সীমান্ত হত্যার দায় ও করণীয়

প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২১:৫০

হাসান ইবনে হামিদ

বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের গল্পটা বহু পুরোনো। বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকেই ভারতের নামটি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে রয়েছে। ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ পূর্বকালীন সময় থেকে যুদ্ধকালীন পুরো সময়টাতে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের হাত বাড়িয়ে বাংলাদেশের পাশে থেকেছে ভারত। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ভারতের সীমান্ত উন্মুক্ত করে দিয়ে বাংলাদেশের নির্যাতিত মানুষের পাশে তারা যেভাবে দাঁড়িয়েছিলো তা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরেই লিখা থাকবে।

যে দেশ তার নিরাপত্তার কথা চিন্তা না করে সীমান্ত উন্মুক্ত করে আমাদের আশ্রয় দিয়েছিলো সেই দেশের সীমান্তরক্ষীদের হাতে এখন কেনো আমার দেশের মানুষের লাশ পড়বে? এই প্রশ্ন অনেকের মনেই। বিভিন্ন ইস্যুতে দু’দেশের সম্পর্কে টানপোড়ানোর সৃষ্টি হলেও দু’দেশের সম্পর্কের মাঝে বিষফোঁড়া হলো সীমান্ত হত্যা, সীমান্ত হত্যা নিয়ে দু’দেশের সম্পর্ক প্রায়ই উত্তপ্ত হয়ে উঠে। প্রত্যেক দেশ স্ব স্ব অবস্থান থেকে নিজেদের যুক্তি তুলে ধরে কিন্তু সীমান্ত হত্যার সার্বিক চিত্র বা খুঁটিনাটি বিষয় কখনো জনগণের সামনে আসেনা, সীমান্ত হত্যার তুলনামূলক চিত্র সাধারণ মানুষ জানার আগেই একদল ভয়াবহ মিথ্যাচার এবং অপপ্রচারে লিপ্ত হয়ে যায়। খুব বিব্রতকর অবস্থায় পরতে হয় দু’দেশের সরকারকেই। পৃথিবীর সবকটি দেশেই সীমান্ত হত্যা আছে এবং এর পেছনে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের দায়ও আছে। তাই বাংলাদেশ- ভারত সীমান্ত হত্যার কারণ ও তুলনামূলক চিত্র সবার জানা উচিত এবং সীমান্ত নীতিমালা নিয়েও সকলের সচেতন থাকা উচিত।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৪,০৯৬ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে, যা পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম স্থল সীমান্ত। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা এবং মিজোরাম রাজ্যের সীমান্ত রয়েছে। শুধু পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গেই ২,২১৭ কিমি. সীমান্ত আছে বাংলাদেশের। সীমান্তের মানুষ বিভিন্ন কারণে এই এলাকা ব্যবহার করে। এই যেমন আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে যাওয়া, হাট-বাজারে বিকিকিনি করা, এবং কাজ খোঁজার জন্য অনেক মানুষ নিয়মিতভাবে সীমান্ত পারাপার করে। এছাড়াও সীমান্তের শূন্যরেখার কাছে কৃষিজমিতে কৃষিকাজ কিংবা নদীতটে মৎস্য আহরণের জন্যও অনেক মানুষকে সীমান্তপথ অতিক্রম করতে হয়। এর মধ্যে কেউ কেউ বিভিন্ন ছোটখাটো এবং গুরুতর আন্তঃসীমান্ত অপরাধে নিয়োজিত। সীমান্ত বাহিনী অবৈধ কার্যক্রম মোকাবেলার বাধ্যতামূলক করা হয়, বিশেষ করে মাদক চোরাচালান, যৌন কাজের জন্য মানব পাচার, এবং জাল মুদ্রা ও বিস্ফোরক পরিবহন। আর এই অপরাধ দমনের বিষয়টাতে এসেই বাধে সমস্যা, অপরাধীরা প্রায়শই চালায় সীমান্তরক্ষীদের উপর আক্রমণ এবং তাদের হাতে ঘটে সীমান্ত হত্যা।

হত্যাকান্ডগুলো যখন সংগঠিত হয় তখন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ কর্তৃক এই হত্যাকান্ডের জবাব দেয়া হয়। আবার বাংলাদেশী সীমান্ত রক্ষী বিজিবি কর্তৃক এই অভিযোগের পাল্টা বক্তব্য দেয়া হয়। তাহলে হত্যা বন্ধে সমাধান কি? এই প্রশ্নের উত্তরে যেতে হলে খুঁজে বের করতে হবে এর কারণ এবং প্রতিকারের উপায়। সীমান্ত অনুপ্রবেশ বর্তমানে দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে একটা বড় বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতি বছর কয়েক হাজার মানুষ নানা কারণে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপার করে। এছাড়া চোরাচালান ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে আইন-শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই চোরাকারবার ও সীমান্ত পারাপার রুখতে সীমান্তে মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে।

সীমান্ত হত্যার বিষয়টি আসলেই সবার সামনে প্রথমে চলে আসে গরু চোরাচালান। প্রতিটি হত্যাকান্ডের পর উভয় দেশের পক্ষ থেকেই এই বিষয়টি সামনে আনা হয়। সীমান্তে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিএসএফ ও বিজিবি সর্বদা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত নির্দেশিকাগুলি মেনে চলতে চেষ্টা করে। গরু পাচার রোধ করতে গিয়ে বিএসএফ সেনারা সীমান্তে প্রতিনিয়ত প্রতিকূল অবস্থার সম্মুখীন হচ্ছে এবং সীমান্ত অপরাধীদের ক্রোধের মুখোমুখি হচ্ছে। সীমান্ত অপরাধীরা গবাদি পশুদের পাচার করার সময়, যখন বিএসএফ বাহিনী দ্বারা বাধাগ্রস্থ হয়, তখন আগ্নেয়াস্ত্র এবং অন্যান্য মারাত্মক ধারালো অস্ত্র যেমন কাস্তে, দাহ, ছুরি এবং বাঁশের লাঠি দিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। যার ফলে বিগত সময়ে বিপুল সংখ্যক বিএসএফ সেনা আহত হয়েছে এবং একইসাথে প্রচুর বিএসএফ সেনার মৃত্যু হয়েছে। আর সে মুহুর্তেই বিএসএফ সৈন্যরা জীবন হুমকির মুখে পড়ে আত্মরক্ষার জন্য অনেকসময়ই গুলি চালায়। লাইন না করে অর্থাৎ কোন অর্থ কড়ি না দিয়েই কাটাতার কেটে গরু পাচার করলে ব্যাক্তিগত ভাবে ঐ স্থানে ডিউটিরত বিএসএফ সদস্যের শাস্তির ঝুঁকি থাকে। ফলে এভাবে গরু পাচারের ঘটনা টের পেলেই বিএসএফ গুলি করে বা ধরে নিয়ে যায়। এদিকে সংবাদপত্রে প্রকাশিত সীমান্ত হত্যার প্রতিবেদনের জের ধরে বিজিবির কাছ থেকে প্রতিনিয়ত বিক্ষোভের নোট পাচ্ছে বিএসএফ সহ সীমান্তে ভারতীয় নাগরিকরা। বিএসএফের পক্ষ থেকে প্রতিটি প্রতিবাদ নোটের বিস্তারিত তদন্ত করা হয়েছে এবং ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে ২০১০ সালের পর থেকে বিএসএফ সেনাদের সাথে লড়াইয়ের সময় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ১৩৫ বাংলাদেশী নাগরিক মারা গিয়েছিল। মৃত সকলকে হয় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার অপরাধে অথবা অবৈধভাবে ভারতের ভূখণ্ডে প্রবেশের পরে ডিউটিতে থাকা বিএসএফ সদস্যদের উপর হামলার কারণে বিএসএফ সেনারা আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালানোর সত্যতা পাওয়া গিয়েছে।

এদিকে শিউরে উঠার মতো তথ্য হলো, ২০১০ সাল থেকে সীমান্তে বিএসএফ কর্মীদের উপর বাংলাদেশিদের দ্বারা প্রায় দুই হাজার ভারতীয় সীমান্তরক্ষী মারাত্মক হামলার শিকার হয়েছেন। আবার ২০১২-তে দক্ষিণবঙ্গতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বাংলাদেশী দুর্বৃত্তদের দ্বারা বিএসএফ সদস্যদের উপর মারাত্মক হামলার দুটি উদাহরণ পাওয়া গেছে। যার মধ্যে একজনকে দা দিয়ে আক্রমণ করার ফলে তার মাথার পেছনের দিকের অংশে গুরুতর আহত হয়েছিল। অপরটি ১১ জুলাই ২০১৯ সালে দেশে তৈরি বোমা নিক্ষেপ করে আক্রমণ করা হয়েছিলো বিএসএফ এর উপর যার ফলে ভিক্টিমের শরীর স্প্লিন্টারের আঘাতে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলো। ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে যথাক্রমে ৬৭ ও ৪৯ জন বিএসএফ সদস্য চোরাচালান রোধ করার সময় বাংলাদেশি দুষ্কৃতিকারীদের সাথে সংঘর্ষের সময় মারাত্মক আহত হয়েছেন। ২০১০ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত মোট ৯৬০ জন বিএসএফ সদস্য সীমান্তের নিরাপত্তা বজায় রাখতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। আবার একতরফা শুধু যে বাংলাদেশের নাগরিকদের সাথেই বিএসএফ এর এসব ঘটনা ঘটে তা কিন্তু নয় বরং ভারতীয় নাগরিকদের সাথেও এসব গুলি বিনিময় ও হত্যাকান্ড সংগঠিত হয় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তেই। ২০১০ সালের এক ঘটনায় বিএসএফ এর সাথে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় পাচারকারীদের সংঘর্ষ হয় এবং বিএসএফ সেনারা আত্মরক্ষায় গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছিল আর তখন ১০৭ জন ভারতীয় নাগরিক মারা গিয়েছিলো। তবে কোন মৃত্যুই কিন্তু কাম্য না তাই এই সমস্যাগুলোর ক্ষেত্রে সচেতনতা অবলম্বন করে উচিত বিএসএফ সদস্যের। অপরদিকে চোরাচালান রোধে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া দরকার বিজিবি’র।

তবে, সুষ্ঠু পদক্ষেপ গ্রহণ করে ২০১১ সালে মৃত্যুর সংখ্যা হ্রাস করার জন্য বিএসএফ একটি অ- প্রাণঘাতী কৌশল অবলম্বন করেছিল। তারপরে, ২০১২ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত যথাক্রমে ১১, ৯, ৭, ১৬, ১৪, ১ এবং ১২ জন বাংলাদেশী নাগরিকের মৃত্যুর কারণ হিসেবে বিএসএফকে গুলি চালানোর জন্য দায়ী করা হয়েছিল। আবার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়, কিছু মৃত্যুর ঘটনা ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে বা রাতে চোরাচালান কার্যক্রমের সময় নদীতে ডুবে যাওয়ার কারণে ঘটেছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে বাংলাদেশি নাগরিকদের কয়েকজন বাংলাদেশেই দুর্বৃত্তদের দ্বারা হত্যা হয়েছিল। দুই দেশের সরকারের আন্তরিকতার কারণে আগের চাইতে সীমান্ত হত্যা এখন অনেক কমেছে।

২০০৮ সালে ভারত সরকার ও বিএসএফ বাংলাদেশের জনগণকে আশ্বস্ত করেছিল যে, সীমান্তে প্রাণঘাতী কোনও অস্ত্র ব্যবহার করা হবে না। পরবর্তীতে ২০১১ সালে বিএসএফ এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) পাচারকারী ও অবৈধপথে সীমান্ত পার হওয়া নাগরিকদের ক্ষেত্রে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার না করার চুক্তিও করে। ভারত সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকেও সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার কথা বলা হয় বার বার।

সীমান্ত-হত্যা বন্ধের ব্যাপারে বাংলাদেশ ও ভারত দুটো দেশের ইতিবাচক অবস্থানের কারণে পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য রকমের উন্নতি ঘটেছে। এ ব্যাপারে ভারত সরকারের মনোভাবেরও বড়ো রকমের পরিবর্তন ঘটেছে। ভারত সরকারের আন্তরিকতার বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে উঠে সাম্প্রতিক এক ঘটনার মাধ্যমে। ২০১৮ সালে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িতে ২০ বছরের এক তরুণ বিএসএফের ছোড়া গুলিতে আহত হয়েছিলেন। এর প্রতিবাদ জানিয়ে আইন ও শালিস কেন্দ্র বিভিন্ন পক্ষের সাথে যোগাযোগ করে। তখন ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশন থেকে তাদেরকে বলা হয়েছে যে ভারত সরকার দুঃখিত এবং ওই তরুণের চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে। বিএসএফের সৈন্যদের হাতে নিরস্ত্র বাংলাদেশী নাগরিকদের নিহত হওয়ার ঘটনায় বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলো খুবই সোচ্চার। বাংলাদেশ সরকার এসব সংগঠনের কথায় কান দিয়ে বিষয়টি ভারত সরকারের কাছে জোরালোভাবে তুলে ধরেছে। এবং দুই সরকারই অভিযোগ আমলে নিয়ে কাজ করছে।

ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিএসএফের মহাপরিচালক কে. কে. শর্মা বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ভারতীয় সৈন্যরা এখন আর প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করছে না। যদিও তিনি উল্লেখ করেছেন, প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার না করার কারণে তাদের জওয়ানদের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়ছে। চোরাকারবারিরা জানে যে বিএসএফের সৈন্যরা গুলি করবে না, তাই চোরাকারবারীরা তাদের উপর আক্রমণ করছে। কিন্তু তারপরেও বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করছে না। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন, এই অস্ত্র আর ব্যবহার করা হবে না এটা ভারত সরকারে সিদ্ধান্ত। সীমান্ত হত্যা বন্ধে দুই দেশের রাজনৈতিক সদিচ্ছার পাশাপাশি এটার প্রতিফলন ঘটতে হবে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের নীতিমালাতেও। তা নাহলে ভারত কিম্বা বাংলাদেশ - যে কোন দেশে সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে পরিস্থিতি আবারও আগের পর্যায়ে চলে যেতে পারে। কেননা বিএনপির আমলে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রকট আকার ধারণা করেছিল। কিন্তু এর পরে আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা দু’দেশের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার কাজ চলছে।

সবশেষে বলবো, কোন হত্যাকান্ডই কাম্য নয় এবং এই সীমান্ত হত্যা বন্ধে দু’দেশকে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। উল্লেখ্য যে পূর্বের যেকোন সময়ের চেয়ে বর্তমানে এই সীমান্ত হত্যা অনেক কম তবে শূন্যের কোটায় এই সীমান্ত হত্যা নিয়ে আসতে হবে। তেরঙ্গা-লাল সবুজ সম্পর্ককে আরো সুউচ্ছে স্থান দিতে হলে এই সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতেই হবে। মনে রাখা দরকার, ‘গণভবন থেকে জনপথ রোড’ এর দূরত্ব বাড়াতে সবসময়ই একটি মহল কাজ করে যাচ্ছে, তাই সে সুযোগ চিরতরে বন্ধ করে দিতে হবে।

লেখক: রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

লেখকদের নামঃ