শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে বার্সেলোনাকে হারিয়ে ফাইনালে অ্যাটলেটিকো

স্প্যানিশ সুপার কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে বার্সেলোনাকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ। যদিও প্রথম সেমিতে ভ্যালেন্সিয়াকে ৩-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে আগেই ফাইনালে পা রেখেছে রিয়াল মাদ্রিদ।

৯ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাতে সৌদি আরবের কিং আব্দুল্লাহ স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে আর্নেস্তো ভালভার্দের শিষ্যদের ৩-২ গোলে হারিয়েছে দিয়েগো সিমিওনের দল।

এদিন ম্যাচের শুরু থেকে অবশ্য লাগাম ছিল বার্সার হাতে। তবে লিওনেল মেসি-লুইস সুয়ারেজ-আঁতোয়া গ্রিজম্যানরা আক্রমণের ঢেউ তুললেও গোলের দেখা পায়নি প্রথমার্ধে। দুই দলই বিরতিতে যায় গোলশূন্য ব্যবধানে। 

প্রথমার্ধে গোলের জন্য মরিয়া হলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পিছিয়ে পড়ে বার্সা। ম্যাচের ৪৬তম মিনিটে অ্যাঙ্গেল কোরেয়ার পাস থেকে অ্যাতলেটিকোকে এগিয়ে দেন মিডফিল্ডার কোকে।

গোল হজমের পর অবশ্য বেশিক্ষণ মুখ বুঝে সহ্য করেনি আরনেস্তো ভালভার্দের শিষ্যরা। ম্যাচের ৫১তম মিনিটে সুয়ারেজের পাস থেকে কাতালানদের সমতায় ফেরান মেসি। ম্যাচের ৫৯তম মিনিটে অ্যাতলেটিকোর জালে আরেকবার বল জড়িয়ে দিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। কিন্তু ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি’র (ভিএআর) সহায়তায় সেই গোল বাতিল করে দেন রেফারি।

তবে লিড নেওয়ার ক্ষেত্রে বার্সাকে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ম্যাচের ৬২তম মিনিটেই এগিয়ে যায় বার্সা। সুয়ারেজের ক্রস অ্যাতলেটিকো গোলরক্ষক ওবলাক ঠেকিয়ে দিলেও ফিরতি বলে নেওয়া গ্রিজম্যানের হেডে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেননি। পুরনো ঠিকানার বিপক্ষে গোল করে কাতালানদের এগিয়ে দেন গ্রিজিম্যান।

ব্যবধানটা ৩-১ হতে পারতো ৭৪ মিনিটে। আর্তুরো ভিদালের কাছ থেকে বল পেয়ে অ্যাতলেটিকোর জালে বল জড়িয়ে দিয়েছিলেন জেরার্ড পিকে। কিন্তু এবারও ভিএআরের সাহায্য নিয়ে অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল করে দেন রেফারি।

তবে আগের ব্যবধানটা ধরে রেখে জয়ের বন্দরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল গত আসরের লা লিগা চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু দুর্ভাগ্যের শিকার হতে বার্সাকে রুখতে পারেনি কেউ। ম্যাচের ৮০তম মিনিটে বল নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়া অ্যাতলেটিকোর বদলি খেলোয়াড় ভিতোলোকে রুখতে গিয়ে ফাউল করে বসেন ক্যাম্প ন্যুয়ের ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক নেতো। ম্যাচের ৮১তম মিনিটে পেনাল্টি কিক থেকে অ্যাতলেটিকোকে সমতায় ফেরান আলভারো মোরাতা।

এরপর ম্যাচের ৮৬তম মিনিটে বার্সার সব হিসাব নিকাশ পাল্টে দিয়েছে অ্যাতলেটিকোর কোরেয়া। মোরাতার পাস থেকে বার্সার জালে বল জড়িয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেন কোরেয়া। এরপর হতাশ বার্সা বাহিনী বাকি সময়ে আক্রমণের ধার বাড়ালেও আর সমতায় ফিরতে পারেনি। অবশেষে শ্বাসরুদ্ধকর জয়ে ফাইনালের টিকেট কাটে অ্যাতলেটিকো।