মসজিদে ঈদুল আজহার নামাজ আদায়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ১৪ শর্ত

প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২০, ০২:৩৩

সাহস ডেস্ক

ঝুঁকি বিবেচনা করে ঈদুল আজহার জামাত ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে নিকটস্থ মসজিদে আদায়সহ ১৪ শর্তে ঈদুল আজহার জামাত আদায়ের নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. সাখাওয়াৎ হোসেন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঈদুল আজহার নামাজ আদায়ের বিষয় দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম ওলামা এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে গত ১২ জুলাই ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়। সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক জামাত অনুষ্ঠানের বিষয়ে জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক শর্তসাপেক্ষে ঈদুল আজহার নামাজের জামাত মসজিদে আদায়ের জন্য আহ্বান জানানো হলো।


শর্তগুলো হলো:

১. ঝুঁকি বিবেচনা করে ঈদুল আজহার জামাত ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে নিকটস্থ মসজিদে আদায় করতে হবে। প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামাত আদায় করা যাবে।
২. ঈদের নামাজের জামাতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে। মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন।
৩. প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে অজু করে মসজিদে আসতে হবে এবং অজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
৪. করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদে অজুর স্থানে সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।
৫. মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে।
৬. ঈদের নামাজের জামাতে আগত মুসল্লিদের অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।
৭. ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে এবং এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে।
৮. শিশু, বৃদ্ধ, যেকোনও অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ঈদের নামাজের জামাতে অংশগ্রহণ করবেন না।
৯. সর্বসাধারণের সুরক্ষার নিমিত্তে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।
১০. করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধকল্পে মসজিদে জামায়াত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করতে হবে।
১১. করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে দোয়া করার জন্য খতিব ও ইমামদের অনুরোধ করা হলো।
১২. খতিব, ইমাম, মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার অনুরোধ করা হলো।
১৩. পশু কোরবানির ক্ষেত্রে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
১৪. প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, জনপ্রতিনিধি, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদ পরিচালনা কমিটি উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত