বৈমানিক হতে হলে সাহস আর মাথার মধ্যে ঘিলু দরকার

প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০১৮, ১৮:২৭

সিভিল পেশাগুলোর মধ্যে পাইলট অর্থাৎ বৈমানিক একমাত্র পেশা যেটাতে লিঙ্গ (GENDER) দিয়ে শ্রেণিবিন্যাস (classified) করা হয়না। যার কারণে এই পেশার ইউনিফর্ম পুরুষ/মহিলা সবার জন্য একই , তার জন্য টাই -টি ও বাদ যায় না। কারণ GENDER নয়, দক্ষতা, বুদ্ধিমত্তা ও সাহস এই পেশার মূল চাবিকাঠি। সব পাইলটই ট্রেইনিং প্রসেস পাশ করেই পাইলট হয়। নারীদের জন্য কিন্তু আলাদা ট্রেইনিং কিন্তু নেই যে নারী পাইলটকে আলাদা করে ভাগ করে দেখতে হবে। লাখ লাখ টাকা থাকলেও কেউ পাইলট হয়ে যেতে পারে না , যদি তার মধ্যে সাহস আর মাথার মধ্যে ঘিলু না থাকে। 

যান না, আপনারা যারা নিজেদের মহাপুরুষ মনে করেন , ৫০/১০০ তলা বাদ দিলাম, ২০ তলা ছাদ (২০০ ফুট) থেকে নীচে তাকান আর নীচে তাকিয়ে হাঁটুন। কিন্তু একজন স্টুডেন্ট অর্থাৎ ট্রেইনিং পাইলট কে ২০/৩০ ঘণ্টা ফ্লাই করার পর পরই , stall recovery , emergency landing, force landing , Sidesliping , spinning recovery, Cross wind landing, crab landing (টার্মস গুলো না বুঝে থাকলে গুগোল করুন, এই উছিলায় কিছু শিখাও হবে/ জানা ও হবে) ইত্যাদি আরও অনেক ট্রেইনিং এর মাধ্যমে একজন পাইলট তৈরি হয়। 

চার হাজার ফুট উপরে উঠে যখন ফ্লাইট প্রশিক্ষক বিমানের ইঞ্জিন হঠাৎ করেই বন্ধ করে দিয়ে বলে , ''নাও এখন নিরাপদে ফ্লাই করে ল্যান্ড কর।'' তখন কিন্তু দেখে না যে ট্রেইনি পাইলট কি সে ছেলে না মেয়ে। সব কিছু শিখার পর বা ট্রেইনড হওয়ার পর যখন অফিসিয়ালি লাইসেন্স নেয়ার জন্য ফ্লাইট টেস্ট এ সেই ট্রেইনি পাইলট যায়, Examiner ও ঐ একই কাজ করেন, তখনো তিনি দেখেন না টেস্টের পাইলটটি নারী নাকি পুরুষ। একজন Examiner আসেন বাইরে থেকো অর্থাৎ লোকাল Aviation Authority থেকে, ফ্লাইট স্কুলের তিনি কেউ নন।

শখ থেকে কেউ বৈমানিক পেশা বেঁছে নেয় না বা চাইলেও পারে না, স্বপ্নবাজ সাহসীরাই বৈমানিক হয় এবং হতে পারে। আমি নিজ চোখে বহু পুরুষ মানুষকে দেখেছি কয়েক ঘণ্টা ট্রেইন করার পর, ভয়ে ছেড়ে চলে যেতে। সুতরাং, এই পেশায় নারী/ পুরুষ এর বিভক্ত করার চেষ্টা করবেন না। এইটি কোন কুস্তি বা শারীরিক শক্তি দেখানোর পেশা নয় , বুদ্ধিমত্তার পেশা, দক্ষতার পেশা, সাহসী পেশা।

মাকসুদা আক্তার প্রিয়তির ফেসবুক থেকে নেওয়া

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত