আসছে বাংলা ডোমেইন ও যুক্তাক্ষর লেখার সমাধান

প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০১৯, ১৫:৫২

সাহস ডেস্ক

বাংলা ডোমেইন নেম বা ওয়েবসাইটের ঠিকানা লিখতে এবং ইন্টারনেটে বাংলায় তথ্য খুঁজতে প্রায়ই দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বিড়ম্বনার সম্মুখীন হতে হয়।

বুধবার স্পেনের বার্সেলোনায় মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে এ আন্তর্জাতিক ডোমেইন ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রক সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশি প্রতিনিধি দল।।

আন্তর্জাতিক ডোমেইন ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইক্যান জানিয়েছে, তারা বিষয়টির সমাধানে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে। সংশ্লিষ্টদের মতে, আইক্যানের এমন উদ্যোগে ঘুচবে বাংলা ডোমেইন ও যুক্তাক্ষর লেখা সমস্যার সমাধান।

এ সময় মন্ত্রী আইক্যান কর্তৃপক্ষের কাছে ইউনিকোডে বাংলা ভাষার সমস্যাগুলো তুলে ধরে বলেন, ‘বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বাংলাদেশিরা বুকের রক্ত দিয়েছে। বাংলা ভাষার চর্চা ও বিকাশেও বাংলাদেশের অবদানই সবচেয়ে বেশি। দুঃখজনক হলেও সত্য, ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম বাংলা লিপি উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মতামতকে অনেক ক্ষেত্রেই গৌণভাবে দেখেছে।’

বাংলাদেশের ভাষাবিজ্ঞানীসহ সাধারণ ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা ও মতামতকে বাংলা ইউনিকোড লিপি উন্নয়নে বিবেচনায় রাখার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার বাংলা ভাষার প্রযুক্তিগত ব্যবহারকে যুগোপযোগী এবং সহজসাধ্য করতে বেশ কিছু কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার উন্নয়নে সরকার ১৬০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করেছে।

বাংলা ভাষা চর্চা ও গবেষণা, বাংলা ভাষার উন্নয়নের কাজ এগিয়ে নেয়া এবং তথ্যপ্রযুক্তিতে এর প্রয়োগ করা আলাদা কোনো এজেন্ডা নয়, এর সঙ্গে আমাদের আত্মার সম্পর্ক।’ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আইক্যানের প্রেসিডেন্ট ও সিইও গোরান মারবাই এবং চিফ টেকনিক্যাল অফিসার ডেভিড কনার্ডসহ শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা।

বাংলাদেশের দলে ছিলেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘বাংলা ভাষায় যখন ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম হয়, তখন বাংলাদেশ থেকে কোনো মতামত না নেয়ায় বাংলা ইউনিকোডে ত্রুটি রয়ে গেছে। ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম শুরু হয় ১৯৮৭ সালে। আমরা এ কনসোর্টিয়ামে ঢুকেছি ২০১০ সালে। ফলে এ ২৩ বছরে বাংলাদেশের কোনো প্রতিনিধিত্ব ছিল না। ফলে বাংলার যেসব ইস্যুগুলো ছিল তা সিরিয়াসলি আনঅ্যাড্রেস ছিল।’

মন্ত্রী বলেন, ‘দেবনাগরী যেহেতু ফলো করা হয়েছে তাই আমাদের দাঁড়ি, ডাবল দাঁড়ি তাতে রয়ে গেছে। আর আমাদের ড়, ঢ়, য় লিখতে ওরা নোকতা ব্যবহার করে। আমাদের যে স্বরচিহ্নগুলো এগুলোকে আমরা কার চিহ্ন বলি আর ওরা বলে মাত্রা।

আমরা কিন্তু আমাদের স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করে ফেলেছি। কিন্তু ইউনিকোডে বাংলার এই সমস্যার কারণে আমরা যখন ডটবাংলায় বাংলা ডোমেইনে লিখতে যাচ্ছি তখন বাংলার ড়, ঢ়, য় এর প্রতিটি ক্যারেক্টারের জন্য দুটি করে কোড দিতে হয়।

নোক্তা একটা আর ড একটা, নোক্তা একটা ঢ একটা- এমন করে। এটির পাশাপাশি সার্চ ইঞ্জিনেও বাংলায় তথ্য খুঁজতেও ঝামেলা তৈরি করছে। বৈঠকে আইক্যান বাংলা ডোমেইন ও ইউনিকোডের যুক্তাক্ষর লেখা সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার ব্যাপারে মন্ত্রীকে আশ্বস্ত করে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত