শেরপুরে কিশোরী ফুটবলারের ধর্ষক গ্রেপ্তার

বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টে চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণসহ স্থানীয় বিভিন্ন টুর্নামেন্টে কৃতিত্বপূর্ন অবদান রয়েছে এক দরিদ্র কিশোরী ফুটবলারের। বাবার মৃত্যুর পর ৬ সদস্যের পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়লে শেরপুর, টাঙ্গাইলসহ বিভিন্ন জেলায় ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলে পরিবারকে সহায়তা করে আসছিলেন এই দরিদ্র কিশোরী।

পরিবারকে সহায়তা ছাড়াও ফুটবল নিয়ে তার স্বপ্ন ছিল অনেক। হয়তো বড় একজন ফুটবলার হবেন কিন্তু তা আর হলো না। তার স্বপ্ন ভেঙে দিল দিনমজুর আজগর আলী (৫০) নামে এক প্রতিবেশী। ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন ওই কিশোরী ফুটবলারকে। পরে আবার বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঘটনা আড়াল করার চেষ্টাও করছিলেন আজগর। পরে কিশোরীটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে এবং গত ১৩ মে সন্তান প্রসব করে।

আজগর শেরপুরের নকলা পৌর এলাকার কুর্শাবাদাগৈরড় মহল্লার মৃত টেপু মিয়ার ছেলে। তার স্ত্রী-সন্তান এবং নাতি-নাতনীও রয়েছে।

এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে স্থানীয় একটি মহল ঘটনার মিমাংসা ও ধামাচাপা দিতে চেষ্টা চালায়। এমনকি কিশোরীর পরিবারকে এলাকা থেকে বিতাড়িত করার হুমকিও দেয়া হয়। পরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন কিশোরী ফুটবলার।

এদিকে জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মানিক দত্ত ও সাধারণ সম্পাদক হাকিম বাবুল ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও অপরাধীর বিচার দাবি করেছেন।

শেরপুরের নকলায় জন্ম নেওয়া ওই কিশোরী ফুটবলারের দায়ের করা মামলায় ধর্ষক আজগর আলীকে গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ মে) বিকালে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করে নকলা থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন শাহ বলেছেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কিশোরীর দায়ের করা মামলায় দিনমজুর আজগর আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিকে আজ শুক্রবার (২২ মে) বিচারিক হাকিমের আদালতে সোপর্দ করা হয়। ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা করা হবে।’