তামিমদের বিদায়, ফাইনালে শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ একাদশ

বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের ফাইনাল আগেই নিশ্চিত করে রেখেছিল নাজমুল হোসেন শান্তর একাদশ। সেখানে ফানাইলে উঠতে গেলে একটি জয় দরকার ছিল তামিম ইকাবাল একাদশের। তবে ফাইনালে উঠতে হলে হারাতে হবে শান্ত একাদশকে। এমন সমীকরণ নিয়ে টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ ম্যাচে খেলতে নেমে উল্টো শান্ত একাদশের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয়েছে তামিম একাদশ। ফলে আসরের শীর্ষ দুই দল হিসেবে ফাইনালে ওঠে নাজমুল ও মাহমুদউল্লাহর দল।

বুধবার (২১ অক্টোবর) মিরপুরে তামিম একাদশকে ৭ রানে হারিয়েছে শান্ত একাদশ।

এদিন বৃষ্টির কারণে ম্যাচ ৪১ ওভারে কমিয়ে আনা হয়। তবে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও মোস্তাফিজের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৬৫ রানেই অলআউট হয় নাজমুল একাদশ। দলের হয়ে প্রতি ম্যাচের মতো শুরুতেই টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা দেখা যায়। ২৫ রান তুলতেই প্যাভিলিয়নে ফেরত যান সৌম্য সরকার (৭), পারভেজ হোসেন ইমন (১০) ও নাজমুল হোসেন শান্ত (৫)।

চতুর্থ উইকেট জুটিতে মুশফিকুর রহিম ও আফিফ হোসেন দলের চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। ১৫ ওভারে ৩ উইকেটে ৫৪ রান তোলার পর বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় দেড় ঘণ্টার বেশি সময় খেলা বন্ধ থাকার পর খেলা আবার শুরু হয়। ৫০ ওভারের ম্যাচ ৪১ ওভারে নামিয়ে আনা হয়।

মুশফিক ও আফিফ বেশ আস্থার সঙ্গে ৫০ রানের জুটি গড়েন। ৭৪ বলে অর্ধশতক তুলে নেন মুশফিক। তবে ইনিংস বেশি বড় করতে পারেননি তিনি। ফিফটি করার পরের বলেই দলীয় ১১৫ রানের মাথায় আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান মুশফিক (৫১)। ভাঙে ৯০ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি। এরপর আর কোনো ব্যাটসম্যান বড় রান করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ৩৯.৩ ওভারে ১৬৫ রানে অলআউট হয় নাজমুল একাদশ।

তামিম একাদশের হয়ে বল হাতে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ৫টি, মোস্তাফিজুর রহমান ৩টি এবং শেখ মেহেদি হাসান ২টি উইকেট নেন।

১৬৬ রানের টার্গেট থাকলেও বৃষ্টি আইনে ১৬৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৫৬ রানে অল আউট হয়ে যায় তামিমের দল। ব্যাট হাতে শুরুতেই এনামুল হক বিজয়ের (৭) উইকেট হারায় তামিম একাদশ। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তামিম ইকবাল ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৫০ রানের জুটি গড়ে দলকে আর চাপে পড়তে দেয়নি। দলের সহজ জয়ের ভিত্তি গড়ে দেন তারা।

তামিম দলীয় ১০১ রানের মাথায় ৫৭ রান করে আউট হন। এরপর ইয়াসির আলী আলী রাব্বি (৬), মোসাদ্দেক হোসেন (৬), মেহেদি হাসান (৪) ও আকবর আলী (১) বিদায় নিলে ১৪৪ রানে সাত উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় তামিমের দল।

এরপর মোহাম্মদ মিঠুন ২৯ রান করে বিদায় নিলে চাপ আরও বাড়ে তামিমের দলে। শেষ ওভারে জয়ে জন্য দরকার ছিল ১৫ রান। সৌম্য সরকাররের করা ৪১তম ওভারটি আর ১৫ রান তুলতে পারেননি সাইফউদ্দিন। শেষ পর্যন্ত ১৫৬ রানে অল আউট হয় তামিম একাদশ।

নাজমুল একাদশের হয়ে বল হাতে তাসকিন আহমেদ ৪টি এবং আল আমিন হোসেন, আবু জায়েদ রাহি, নাসুম আহমেদ ও সৌম্য সরকার ১টি করে উইকেট নেন।