ক্লাব বিশ্বকাপ জিতে ইতিহাস গড়ল বায়ার্ন

প্রকাশ : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৬:২০

সাহস ডেস্ক

ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে ফরাসী ফুটবলার বেঞ্জামিন পাভার্দে একমাত্র গোলে টাইগ্রেসকে হারিয়ে শিরোপা চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাস গড়েছে জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ। গত ৯ মাসের মধ্যে এ নিয়ে ৬ষ্ঠ শিরোপা ঘরে তুলেছে বায়ার্ন। অর্থ্যাৎ এক মৌসুমে যতগুলো ট্রফি জেতা সম্ভব, তারা সবই জিতেছে এই ক্লাব বিশ্বকাপ জয়ের মধ্য দিয়ে।

বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) কাতারের দোহায় এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে টাইগ্রেসকে ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে হ্যান্স-ডাইটার ফ্লিকের শিষ্যরা।

গত মৌসুমে ট্রেবল জয়ের পর উয়েফা সুপার কাপ, জার্মান সুপার কাপ এবং ক্লাব বিশ্বকাপের ট্রফি জিতল বায়ার্ন। বার্সেলোনার পর দ্বিতীয় দল হিসেবে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে ছয় শিরোপার সব ঘরে তুলল বায়ার্ন। এর আগে ২০০৯ সালে কোচ পেপ গার্দিওলার অধীনে এই কীর্তি গড়েছিল বার্সা।

এদিন ফাইনালে জিততে বেশ ঘাম ঝরাতে হয়েছে বায়ার্নকে। যদিও বাভারিয়ানরা একের পর এক চাপে রেখেছে টাইগ্রেসদের। আর টাইগ্রেসদের গোলকিপার নাহুয়েন গুজম্যান একের পর এক ঠেকিয়ে দিয়েছেন। অনেক পরীক্ষা দিয়ে হয়েছে তাকে।

তবে বিরতি থেকে ফিরে এসে এগিয়ে যায় বাভারিয়ানরা। ম্যাচের ৫৯ মিনিটে বাম পাশ দিয়ে পাভার্দের মাটি কামড়ানো শট পোস্ট ঘেঁষে জালে জড়ায়। আর এতেই বায়ার্নের জয় নিশ্চিত হয়। তবে শুরুতে রবার্ট লেভানডভস্কি অফসাইডে থাকা মনে হয় গোলটি বাতিল করা হয়। পরে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) সাহায্য দেখে গোলের বাঁশি বাজান রেফারি।

এর আগে টাইগ্রেসকে চাপে রাখা বায়ার্নকে ম্যাচের শুরুর ১৮ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নেয়া দুর্দান্ত শটে দলকে এগিয়ে দিয়েছিল জশুয়া কিমিচ। তবে রবার্ট লেওয়ানডস্কি অফসাইডে থাকার কারণে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে গোলটি বাতিল করেন রেফারি। পরে ম্যাবের বাকি সময়ে আর কোনো গোল না হলে এই ১-০ গোলের জয় নিয়ে উল্লাসে ভাসে বায়ার্ন মিউনিখ।

উত্তর বা মধ্য আমেরিকার প্রথম দল হিসেবে এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেললো মেক্সিকোর টাইগ্রেস। তবে এবারও অটুট থাকলো ইউরোপিয়ানদের আধিপত্য। এই নিয়ে টানা ৮ বছর এই শিরোপা গেছে ইউরোপিয়ান ক্লাবে। গত মৌসুমে ফিফা বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল লিভারপুল।

কাতারে গোল করতে ব্যর্থ হলেও ৩ গোল নিয়ে সর্বোচ্চ গোলের পুরস্কার গোল্ডেন বুট জিতেছেন টাইগ্রেসের সাবেক ফরাসি স্ট্রাইকার আন্দ্রে-পিয়েরে গিগনাক।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত