেরে। তার ব্যাটের কাঁধে লেগে বল গেল পয়েন্টে। ক্যাচটি ধরতে ভুল করেননি মিরাজ। ইবাদত ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট পেয়ে গেলেন তাতেই। এরপর এল তার স্যালুট উদ্‌যাপন। এরপর ক্রিজে আসেন সিকান্দার রাজা। সিরিজে জিম্বাবুয়ের নায়ক টিকলেন মাত্র ১ বল! ইবাদত করলেন দারুণ ইয়র্কার, যেটির জবাব ছিল না ম্যাচে জিম্বাবুয়ের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের। আগের দুই ম্যাচেই অপরাজিত থেকে ম্যাচ জেতানো রাজা এবার ফিরলেন ‘গোল্ডেন ডাক’ সঙ্গী করে। অভিষেকেই হ্যাটট্রিকের সামনে ছিলেন ইবাদত। হ্যাটট্রিক বলে আবার স্ট্রাইকে ছিলেন আরেক অভিষিক্ত-ক্লাইভ মাদান্দে। যদিও সেটি ছিল নো বল।

তৃতীয় ম্যাচে ‘গোল্ডেন ডাক’ পেলেও আইসিসি র‌্যাংকিংয়ে অনেক বড় লাফই দিয়েছেন সিকান্দার রাজা। টানা দুই ইনিংসে ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরি। বল হাতে দুই ম্যাচে ৪ উইকেট। নয় বছর পর বাংলাদেশের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের ওয়ানডে সিরিজ জয়ে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন রাজার। এর পুরস্কারও পেলেন তিনি। বুধবার প্রকাশিত আইসিসির সর্বশেষ র‌্যাঙ্কিংয়ে ব্যাটিং-বোলিং-অলরাউন্ডার, তিন বিভাগেই এগিয়েছেন রাজা। ব্যাটিংয়ে ১০ ধাপ এগিয়ে ২৯ নম্বরে উঠেছেন তিনি। নয় বছরের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে রাজার এটিই সর্বোচ্চ অবস্থান। বোলিংয়ে তিন ধাপ এগিয়ে রাজা উঠেছেন ৭৯ নম্বরে। অলরাউন্ডার র‌্যাঙ্কিংয়েও ক্যারিয়ারসেরা চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছেন সিকান্দার রাজা।

ফিরলেন কাইয়া। নবমতম ওভারে তাইজুল ইসলামের দ্বিতীয় আর্ম বলে এলবিডব্লু হন কাইয়া। আজ তার জন্মদিন। তবে ব্যাটে-বলে এই দিনটি উদযাপন করতে পারলেন না ইনোসেন্ট কাইয়া। প্রথম নবম ওভারে পঞ্চম উইকেট হারিয়ে ফেলে জিম্বাবুয়ে। ১০ ওভার শেষে তাদের স্কোর ৩২/৫। আবারও তাইজুলের আঘাত। ১৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ফ্লাইটের সঙ্গে ছিল টার্নও। টনি মুনিয়োঙ্গা আক্রমণ করতে গিয়ে ফিরে গেলেন। বলের নাগালই পাননি, সহজেই স্ট্যাম্প ভাঙেন মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশ উইকেটকিপারের ইনিংসে এটি দ্বিতীয় স্টাম্পিং, তাইজুলের দ্বিতীয় উইকেট, জিম্বাবুয়ের ষষ্ঠ। স্কোরবোর্ডে রান তখন ৪৯।

এরপর উইকেট নেন মোস্তাফিজ। ২১তম ওভারের পঞ্চম বলটি বাউন্সারে লেগ সাইডে খেলতে গিয়েছিলেন লুক জঙ্গুয়ে, তবে বল গেছে অফ সাইডে, কাভারে। ভালোভাবেই ক্যাচটি নিয়েছেন এনামুল হক। ফেরার আগে ২৫ বলে ১৫ রান করেন জঙ্গুয়ে। এতে মাদান্দের সঙ্গে ২৮ রানের জুটি ভাঙে তার। জিম্বাবুয়ে ইনিংসে এটিই ছিল সর্বোচ্চ জুটি।

২৩তম ওভারের তৃতীয় বলে আবারও মোস্তাফিজ উইকেট। তার আরেকটি শর্ট বল তুলে মারতে গিয়ে আকাশে তুলেন ক্লাইভ মাদান্দে। সহজ ক্যাচটি নিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। দ্বিতীয় উইকেট পান মোস্তাফিজ। দুই শর্ট বলে দুই উইকেট নেয়ার পর তৃতীয় উইকেট নেন তার ট্রেডমার্ক স্লোয়ারে। একই ওভারের শেষ বলটি করলেন ট্রেডমার্ক স্লোয়ার-তাতেই লিডিং এজড হন ব্র্যাডলি এভান্স। পয়েন্টে ক্যাচ নেন মিরাজ। ৪ বলের মধ্যে ২ উইকেট নেন মোস্তাফিজ। ২৩তম ওভারেই নবম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।

তবে শেষ উইকেটে প্রতিরোধ গড়েছিলেন এনগারাভা-নিয়াউচি। দুজনে গড়েন ৬৮ রানের একটি রেকর্ড জুটি। বাংলাদেশের বিপক্ষে দশম উইকেটে এটি জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি। ২০১৮ সালে সেটি গড়েছিলেন দেবেন্দ্র বিশু ও আলজারি জোসেফ। আর যে কোনো দলের বিপক্ষে দশম উইকেটে জিম্বাবুয়ের রেকর্ড জুটিটি ছিল শিঙ্গিরাই মাসাকাদজা ও ইয়ান নিকোলসনের। ২০১০ সালে হারারেতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তারা তুলেছিলেন ৬০ রান।

এরপরেই মোস্তাফিজের আঘাত। এর আগে কট বিহাইন্ডের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। ফ্রি হিটে ক্যাচ হয়েছে, পরে ক্যাচ পড়েছে। কারও উপর আর ভরসা করলেন না মোস্তাফিজ। ৩৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে নিয়াউচিকে করলেন বোল্ড। ইনিংসে ৪ উইকেট পেয়ে গেলেন মোস্তাফিজ। ফেরার আগে ৩১ বলে ৩ চার ১ ছক্কায় ২৬ রান করেন নিয়াউচি। আর ২৭ বলে ৬ চার ১ ছক্কায় ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন এনগারাভা। শেষ পর্যন্ত ১৫১ রান তুলতে সক্ষম হয় স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে।

বাংলাদেশের হয়ে মোস্তাফিজুর রহমান ৪টি, ইবাদত হোসেন ও তাইজুল ইসলাম ২টি করে এবং হাসান মামুদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ ১টি করে উইকেট নেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে এনামুল হক বিজয়কে নিয়ে ইতিবাচক শুরু করেছিলেন তামিম ইকবাল। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই রিচার্ড এনগারাভাকে চার মেরে শুরু তার। পরের ২ ওভারে কোনো বাউন্ডারি না আসলেও ভিক্টর নিয়াউচির করা চতুর্থ ওভারে কাভার ড্রাইভের পর অন ড্রাইভে টানা দুই চার মারেন তামিম। ওই ওভারে এসেছে ১২ রান। বিনা উইকেটে বাংলাদেশ তুলেছে ২২ রান। তবে এদিন ইনিংস বড় করতে পারেনি তামিম। এনামুল হকের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির কারণে ফিরতে হয় আগেভাগেই।

এনগারাভার বলে পয়েন্টে খেলেছিলেন এনামুল, তাকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে আসতে দেখে দৌড় শুরু করেন তামিম। তবে এনামুলের সেদিকে যেন খেয়ালই ছিল না, দাঁড়িয়েই থাকেন তিনি। অপর প্রান্ত থেকে ক্রিজের অর্ধেকেরও বেশি পেরিয়ে গিয়েছিলেন তামিম। সেখান থেকে ফিরে আসাটা মোটেও সহজ নয়। পয়েন্টে ভালো ফিল্ডিং করা মাধেভেরের থ্রো-টাও সুবিধার ছিল না। তবে তামিম এতটাই বেরিয়ে গিয়েছিলেন, এনগারাভা ডানদিকে ঝুঁকে বল সংগ্রহ করে স্টাম্প ভাঙার সময় পেয়েছেন। ডাইভ দিয়েও ক্রিজে সময়মতো পৌঁছাতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। ফেরার আগে ৩০ বলে ৩ চারে ১৯ রান করেন তামিম ইকবাল। ৯ ওভারের তৃতীয় বলে বাংলাদেশ হারায় ৪১ রানে প্রথম উইকেট।

পরের ওভারেই শান্তর ডাক। ১০তম ওভারের প্রথম বলে ব্র্যাড এভান্সের শর্ট বলে লাফিয়ে উঠে কাট করতে গিয়েছিলেন নাজমুল। ধরা পড়েছেন ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট। মুখোমুখি প্রথম বলেই আউট নাজমুল হোসেন শান্ত। তার দুই বলের মাথায় মুশফিকের ডাক। ওই ওভারের চতুর্থ বলে এভান্সের শর্ট বল ছিল অফ স্টাম্পের বাইরে, শেষ মুহূর্তে গিয়ে সেটিতেই ব্যাট চালালেন মুশফিক। থার্ডম্যান থেকে বেশ খানিকটা ছুটে এসে ডাইভ দিয়ে ভালো ক্যাচ নিয়েছেন রিচার্ড এনগারাভা। ৪ বলের মধ্যে বাংলাদেশ হারাল নাজমুল ও মুশফিককে-দুজনই ফিরলেন কোনো রান না করেই। ৮ বলের মধ্যে বাংলাদেশ হারায় ৩ উইকেট।

শর্ট বলে নাজমুল-মুশফিক আউট হলেও শর্ট বলে এখন পর্যন্ত ভিন্ন ফলই আনছেন এনামুল হক। এনগারাভার শর্ট বলে হুক করে প্রথমে মেরেছেন ছয়, বাংলাদেশের ৫০ রান হয়ে গেছে তাতে। পরে এভান্সকে আরেকটি হুকে মেরেছেন আরেকটি ছয়। এ দুইয়ের মাঝে এভান্সকে লং অন দিয়ে মেরেছেন আরেকটি চার। ফলে তখন ৩৯ বলে ৪৪ রানে অপরাজিত ছিলেন এনামুল। ১৪তম ওভার শেষে বাংলাদেশের তখন ৬৮ রান। এনামুলের সঙ্গে ব্যাট করছিলেন মাহমুদউল্লাহ। পরে অর্ধশতক করেন এনামুল। ৪৮ বলের ইনিংসে ৪টি চার ও তিনটি ছক্কা মেরেছেন তিনি। এটি তার ক্যারিয়ারের পঞ্চম অর্ধশতক।

প্রথম ম্যাচে করেছিলেন ৭৩ রান। দ্বিতীয় ম্যাচে ২০ রান করে হয়েছিলেন রানআউট। তৃতীয় ম্যাচে এসে ছিলেন দারুণ ছন্দে। তার অর্ধশতকের পর ১০০ রান পার করে বাংলাদেশ। স্লটে পেয়েছিলেন, তবে তাতে শুধু ফ্লিকের মতো করলেন এনামুল। টাইমিং ছিল দুর্দান্ত, বল চলে গেছে ডিপ স্কয়ার লেগ বাউন্ডারি পেরিয়ে ছাদের ওপর! এনামুলের এটি চতুর্থ ছক্কা, ওই শটেই ১০০ ছুঁয়ে ফেলে বাংলাদেশ। ঠিক পরের বলেই এভান্স অফ স্টাম্পের বাইরে জায়গা দিয়েছেন, ড্রাইভ করে চার মারেন এনামুল। এরপর ৭৬ রানে থামেন তিনি। আগের বলটি ছিল লেগ সাইডে, লেগবাইয়ে এসেছিল চার। পরেরটি অফ স্টাম্প লাইনে। লুক জঙ্গুয়ের বলে এনামুল ধন্দে পড়ে গেলেন, শেষ পর্যন্ত ফেসটা ওপেন করে বিপদ ডেকে এনেছেন তিনি। খোঁচা দিয়ে কট বিহাইন্ড হয়ে ফেরেন এনামুল। ফেরার আগে ৭১ বলে  ৬ চার ৪ ছয়ে ৭৬ রান করেন এনামুল হক বিজয়। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ৯০ বলে ৭৭ রানের জুটি ভাঙে তার। বাংলাদেশ চতুর্থ উইকেট হারায় ১২৪ রানে।

আলগা শটে আউট হন মাহমুদউল্লাহ। অফ স্টাম্পের বাইরের বলটা স্টাম্পেই ডেকে আনেন মাহমুদউল্লাহ। শুরু থেকেই রান তুলতে ভুগতে থাকা মাহমুদউল্লাহ ৬৮ বল খেলে ৩৫ করে ফেরেন তিনি। মেরেছেন ৩টি চার। ১৭৩ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পরে এলবিডব্লু শিকার হন মিরাজ। সিকান্দার রাজার করা ওভারে গুডলেংথের বলটা সামনে ঝুঁকে ডিফেন্ড করতে গিয়ে লাগান প্যাডে। জোড়ালো আবেদনে সারা দেন আম্পায়ার। তবে এ সিদ্ধান্তে মোটেও সন্তুষ্ট হতে পারেননি মিরাজ। রিভিউ নেই বলে কিছুই করার ছিল না। ফেরার আগে ২৪ বলে ১৪ রান করে আফিফের সঙ্গে ৩৩ রানের জুটি ভাঙেন মিরাজ।

পরে অর্ধশতক তুলে ফেলেন আফিফ। রাজার বলে ডাবলস নিয়ে ফিফটি পূর্ণ করেন আফিফ। ফিফটি করতে ৫৭ বল খেলেছন তিনি। ক্যারিয়ারে এটি তার তৃতীয় ফিফটি, সর্বশেষটি পেয়েছিলেন গত মার্চে, জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। এরপরই রানআউট হন তাইজুল। মিডউইকেটের দিকে খেলে ডাবলস নিতে গিয়েছিলেন আফিফ হোসেন, সাড়াও দিয়েছিলেন তাইজুল। তবে তাদিওয়ানাশে মারুমানির সরাসরি থ্রোয়ে রানআউট তাইজুল ইসলাম।

এরপর ৪৮তম ওভারে মাত্র ২ বল স্ট্রাইক পেয়েছেন আফিফ। মাঝে ফিরেছেন হাসান মাহমুদ। শেষ বলে প্যাডল স্কুপের মতো শটে মেরেছেন চার। জঙ্গুয়ের ওভারে ৭ রানের বেশি ওঠেনি। পরের ওভারে স্ট্রাইক ফিরে পেতে আফিফকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৩ বল। তবে সেটিও মোস্তাফিজের রানআউটের বিনিময়ে। শেষ ৩ বলে অবশ্য ৩ রানের বেশি নিতে পারেননি আফিফ, তবে শেষ ওভারে ধরে রেখেছেন স্ট্রাইক। ৫০তম ওভারে নো, দুটি ওয়াইড-লুক জঙ্গুয়ের করা শেষ ওভারটি দীর্ঘই হলো। তাতে উঠেছে ১২ রান। প্রথম দুই ওয়ানডেতে ৩০৩ ও ২৯০ রানের পর তৃতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ তুলতে পারে ২৫৬ রান। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন আফিফ হোসেন। ৮১ বলে ৬ চার ২ ছক্কায় ৮৫ রান করেন তিনি।

স্বাগতিকদের হয়ে ব্রাড ইভান্স ও লুক জঙ্গুয়ে ২টি করে এবং নাগারাভা ও সিকান্দার রাজা ১টি করে উইকেট নেন।

ম্যাচ সেরা হয়েছেন আফিফ হোসেন আর সিরিজ সেরা হয়েছেন সিকান্দার রাজা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত