ম্যাচ পাতানোর অধিকাংশ অভিযোগই ভারত সংশ্লিষ্ট: রিচার্ডসন

ম্যাচ পাতানোর যত ঘটনা তার অধিকাংশেই ভারত সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাচ্ছে আইসিসির দুর্নীতি-বিরোধী বিভাগ। জুয়াড়িরা এখন ঘরোয়া ক্রিকেটের নিচু স্তরে নজর দিয়েছে বলে জানিয়ে রিচার্ডসন বলেন, ‘আমরা এখন ম্যাচ পাতানো নিয়ে ৫০টি ঘটনা তদন্ত করছি এবং অধিকাংশ অভিযোগই ভারত সংশ্লিষ্ট।’

আজ ২১ জুন (রবিবার) ক্রীড়া আইন ও নীতিসংক্রান্ত এক ক্লাসে আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ইউনিট (এসিইউ) এর তদন্ত সমন্বয়ক স্টিভ রিচার্ডসন ভারতীয় ক্রিকেটের অন্ধকার দিকের কথা তুলে ধরে একথা বলেন।

নিয়মিত এমন অপরাধ করছেন, এমন জুয়াড়িদের নাম সংস্থাটির কাছে আছে- এমন দাবিও করেছেন রিচার্ডসন। তিনি বলেন, ‘খেলোয়াড়েরা হলো এই চেইনের শেষ যোগসূত্র। আসল সমস্যা হলো যারা এই অপরাধের আয়োজক। যারা খেলোয়াড়দের টাকা দিচ্ছে। যারা খেলার বাইরে। আমি এখনই এমন আটজনের নাম ভারতের পরিচালনা সংস্থার কাছে দিতে পারি যারা নিয়মিত খেলোয়াড়দের এভাবে বিপথে টেনে নিচ্ছে।’

ভারতে কিছুদিন আগেই ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে কর্ণাটক লিগ বাতিল হয়েছে। এক দলের মালিক ও কিছু খেলোয়াড়কে নিয়ে তদন্ত চলছে। কিন্তু রিচার্ডসন বলছে, ‘এসবে কোনো লাভ হবে না, যত দিন না ভারতে ম্যাচ পাতানোকে ফৌজদারি আইনে অপরাধ বলে ঘোষণা করা না হয়।’

রিচার্ডসন শ্রীলঙ্কার উদাহরণ টেনে বলেছেন, ‘শ্রীলঙ্কা প্রথম দেশ হিসেবে ম্যাচ পাতানোর আইন এনেছে। এ কারণে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট এখন আগের চেয়ে বেশি সুরক্ষিত। অস্ট্রেলিয়ার ক্ষেত্রে আমরা আগ থেকেই সতর্ক। বর্তমানে ভারতে কোনো আইন নেই, ফলে ওরা (দুর্নীতি বিরোধী কমিটি) এক হাত বাঁধা অবস্থায় কাজ করছে।’