কিশোরদের স্টাইলিশ চুল

প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:২২

সাহস ডেস্ক

আজকের কিশোরেরা বেশির ভাগ ‘ফ্যাশন ভিকটিম’। পোশাক ও হেয়ারস্টাইলে কিশোর বয়সীরা থাকতে চায় চলতি ধারায়। 

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একজন কিশোর তার পরিচিত আঙিনার ভেতরে ও বাইরে নিজেকে আকর্ষণীয় হিসেবে তুলে ধরতে চায়। সমসাময়িক তারকাদের হেয়ারস্টাইল অনুসরণ করে নিজের মধ্যেও তা মানিয়ে নিতে চায়। 

তাদের ফ্যাশন–ভাবনাকে সহজ করে দিতেই হেয়ারস্টাইলের কিছু টিপ দেখে নিন। যা একই সঙ্গে যেমন ফরমাল আবার ক্যাজুয়াল হেয়ারস্টাইল হিসেবেও মানানসই।

ক্রু কাট:
স্কুলপড়ুয়াদের জন্য এই হেয়ার কাট সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য। বিশেষ করে যারা ছোট চুল রাখতে আগ্রহী, তারা হেয়ারস্টাইল হিসেবে ক্রু কাট করতেই বেশি পছন্দ করে। মোটামুটিভাবে প্রায় সব স্কুলের নিয়মের সঙ্গে এটি যায়। ক্রু কাটে চুলের দৈর্ঘ্য সাধারণত এক ইঞ্চি থেকে দুই ইঞ্চির মধ্যে থাকে। আর মাথার পেছনের দিকে ও পাশে ক্রমান্বয়ে ক্লিপার দিয়ে ছেঁটে ছোট করে ফেলা হয়।

আন্ডার কাট:
এটি ট্রেন্ডি হেয়ারস্টাইল হলেও স্কুলের নিয়মের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া যায়। আন্ডার কাট হেয়ারস্টাইল করে অনেকে স্কুলের বাইরে হেয়ার জেলও ব্যবহার করে থাকে। এই স্টাইলে মাথার ওপরের চুল দুই থেকে চার ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা রাখা যায়। তবে মাথার পেছনের এক পাশের চুল ক্রমান্বয়ে ক্লিপার দিয়ে ছোট করে ছেঁটে ফেলা হয়।

স্পাইকি:
যেসব কিশোর কেয়ার ফ্রি লুক চায়, তাদের জন্য স্পাইকি একটি সঠিক নির্বাচন। এই স্টাইল প্রফেশনাল লুক এনে দেয়। মাথার ওপরের চুলগুলো খাঁড়া দেখানোর জন্য হেয়ার জেল লাগানোর প্রয়োজন পড়ে। কানের দুপাশের ও ঘাড়ের ওপরের চুল তুলনামূলকভাবে ছোট রাখা হয়। মাথার ওপরের চুলের দৈর্ঘ্য থাকে সাধারণত এক থেকে দু ইঞ্চি পর্যন্ত।

ব্যাঙস:
এই হেয়ারস্টাইল করলে বয়স তুলনামূলকভাবে কম মনে হবে। ব্যাঙসের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সামনের চুলগুলো বড় রাখা হয়, যা কপালের ওপরে পড়ে থাকে। মাথার পেছনের এবং পাশের চুল কাঁচি অথবা ক্লিপার দিয়ে ছোট করে কাটা হয়।

ডিসকানেক্টেড হেয়ারস্টাইল:
চুলের যে কাটগুলোতে মাথার দুপাশের চুল কাঁচি অথবা ক্লিপার দিয়ে একেবারে ছোট করে ছেঁটে ফেলা হয় এবং সেখানে ব্লেড ও ক্ষুর ব্যবহার করে বিভিন্ন আকৃতির ডিজাইন এঁকে দেওয়া হয়। সেগুলোই ডিসকানেক্টেড হেয়ারস্টাইল। লম্বা ছুটিতে কিশোরেরা এই হেয়ারস্টাইল নিতে পারে।
সাহস২৪.কম/ইতু

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত