বাংলাদেশে বর্ণবাদ বা বর্ণবৈষম্য

প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২২, ১৭:৪১

মৌ ইসলাম মুক্তা

“আমি বর্ণবাদকে ঘৃণা করি। কারণ এটাকে আমি বর্বর জিনিস হিসেবে বিবেচনা করি। বর্ণবাদ- সে কালো বা সাদা যার কাছ থেকেই আসুক না কেন।” -নেলসন ম্যান্ডেলা (১৯১৮-২০১৩)

আফ্রিকান ভাষার শব্দ ‘আপার্টহাইট’ থেকে বর্ণবাদ বা বর্ণবৈষম্য শব্দটি এসেছে যার মূল অর্থ হল বিভাজন বা বিচ্ছিন্নতা। ১৬৫২ সালে আফ্রিকাতে শ্বেতাঙ্গ মানুষের বসতি স্থাপনের শুরু থেকেও বর্ণবাদ নীতির প্রচলন শুরু হলেও ১৯৩০ সালে প্রথম বর্ণবাদ শব্দের উৎপত্তি হয়।

বর্ণবাদ বা বর্ণবৈষম্য কী? বর্ণবাদ হচ্ছে সেই দৃষ্টিভঙ্গি, বিশ্বাস, কার্যকলাপ যেখানে কোন জাতি বা মানুষের কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের (যেমন গায়ের রং, ভাষা, ধর্ম, জাতীয়তাবাদ, আঞ্চলিকতা, ক্ষমতা, কর্পোরেট পুঁজি, লিঙ্গ) জন্য তাদের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও নৈতিক অবস্থান আলাদা করে দেওয়া হয়। বর্ণবাদ শব্দটি পশ্চিমা বিশ্বে বহুল ব্যবহৃত হলেও ‘বাংলাদেশ’ কে বর্ণবাদের প্রকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে দেওয়া যায়। সাধারণ অর্থে বাংলাদেশে কোন বর্ণবাদ নেই। অন্তত এদেশের জন্মগতভাবে উজ্জ্বল রঙ ধারণকারী ব্যাক্তিরা ‘বাংলাদেশ বর্ণবাদ মুক্ত’ ট্যাগ ধারণ করে পশ্চিমা বিশ্বের বর্ণবাদী ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও শোক প্রকাশ করেন। কিন্তু বিশ্বাস করুন, বাংলাদেশ বর্ণবাদী দেশ, এদেশের মানুষ বর্ণবাদী, প্রচন্ডভাবে বর্ণবাদী। এদেশের মানুষ মননে-মগজে-মস্তিস্কে বর্ণবাদ তত্ত্বটি মনের অগোচরে সযত্নে লালন করেন আর তার প্রতিফলন ঘটান নিজস্ব আচার-আচরণে, শব্দচয়নে, শিক্ষা-সাহিত্যে, সংস্কৃতিতে কিংবা নাটক-সিনেমা-উপস্থাপনায়। এদেশের মানুষের রন্ধ্রে রন্ধ্রে বর্ণবাদ তত্ত্বটি ঢুকে গেছে বিধায় তারা তা দেখতে পান না।

বাংলাদেশে বর্ণবাদ! এও কী বাস্তব! এদেশে বর্ণবাদ বিভিন্ন উপমায় বিভক্ত, কুচকুচে কালো, ময়লা কালো, শ্যামলা, উজ্জ্বল শ্যামলা। এদেশে বর্ণবাদের প্রত্যক্ষ ও একমাত্র শিকার কালো মেয়েরা। জন্মদাত্রী মা থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্রে অফিসের বস পর্যন্ত নিজের অজান্তেই কালো মেয়ের প্রতি বর্ণবাদী মনোভাব পোষণ করেন এবং প্রতিটি কার্যকলাপে তার প্রতিফলন ঘটান। হোক সেটা মায়ের তার মেয়ের পোশাক নির্বাচন করে দেওয়া কিংবা অফিসের বসের সুন্দরী কলিগকে প্রমোশন দেওয়াতে।

জন্মদাত্রী মাকেও বর্ণবাদী বলছেন? হ্যাঁ, বলছি। তাই বলে অভিশম্পাত করবেন না। এদেশের হাজার বছরের চিরচায়িত নিয়মের অভ্যস্ততা কিংবা পরিবারের সুপ্ত ইচ্ছার জেরেই হোক, একজন মা যখন সন্তান ধারণ করেন, তিনিও মনে পুত্র সন্তানের সুপ্ত ইচ্ছা লালন করেন। এ কি বর্ণবাদী মনোভাব নয়? এদেশে ছেলে মানেই বংশের প্রদীপ, ভবিষ্যতের উত্তরাধীকারী, শেষ বয়সের একমাত্র অবলম্বন, আশ্রয়দাতা। আর মেয়ে? সে তো পরের ঘরের আমানত। জন্মের পর থেকে মেয়েরা বাপের বাড়িতে পরের ঘরের আমানত বলেই লালিত হন, আর শ্বশুর বাড়িতে পরের বাড়ির মেয়ে বলে গালি খান। এও এক বর্ণবাদ, যার নাম লিঙ্গবৈষম্য বর্ণবাদ যা এদেশে বাবা-মায়েরা নিজের অজান্তেই অতি সযত্নে নিজের মধ্যে লালন করেন।

কোথায় নেই বর্ণবাদ? বর্ণবাদের কঠিন বাস্তবতা হচ্ছে এই একুশ শতকেও এদেশে পুত্র সন্তানের কামনা করা হয়। যদি কন্যা সন্তান হয়ও, তাকে হতে হবে সুশ্রী, ধবধবে সাদা, নিটোল দেহের অধিকারী যাতে ভবিষ্যতে বিয়ে দিতে কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয়। কালো মেয়ের জন্ম মানেই বাবা-মার জন্য অভিশাপ। 'জন্মই যখন আজন্ম পাপ' কথাটি এদেশের কালো মেয়ের ক্ষেত্রে খুবই মানানসই বাক্য। 'আইয়ামে জাহেলিয়া'র যুগে মেয়েদের জীবন্ত কবর দেওয়া হত। এই একুশ দশকে পরকালে শাস্তির ভয়েই হোক কিংবা আইনের ভয়ে মেয়েরা জীবন্ত কবর দেওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেলেও তাকে তার সমস্ত শখ-আহ্লাদ, ইচ্ছা-অনিচ্ছা বিসর্জন দিয়ে জীবন্ত লাশের মতোই বেঁচে থাকতে হয়। জন্মের পর থেকে বিয়ের আগ পর্যন্ত সে বাবা-মার ইচ্ছার পুতুল, আর বিয়ের পর স্বামীর ইচ্ছার পুতুল। তারা নিজেদের মন-মর্জি মতো পুতুল নিয়ে খেলা করেন, আর পুতুল যদি অসম্মতি জানায় তাহলে অবাধ্য মেয়ে, অবাধ্য স্ত্রী নামক ট্যাগ লাগিয়ে দেন। একটি কালো মেয়ে যতই বড় হতে থাকে বর্ণবাদের আক্ষরিক জ্ঞান না থাকা সত্ত্বেও বর্ণবাদের সাথে প্রতিনিয়ত তার সখ্যতা গড়ে ওঠে। ছোটবেলায় রুপকথার গল্প থেকে প্রতিবেশী আন্টির মার সাথে আলাপচারিতা সবই প্রচণ্ড বৈষম্যের উদাহরণ দেয়। ডিজনির এলসা, সিনড্রেলা, আলাদীনের জেসমিন কিংবা সিন্দাবাদের শাহজাদী মাহপারা রুপকথার সব রাজকুমারীরাই দুধে আলতা রঙের অধিকারী হন। আর রাক্ষসীদের বর্ণনায় থাকে কালো রঙ, মোটা দেহ, পুরু ঠোঁট। এভাবে অতি ছোটবেলায়ই গল্পের ছলে বর্ণবাদের বীজ শিশুমনে বপন করে দেওয়া হয়। কালো মেয়েটিকে কিঞ্চিৎ উজ্জ্বল দেখানোর প্রচেষ্টায় মায়ের বেছে বেছে পোশাক নির্বাচন করে দেওয়া কিংবা রঙ ফর্সাকারী ক্রিম আর ঘরোয়া টোটকার অত্যাচার সবই কালো মেয়েটিকে বর্ণবাদের বিভৎস, কুৎসিত, বিবর্ণ রুপটির সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। জন্মের পর থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কালো মেয়েরা কতরকমভাবে যে বর্ণবাদের শিকার হন তা উজ্জ্বল রঙধারণকারীরা কখনও উপলব্ধি করতে পারেন না। তাই তাদের কাছে কালো মেয়েদের গল্পগুলো সিনেমার স্ক্রিপ্ট বলেই মনে হয়।

অবশ্য বাবা-মায়েরই বা কী দোষ? এদেশের পুরো সিস্টেমটাই তো বর্ণবাদী। কালো মেয়েটিকে প্রতিবেশী আন্টির “ভাবী, আপনার মেয়েকে ক্রিম, টোটকা দেন না ফর্সা হওয়ার জন্য? ও তো বড্ড কালো। বড় হলে তো বিয়ে দিতে সমস্যা হবে” কথা শুনেও না শোনার ভান করতে হয়। শুধুমাত্র মায়ের মুখে হাসি ধরে রাখার জন্য কাঁচা হলুদ, দুধের সর, মুলতানি মাটি, গোলাপ জল, বিভিন্ন রঙ ফর্সাকারী ক্রিম দিয়ে ফর্সা করার প্রাণান্ত প্রচেষ্টায় মায়ের সাথে সামিল হতে হয়৷ সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেও যখন গায়ের রঙটি অপরিবর্তিত থাকে তখন ‘কে বিয়ে করবে এই কালো মেয়েকে’ এই ভাবনায় কাহিল হতে থাকেন বাবা-মা।

আর কাহিল হবেন নাই বা কেন? সমাজ প্রতিমুহূর্তেই যেন বলছে “কালো নয়, ফর্সা মেয়েই ভালো। ফর্সা মেয়েই ঘরের আলো”। সত্যিই এদেশের বিয়ের বাজারে ফর্সা মেয়ের বাজারদর খুব বেশি। বাজারদর বলাই শ্রেয়, কারণ বিয়েতে মেয়েদের বাজারের পণ্যের মতোই দেখেশুনে দরদাম করা হয় সেটা হোক গায়ের রঙ, যৌতুক কিংবা গুণ। “কালো মেয়ের রূপ যেহেতু নেই, গুণ থাকাটা আবশ্যক” এই ভিত্তিতে মেয়ের পরিবার মেয়েকে জুতো সেলাই থেকে চণ্ডিপাঠ সবটাই শিখান। এত দসত্ত্বেও কালো মেয়ের বিয়ে দিতে কালঘাম ছুটে বাবা-মার। বারংবার পাত্রপক্ষ থেকে শুনতে হয় “আপনার মেয়ের সবই ঠিকঠাক, চলে। কিন্তু রঙটা ময়লা। আমার ছেলের সাথে বিয়ে দিলে ভবিষ্যত প্রজন্ম কালো হবে। তাই বিয়েটা হচ্ছে না”, “মেয়ের রঙ ময়লা, আগে তো বলেননি। মেয়ে আমরা নিব, টাকার পরিমাণটা শুধু বাড়িয়ে দিবেন”। এইভাবে গায়ের রঙ কিংবা যৌতুকের অতিরিক্ত অর্থ দিতে অসমর্থ হওয়ায় বারবার যখন বিয়ে ভেঙে যায় তখন একসময় বাবা-মাও অধৈর্য হয়ে উঠেন। বাধ্য, নিরুপায় হয়ে হয়ত মুখ ফুটে বলেও ফেলেন “এত মানুষ মরে, তুই মরতে পারিস না”। অসহায়ত্ব থেকে নিঃসৃত এই অভিশাপ অনেক সময় সত্যিও হয়ে যায়। মানসিক চাপ সইতে না পেরে অনেকে আত্মহত্যা করেন, কেউ বা যৌতুকের জেরে খুন হন। সংবাদপত্রে কিছুদিন লেখালেখি হয়, ব্যাপারগুলো এই পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকে। এইভাবে শুধুমাত্র ‘পাত্রস্থ’ হওয়ার চেষ্টায় শত শত উজ্জ্বল সম্ভাবনাময়ীরা অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়, যাদের একমাত্র অপরাধ তারা জন্মগতভাবে কালো। এখানে রবীন্দ্রনাথের ‘কালো মেয়ে’ নামক কবিতার লাইন মনে পড়ে-

“বছর বছর করে ক্রমে

বয়স উঠছে জমে।

বর জোটে না, চিন্তিত তার বাপ;

সমস্ত এই পরিবারের নিত্য মনস্তাপ

দীর্ঘশ্বাসের ঘূর্ণি হাওয়ায় আছে যেন ঘিরে

দিবসরাত্রি কালো মেয়েটিরে।”

শুধু কি বিয়ে, সমাজের সর্বত্র ফর্সা মেয়ের কদর। সেটা হোক স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি, অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা, চাকরীক্ষেত্রে, ফ্রন্ট ডেস্ক, রিসিপশন, নাটক, সিনেমা, সংবাদপাঠ কিংবা বিজ্ঞাপনে। কালো কিন্তু খুব যোগ্য বিধায় সর্বত্র আকাঙ্ক্ষিত - সেটা শিক্ষাক্ষেত্রে, কর্মক্ষেত্রে কিংবা বিয়েতে এমন ব্যতিক্রমও আছেন। তবে ব্যতিক্রম কখনই উদাহরণ হতে পারে না। আজও নারীরা শিক্ষিত ও কর্মজীবী হওয়া সত্ত্বেও পুরুষদের মতো শিক্ষা ও পেশাগত মর্যাদা তাদের সৌন্দর্যের মাপকাঠিতে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। অবশ্য অন্তর্ভুক্ত করার কোন প্রচেষ্টাও এ সমাজের নেই। সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি ও মন-মানসিকতার পট পরিবর্তন করার গুরুদায়িত্ব থাকে কবি-সাহিত্যিক ও শিক্ষকদের হাতে। তারা সমাজের এমন জায়গায় অবস্থান করেন যারা চাইলেই সমাজের আমূল পরিবর্তন সাধন করতে পারেন। কিন্তু আদৌও কি তারা সেটি করেন?

কালো মেয়েকে উপন্যাস- কবিতার মূল চরিত্র হিসেবে খুঁজতে গেলে রবীন্দ্রনাথের ‘কৃষ্ণকলি’, ‘কালো মেয়ে’, কাজী নজরুলের শ্যামা সংগীত ‘আমার কালো মেয়ের পায়ের তলায় দেখে যা আলোর নাচন’, শামসুর রাহমানের ‘কালো মেয়ের জন্য পংক্তিমালা’, জীবনানন্দ দাশ কিংবা জসীমউদ্দিনের প্রকৃতির নানান রঙের সাথে নারীর তুলনা ছাড়া বাংলা সাহিত্যে আর কোথাও পেয়েছেন কী? অথচ বাংলা সাহিত্যে অজস্র লেখক রয়েছেন। তাদের সবার চোখেই নারী মানে ধবধবে সাদা, আকর্ষণীয়া সহ আরও খানকতক বিশেষণে বিশ্লেষিত দেহ, বিভিন্ন উপমার উপাখ্যান মাত্র।

শিক্ষককে বলা হয় মানবতার উন্মেষ ঘটানোর কারিগর। শিক্ষক হচ্ছেন সেই ব্যক্তি যিনি শিক্ষার্থীদের সামাজিক ও নৈতিক শিক্ষা দেবেন, তাদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটাবেন, তার আচরণ হবে রোলমডেল। শিক্ষক সমাজের দর্পণস্বরূপ, তিনি শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটাবেন। কিন্তু কয়জন শিক্ষক তা করেন? এক্ষেত্রে একটি ছোট ঘটনা উল্লেখ করা যায়। স্কুলে ভর্তির পর প্রথম ক্লাসে নাম ডাকার সময় একজন শিক্ষক আমায় বলেছিলেন, “তোমার মতো একটা কালো মেয়ের নাম তোমার আব্বু আম্মু মুক্তা কিভাবে রাখলো?” ছোট ছিলাম, তাই হঠাৎ এমন কথায় মনে প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছিলাম। তারপর থেকে স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি সর্বত্রই মৌ নামটা বলি, মুক্তা নামটা উহ্যই থাকে, ভয় হয় যদি আবার একথা শুনতে পাই! একজন সমাজ গড়ার কারিগরই যদি এমন কথা বলেন, তবে তার কাছ থেকে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি ও মন-মানসিকতার উন্নয়ন সাধন করার আশা করা বিলাসিতা ছাড়া আর কিছুই নয়।

‘কালোই জগতের আলো’ পুঁথিগত এই বিদ্যাটি সারাজীবন ধরে আওড়ালেও কখনই আমরা হৃদয়ে ধারণ করতে পারিনি। কালো মানেই অশুভ, কালো মানেই অমঙ্গল, কালো মানেই অসুন্দর। সে কালো বেড়াল কিংবা প্যাঁচাই হোক কিংবা হোক কালো মেয়ে। এই কালো নামক কালিমার অবস্থান আমাদের মননে-মস্তিস্কে, কালো মেয়েদের দেহে নয়। আমরা ভুলে যাই কালো মেয়েও একজন মানুষ, একটি পূর্ণ সত্ত্বা, তারও আশা- আকাঙ্ক্ষা আছে, আছে এক বর্ণিল ইচ্ছেডানা যা দিয়ে সে তার স্বপ্নের আকাশের মেঘগুলো ছুঁয়ে দিতে চায়। কিন্তু আমাদের বর্ণবাদী মনোভাব, বর্ণবাদী সমাজ তাকে কখনও সেই ডানায় ভর করে আকাশ ছুঁতে দিই না। বরং সেই ইচ্ছেডানা কেটে তাকে পঙ্গু করে ঘরের কোণে আবদ্ধ করে রেখেই আমরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলি। এসব অন্যায় বৈষম্যের বিলুপ্তির জন্য প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গি ও মানসিকতার পরিবর্তন। যেদিন সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি - মন- মানসিকতা থেকে এই তথাকথিত বর্ণবাদের পর্দার উন্মোচন হবে, সেদিনই আমরা গায়ের রঙের পেছনের সম্ভাবনাময় সুন্দর মানুষটিকে আবিষ্কার করতে সমর্থ হব।

লেখক: শিক্ষার্থী, এনভায়রনমেন্টাল সাইন্স এন্ড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, টাঙ্গাইল

সাহস২৪.কম/এএম/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

লেখকদের নামঃ