দ্বিতীয়ার্ধের পর পাত্তাই পেল না পিএসজি

ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানে ম্যাচের প্রথমার্ধে এমবাপ্পের জোড়ে গোলে এগিয়ে গিয়েও দ্বিতীয়ার্ধের শেষের দিকে সেস ফ্যাব্রেগাসের পেনাল্টি গোলে প্যারিস সেন্ট জার্মেইকে (পিএসজি) হারিয়ে দিয়েছে মোনাকো।

শনিবার (২১ নভেম্বর) স্তাদে লুইস স্টেডিয়ামে পিএসজিকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে মোনাকো।

অথচ শুরুর দিকে পিএসজির দুর্দান্ত ফর্মের সামনে পাত্তাই পাচ্ছিল না মোনাকো। ম্যাচের ৩৭ মিনিটের মধ্যেই কিলিয়ান এমবাপ্পের জাদুতে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। প্রথম গোলটা তো ছিল গতির দুর্দান্ত প্রদর্শনী।

ফরাসি সেন্টারব্যাক অ্যাক্সেল দিসাসিকে গতির খেলায় হারিয়ে ডান পায়ের নিখুঁত ফিনিশিংয়ে দলকে এগিয়ে দেন এমবাপ্পে। ম্যাচের ৩৭ মিনিটে মোনাকোর লেফটব্যাক ফোদে বালো তোরে পিএসজির রাফিনহা আলকানতারাকে ডি-বক্সে ফেলে দিলে পেনাল্টি পায় ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা।

এমবাপ্পের বিদ্যুৎগতির শট আটকানোর সাধ্য ছিল না মোনাকো গোলরক্ষক ভিতো মানোনের। প্রথমার্ধে ইতালিয়ান স্ট্রাইকার মইস কিন ও এমবাপ্পে আরও দুবার বল জালে জড়ালেও লাভ হয়নি, অফসাইডের খাঁড়ায় পড়ে বাতিল হয়েছে সেই দুই গোল। পরে এই ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় পিএসজি।

বিরতি থেকে ফিরে এসে মোনাকোর হয়ে মাঠে নামেন সেস ফ্যাব্রেগাস। আর নেমেই নিজের জাত চেনানো শুরু করেন। ফ্যাব্রেগাসকে পেয়ে মোনাকো যেন নতুন সঞ্জীবনী শক্তি খুঁজে পায়।

ফ্যাব্রেগাস ছাড়াও আরেক অভিজ্ঞ তারকা জার্মান স্ট্রাইকার কেভিন ভলান্ড দেখিয়েছেন ঝলক। অনেক দিন ধরেই তাকে মিরোস্লাভ ক্লোসার উত্তরসূরি হিসেবে ভাবা হলেও জাতীয় দল বা ক্লাব ক্যারিয়ারে তেমন কিছুই করতে পারেননি, এখন তার ঠাঁই হয়েছে মোনাকোয়।

সেখানেই ফ্যাব্রেগাসকে পাশে পেয়ে ঝলসে উঠলেন তিনিও। করলেন দুই গোল। শেষের পেনাল্টিটাও তিনিই জোগাড় করে দিলেন, ম্যাচের ৮৩ মিনিটে যে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন ফ্যাব্রেগাস।

চোট থেকে এই ম্যাচ দিয়েই ফিরেছেন পিএসজির ব্রাজিল তারকা নেইমার। দলকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন প্রাণপণে, লাভ হয়নি। মোনাকোই পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে।

হারের মধ্যেও পিএসজি–ভক্তরা সুসংবাদ পেয়েছেন কোচের কাছ থেকে। কোচ টমাস টুখেল জানিয়েছেন, ‘এই ম্যাচে বেঞ্চ থেকে নামলেও আগামী মঙ্গলবার লাইপজিগের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে প্রথম থেকেই খেলবেন নেইমার, থাকবেন মূল একাদশে।’