ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ফাইনাল নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংঘর্ষ বৈশ্বিক সংবাদমাধ্যমে

প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২১, ১৪:১১

সাহস ডেস্ক

ব্রাজিল-আর্জেন্টির ম্যাচ নিয়ে বাংলাদেশে এমনিতেই উম্মাদনার শেষ নেই। তার উপর যদি হয় কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ তহালেতো কথাই নেই। হতে পারে যুক্তিতর্ক থেকে তা কদর্য হাতাহাতি এমনকি প্রাণহানির পর্যায়েও গড়ায়। সে রকমই হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। কোপা আমেরিকার ফাইনালে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা মুখোমুখি হওয়া নিয়ে এমনি এক সংঘর্ষ হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। পরে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হছে। এ এখর ছড়িয়ে পড়েছে বৈশ্বিক সংবাদমাধ্যমে।

সংবাদ সংস্থা এএফপি এই ঘটনা ও ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ফাইনাল নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের খবর প্রকাশের পর তা ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বজুড়ে।

এএফপির সংবাদে বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম তাদের জানিয়েছেন, ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার মধ্যে কোন দেশ ভালো খেলে, তা নিয়ে তর্কে হাতাহাতি হয় দুটি ছেলের মধ্যে।

তাদের সঙ্গে যোগ দেন আরও কিছু ভক্ত। কোপার ফাইনাল হবে ব্রাজিলের মারাকানা স্টেডিয়ামে। সেখান থেকে প্রায় ১৫ হাজার কিলোমিটার দূরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই দেশের এই ফাইনাল নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদা সতর্ক রয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর থানার এই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

রবিবার (১১ জুলাই) বাংলাদেশ সময় ভোর ছয়টায় কোপা আমেরিকার ফাইনালে ব্রাজিলের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা।

এমরানুল ইসলাম এএফপিকে বলেন, আমরা গ্রামবাসীকে বলেছি তারা বড় পর্দায় এ ম্যাচ দেখতে পারবেন না। ফাইনালের সময় গ্রামবাসীকে জমায়েত হয়ে খেলা দেখতে নিষেধ করা হয়েছে।

করোনা মহামারির মধ্যে একাধিক লোকের জমায়েত হয়ে খেলা দেখায় সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ে। এ ছাড়া তর্ক-বিতর্কের জের হিসেবে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঝুঁকি তো থাকেই।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার ম্যাচ থাকলে কিংবা বিশ্বকাপে লাখো মানুষ পছন্দের দলের পতাকা ওড়ায়, রাস্তায় শোভাযাত্রাও বের করে।

গত বিশ্বকাপে ব্রাজিলের পতাকা ওড়াতে গিয়ে ১২ বছর বয়সী এক কিশোর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েও মারা যায়। এবার কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনার পতাকা টাঙাতে গিয়েও গাইবান্ধায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক যুবকের মৃত্যু ঘটে।

আর্জেন্টিনার একমাত্র ইংরেজি ভাষার সংবাদমাধ্যম ‘বুয়েনস এইরেস টাইমস’ এই সংবাদ তাদের অনলাইনের ক্রীড়া বিভাগে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করেছে।

ফ্রান্সের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম ‘ফ্রান্স ২৪’-এর অনলাইন মাধ্যমেও এ খবর প্রকাশ করা হয়। মিসরের সংবাদমাধ্যম ‘আল-আরহাম’-এর অনলাইন সংস্করণেও এ খবর প্রকাশ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের অনলাইন সংবাদমাধ্যম ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমসেও খবরটি প্রকাশ করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত