সকিবের আচরণ খতিয়ে দেখবে সিসিডিএম

প্রকাশ : ১১ জুন ২০২১, ২০:৩৪

সাহস ডেস্ক

এলবিডব্লিউ আবেদনে রেফারি সায় না দেয়ায় লাথি মেরে স্টাম্প ভেঙেছেন সাকিব আল আসান। এমনকি বৃষ্ট্রির জন্য খেলা বন্ধ করে দেওয়ায় স্টাম্প উপরে আছাড়ও মেরেছন। পরে মাঠ থেকে বেড় হয়ে যাওয়ার সময় খাদেল মাহমুদ সুজনের সঙ্গেও বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছেন সাকিব। এখন কি হবে তার? এ বিষয়ে খতিয়ে দেখবে সিসিডিএম।

আজ শনিবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে আবাহনী লিমিটেড ও মোহামেডান স্পোটিং ক্লাব মুখোমুখি হয়েছিল। আর এই ম্যাচের পঞ্চম ওভারের শেষ বল থেকেই শুরু হয়েছে এমন কাণ্ড।

ম্যাচের দুই আম্পায়ার ইমরান পারভেজ ও মাহফুজুর রহমান এবং ম্যাচ রেফারি মোরশেদুল আলমের প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করছে সিসিডিএম।

বিসিবির পরিচালক ও সিসিডিএম-প্রধান কাজী ইনাম আহমেদ আজ বিকেলে সাংবাদিকদের বলেছেন, এখানে ম্যাচ রেফারি, আম্পায়াররা একটা প্রতিবেদন দেবে। এখানে নিয়মনীতি যা থাকার, সবই আছে। নিয়ম ভাঙলে কী হয়, সেটাও সবাই জানে। যে প্রতিবেদনই আসুক, আমরা সেই অনুযায়ী কাজ করব।

তিনি বলেন, ম্যাচের মধ্যে অনেক সময় ক্রিকেটাররা উত্তেজিত হয়। তবে আমরা অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের কাছে আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখার ব্যাপারটি প্রত্যাশা করি।

তিনি আরো বলেন, আমি নিজেও ছোটবেলা থেকে আবাহনীর সমর্থক। আবাহনী-মোহামেডান খেলা মানেই উত্তেজনা। তবে আজ মাঠের মধ্যে যা দেখেছি, তা হতাশাজনক। এখানে যারা খেলছে, সবাই পেশাদার ক্রিকেটার, অনেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। আমরা এমন উদাহরণ দেখাতে চাই না।

উল্লেখ্য, মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ১৪৪ রান সংগ্রহ করে মোহামেডান। ১৪৫ রানের জবাবে ইনিংসের পঞ্চম ওভারে আবাহনী অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের বিপক্ষে এলবিডব্লুর আবেদনে আম্পায়ার ইমরান পারভেজ সাড়া না দিলে মেজাজ হারিয়ে সঙ্গে সঙ্গে স্টাম্পে লাথি মারেন সাকিব।

এখানেই শেষ নয়। আবাহনীর ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে বৃষ্টি নামলে আম্পায়ার মাহফুজুর রহমান খেলা বন্ধ ঘোষণা করেন। তিনি যখন মাঠকর্মীদের কাভার আনার ইশারা দিচ্ছেন, তখন সাকিব আম্পায়ারের দিকে এগিয়ে গিয়ে তিনটি স্টাম্পই তুলে উইকেটের ওপর ছুড়ে মারেন। তিনি এ সময় আম্পায়ারকে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়ে কিছু একটা বলছিলেন।

বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হলে খেলোয়াড়েরা মাঠ ছেড়ে যাওয়ার সময়ও নিজেকে সামলাতে বেশ কষ্ট হচ্ছিল সাকিবের। গ্যালারিতে থাকা আবাহনীর কিছু সমর্থকদের দিকে তাকিয়ে আঙুল তুলে কিছু বলছিলেন সাকিব। এমন সময় কী ভেবে যেন কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনও তেড়ে যান। পরে দুই দলের ক্রিকেটাররা দুজনকে আলাদা করেছেন। পরে অবশ্য পুরো ব্যাপারই মিটে গেছে। সাকিব আবাহনীর ড্রেসিংরুমে গিয়ে ক্ষমা চান মাহমুদের কাছে। মাহমুদও তাকে জড়িয়ে ধরে ঘটনার পরিসমাপ্তি ঘটান।

বৃষ্টি শেষে অবশ্য ভিন্ন সাকিবকেই দেখা গেল। প্রতিপক্ষ দলের মুশফিক, মোসাদ্দেক ও অন্যান্য ক্রিকেটারের সঙ্গে খুনসুটি করতে দেখা যায় সাকিবকে। যে আম্পায়ারের সঙ্গে একটু আগেই ঝামেলায় জড়ান, তাদের সঙ্গেই হেসে হেসে কথা বলছিলেন তিনি। সেই হাসিটা খেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত। বৃষ্টিতে আবাহনীকে ৯ ওভারে ৭৬ রানের নতুন লক্ষ্য দিলে ৪৪ রানে থামে আবাহনীর ইনিংস, ফলে মোহামেডান জেতে ৩১ রানে। খবর প্রথম আলোর।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত