চাপ নিয়ে আমি চিন্তিত নই: মুমিনুল

প্রকাশ | ১৩ এপ্রিল ২০২২, ১৮:২১

অনলাইন ডেস্ক

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই টেস্ট সিরিজের দুটিতেই হেরে হোয়াইটওয়াশ হয়ে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। যদিও মুমিনুলদের বিপক্ষে পূর্ণ শক্তি নিয়ে নামতে পারেনি প্রোটিয়ারা। কাগিসো রাবাদা, মার্কো ইয়ানসেন, লুঙ্গি এনগিদি, আইনরিখ নরকিয়া, রাসি ফন ডার ডাসেন ও এইডেন মার্করামের মতো সেরা তারকারা আইপিএলে ব্যস্ত থাকায় থাকতে পারেনি দলের সঙ্গে। তারপরও দুই টেস্টের সিরিজে রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। বাজেভাবে ব্যর্থ হওয়ায় প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছেন অধিনায়ক মুমিনুল হক।

নেতৃত্ব দানের সক্ষমতা নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠায় বেশ বিপাকে মুমিনুল দেশে ফিরে জানিয়েছেন, ‘অধিনায়কত্ব এমনটা একটা জিনিস, আপনি পারফরম্যান্স না করলে চাপ আসবেই। (ক্রিকেটের) এই (আন্তর্জাতিক) পর্যায়ে আপনাকে চাপ নিতে হবে। আর আমি এটা নিয়ে চিন্তিত নই। একটা দেশকে প্রতিনিধত্ব করবেন, একটা দেশের অধিনায়ক হবেন, আপনার কাছে চাপ আসবেই।’

দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষ করে বাংলাদেশ দলের প্রথম বহর ফিরেছে বুধবার (১৩ এপ্রিল)। সকালে তাদেরকে বহনকারী বিমান অবতরণ করে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। আরও দুই ভাগে ভাগ হয়ে বাকি সদস্যরা আসবেন আগামীকাল।

বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক মুমিনুল বলেন, ‘রেজাল্ট না করলে বিশ্বের যে কোনো অধিনায়কের কাছেই চাপ আসবে। যদি দেখেন, (ইংল্যান্ডের টেস্ট দলনেত জো) রুট এক বছরে ছয়-সাতটা সেঞ্চুরি করেছে, তারপরও তার কাছে চাপ আসে (দল ভালো না করায়)।

সংবাদিকের এক প্রশ্নের পাল্টা জবাবে বাঁহাতি এই অভিজ্ঞ ব্যাটার বলেন, ‘চাপ নিতে না পারলে তো হবে না, যেটা আমি বিশ্বাস করি। আপনি বিশ্বাস করেন কিনা আমি জানি না।’

কেবল অধিনায়কত্বের চাপ নয়, ব্যাটিং নিয়েও বিপাকে আছেন মুমিনুল। তার দক্ষিণ আফ্রিকা সফর কেটেছে দুঃস্বপ্নের মতো। দুই টেস্টের চার ইনিংসের সবকটিতে দুই অঙ্কে যেতে ব‍্যর্থ হন তিনি। তার স্কোর যথাক্রমে ০, ২, ৬ ও ৫। দলের বিপর্যয়ে ত্রাতা হওয়া তো দূরে থাক, ন্যূনতম প্রতিরোধও দেখা যায়নি তার ব্যাটে। তবে পোর্ট এলিজাবেথে দ্বিতীয় টেস্টের পর তিনি জানিয়েছিলেন, নিজের বাজে ফর্ম নিয়ে উদ্বিগ্ন নন।

সফরের শুরুতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে প্রোটিয়াদের পুরো শক্তির বিপক্ষে লড়তে হয়েছিল তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন দলকে। তবে আইপিএল শুরু হওয়ায় প্রোটিয়াদের সেরা তারকাগুলো টেস্ট সিরিজে থাকতে পারেনি। তুলনামূলক বাংলাদেশের থেকেও কম শক্তি নিয়ে দল সাজায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তারপরও মুমিনুলদের সঙ্গী হয় একরাশ হতাশা।