প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ দল, ৮ বছর পর ফিরলেন বিজয়

তিন সংস্করণের একটি পূর্ণাঙ্গ সিরিজের প্রথম টেস্ট থেকে চোটের কারণে ছিটকে গেছেন ইয়াসির আলি রাব্বি। তার জায়গায় দলে ফেরার সুযোগ পেয়েছেন অনিয়মিত হয়ে যাওয়া ওপনার এনামুল হক বিজয়। দীর্ঘ আট বছর পর টেস্ট দিয়ে দলে ফিরলেন বিজয়। সবশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন বিজয়। লিগের ইতিহাসে রেকর্ড হাজার রানের বেশি করেই জাতীয় দলে ফিরলেন এই ডানহাতি ব্যাটার।

২০১৩ সালের মার্চে টেস্টে অভিষেক হয় বিজয়ের। এরপর মাত্র ৪ টেস্ট খেলেন তিনি। আট ইনিংসে ব্যাটিং করে সবমিলে ৭৩ রান করেন। যথাক্রমে ১৩, ১, ৩, ১৮, ৭, ২২, ৯, ও ০ রানে আউট হওয়ায় তার টেস্ট ক্যারিয়ার থমকে যায়। ২০১৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বরের পর কেটে গেছে ৮ বছর। দীর্ঘ বিরতির পর ফের টেস্টে ডাক পেলেন বিজয়। কিন্তু একাদশে জায়গা পাওয়া তার জন্য সহজ হবে না। মিডল অর্ডারে খেলতে হলে মোসাদ্দেক হোসেন, নুরুল হাসান সোহানদের সঙ্গে লড়াই করতে হবে তাকে। ঘোষণা করা হয়েছে বাংলাদেশ টেস্ট দল। যদিও টেস্ট ম্যাচের আগের দিন একাদশ জানিয়ে দেওয়ার রীতি আছে কেবল ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ভারতের মতো বড় দলগুলোর। কিন্তু বাংলাদেশ এসব ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকতায় যেতে বরাবরই অনীহা। এক্ষেত্রে দলের যুক্তি, খেলোয়াড়রা তো জানেন কারা খেলছেন, বাইরের মানুষকে জানানোর প্রয়োজন নেই।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্টে প্রথম দিনের খেলা শুরু হবে। ব্যাটিং লাইন আপে ওপেনিংয়ে থাকবেন তামিম ইকবাল-মাহমুদুল হাসান জয়। তিনে নামবেন নাজমুল হোসেন শান্ত। চার নম্বর ব্যাটিং পজিশন নিয়ে বাংলাদেশ দল কোন চমক দেখায় কিনা, এই জায়গায় থাকতে পারে কৌতূহল। উইকেটকিপিং করতে না হওয়ায় দারুণ ছন্দে থাকা লিটন দাস নিতে পারেন এই জায়গা। নিজেকে হারিয়ে খুঁজতে থাকা মুমিনুল হক সেক্ষেত্রে পাঁচে নেমে চেষ্টা চালাতে পারেন। এই কাজটা করলে আরেকদিক থেকে আছে সুবিধা। টপ অর্ডারে প্রথম চারজনের তিনজনই বাঁহাতি। যা প্রতিপক্ষের জন্য বাড়তি সুবিধা। মুমিনুল এক ধাপ নিচে নেমে গেলে একটা বৈচিত্র্য তৈরি হয়। অধিনায়ক সাকিব ছয়েই ব্যাট করবেন। কিপার ব্যাটসম্যান হিসেবে দেখা যাবেন নুরুল হাসান সোহানকে। আটে বরাবরের মতই থাকছেন অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। বাকি তিনটি জায়গা পেসারদের। সেখানে নাটকীয় কিছু না হলে ইবাদত হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমানের খেলা নিশ্চিত। তৃতীয় পেসার হিসেবে সৈয়দ খালেদ আহমদ নাকি রেজাউর রহমান রাজা। এই জায়গায় ভাবতে পারে সফরকারীরা। তবে অভিজ্ঞতায় এগিয়ে থাকায় খালেদের পাল্লাই ভারি।

অ্যান্টিগার পেস বান্ধব কন্ডিশনে একাদশে পেসারদের আধিক্য থাকা নিশ্চিত। সাকিবের মতো অলরাউন্ডার থাকায় তাতে অবশ্য স্পিন ঘাটতিও হচ্ছে না। দুইজন স্পিনার থাকছেনই। অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামের ইতিহাসে ৩০১ উইকেটের ২২৮টিই নিয়েছেন পেসারররা। কন্ডিশনের কারণেই তাই ম্যাচটি দর্শক হিসেবে দেখতে হবে অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামকে।

বাংলাদেশ টেস্ট দল:
মুমিনুল হক, তামিম ইকবাল, মাহমুদুল হাসান জয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস (সহ-অধিনায়ক), মোসাদ্দেক হোসেন, এনামুল হক, তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ, ইবাদত হোসেন চৌধুরী, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, রেজাউর রহমান রাজা, শহিদুল ইসলাম, নুরুল হাসান সোহান, মুস্তাফিজুর রহমান।