মহাষ্টমীতে আজ কুমারী পূজা

প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২১, ০৯:৩৮

সাহস ডেস্ক

শারদীয় আবেশ লেগে আছে প্রকৃতি জুড়ে। নীলাকাশ, সাদা মেঘের ভেলা, কাশফুলের সমারোহ। শিউলি ঝরা প্রভাত। ঘাসের পরে শিশির বিন্দু। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসবের জোয়ার বইছে চারদিকে। ফুল, বেলপাতা দিয়ে অঞ্জলি শেষে ভক্তরা দেবীর কাছে প্রার্থনা করেন। পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং করোনাভাইরাস থেকে বিশ্ববাসীকে মুক্ত করার জন্য তারা প্রার্থনা করেন।

বুধবার (১৩ অক্টোবর) অষ্টমীর দিন সকালে প্রতিবছরের মতো এবারো রয়েছে মায়ের চরণে ভক্তদের পুষ্পাঞ্জলির অনুষ্ঠান। রয়েছে সন্ধিপূজা। মহাষ্টমীর মূল আকর্ষণ ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনসহ অন্যান্য স্থানের কুমারীপূজা। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে এবারও রামকৃষ্ণ মিশনে কুমারীপূজা হচ্ছে না।

আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সকালে বিহিত পূজার মাধ্যমে হবে মহানবমী পূজা। আর শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) সকালে দর্পণ বিসর্জনের পর প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।

শারদীয় দুর্গাপূজার মহাসপ্তমী নবপত্রিকা স্নান ও প্রতিস্থাপনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকঢোল, উলুধ্বনিতে মন্দির ও মণ্ডপগুলো মুখরিত হয়ে ওঠে। ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরসহ সব মন্দির ও পূজামণ্ডপে ভক্ত-দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা গেছে।

মেরুতন্ত্রে বলা আছে, সর্বকামনা সিদ্ধির জন্য ব্রাহ্মণ কন্যা, যশোলাভের জন্য ক্ষত্রিয় কন্যা, ধনলাভের জন্য বৈশ্য কন্যা ও পুত্রলাভের জন্য শূদ্রকুল জাত কন্যা কুমারী পূজার জন্য যোগ্য। গুণ ও কর্ম অনুসারেই এই জাতি বা বর্ণ নির্ধারিত হয়। সে জন্যই প্রচলিত শাস্ত্র অনুসারে, বিভিন্ন মিশন ও মন্দিরগুলোতে সর্বমঙ্গলের জন্য ব্রাহ্মণ কন্যাকেই দেবীজ্ঞানে পূজা করা হয়। সব নারীর মধ্যেই বিরাজিত রয়েছে দেবীশক্তি। তবে কুমারী রূপেই মা দুর্গা বিশেষভাবে প্রকটিত হয়েছিলেন। তাই কুমারী রূপে নারীকে দেবীজ্ঞানে সম্মান জানানোর একটি হচ্ছে ‘কুমারী পূজা’। ১৯০১ সালে স্বামী বিবেকানন্দ শুরু করেছিলেন বেলুড়মঠের দুর্গাপুজো। সেই বছরই কুমারী পুজোর প্রচলন করেছিলেন তিনি।

সাহস২৪.কম/এমআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত