ভেজাল ওষুধে বিপন্ন জীবন

হাত বাড়ালেই মিলছে ভেজাল ওষুধ - সহযোগিতা করছে কিছু অসাধু মুনাফালোভী ফার্মেসি

প্রকাশ | ১১ মে ২০২৪, ২০:১৫ | আপডেট: ১১ মে ২০২৪, ২০:২৬

অনলাইন ডেস্ক

নকল ও ভেজাল ওষুধ উৎপাদন বাজারজাতকরণ হত্যার শামিল। অথচ জেনেশুনেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী জঘন্যতম কাজটি প্রকাশ্যে করে যাচ্ছেন। একজন খুনি একজন মানুষকে হত্যা করে। কিন্তু নকল ওষুধ উৎপাদনকারী পুরো মানবজাতিকে হত্যা করছে। ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ তৈরির অন্যতম আখড়া হিসেবে মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকা সর্বাধিক পরিচিত। এখান থেকেই সারা দেশে ভেজাল ওষুধ সরবরাহ করা হয়। কিন্তু অসাধু চক্রকে ধরা যাচ্ছে না। কেন যাচ্ছে না, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। 

আমাদের ওষুধ রফতানির একটি সুনাম আছে। বর্তমানে দেশের ৯৮ শতাংশ চাহিদা মিটিয়ে ওষুধ এখন বিশ্বের ১০৬টি দেশে রফতানি হচ্ছে। বিশ্বের ৪৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের ওষুধ সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে দেশের নামী-দামি ব্র্যান্ডের নকল ওষুধ তৈরি হওয়ায় সম্ভাবনাময় এ খাতটি যেকোনো সময় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হতে পারে।

আমাদের বেঁচে থাকার জন্য নিরাপদ খাদ্য ও নিরাপদ ওষুধ অত্যন্ত জরুরি। টেকসই জীবন ও সুস্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ খাদ্য ও নিরাপদ ওষুধের বিকল্প নেই। এটি একটি জাতীয় সমস্যা। সুতরাং এ সমস্যার সমাধানকল্পে দেশব্যাপী মডেল ফার্মেসির সংখ্যা বাড়ানো দরকার। বিশেষ করে জেলা পর্যায়ে মডেল ফার্মেসি গড়ে তোলা প্রয়োজন। নকল ওষুধ প্রতিরোধে বিশ^স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করে বাজারজাতকরণ করার বিষয়টি নিশ্চিত করা দরকার। নকল ওষুধের রুট সবার আগে বন্ধ করার উদ্যোগ নিতে হবে।

ওষুধে ভেজালে শাস্তি শুধু জেল-জরিমানার মধ্যে সীমিত না রেখে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান নিশ্চিত করা প্রয়োজন যেন সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন না হয়। সুতরাং গুটিকয়েক অসৎ ব্যবসায়ীর জন্য দেশের ওষুধ শিল্পের সর্বনাশ যেন না হয় সে দিকে জরুরি ভিত্তিতে নজর দেয়া প্রয়োজন।