গ্রীষ্মের গরমে খেতে পারেন তালশাঁস

প্রকাশ : ০৯ জুন ২০২৩, ১৪:৫১

ফয়জুন্নেসা মণি

তাল শাঁস খেতে অনেকটা নারকেলের মতই, তবে শক্ত নয়, তুলতুলে। কেবল খেতেই সুস্বাদু নয়, এর রয়েছে অবিশ্বাস্য পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা।

পুষ্টিবিদদের মতে, ডাবের পানি এবং তালের শাঁসের গুণাগুণ একই রকমের। দুইটিই খোলসের ভিতরে থাকে। ডাবের পানির পুরোটাই তরল, অন্যদিকে তালের শাঁসে কিছুটা শক্ত অংশ থাকে।

তালশাঁসে থাকা ভিটামিন সি ও বি কমপ্লেক্স যা শরীরের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। তালশাঁসে থাকা ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি প্রখর করতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে।

প্রতি ১০০ গ্রাম তালের শাঁসে রয়েছে ৮৭ কিলোক্যালরি। ৮ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, জলীয় অংশ ৮৭.৬ গ্রাম, আমিষ .৮ গ্রাম, ফ্যাট .১ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেটস ১০.৯ গ্রাম, খাদ্যআঁশ ১ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৭ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৩০ মিলিগ্রাম, লৌহ ১ মিলিগ্রাম, থায়ামিন .০৪ গ্রাম, রিবোফাভিন .০২ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন .৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ৫ মিলিগ্রাম। এসব উপাদান আপনার শরীরকে নানা রোগ থেকে রক্ষা করাসহ রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।

তালশাঁসে থাকে আয়োডিন, মিনারেলস, পটাশিয়াম, জিঙ্ক এবং ফসফরাস। এসব পুষ্টি উপাদান গরমে শরীর ভালো রাখে। বিশেষজ্ঞরা গরমে তালশাঁস খাওয়ার পরামর্শ দেন। এটি এই সময়ে শরীরে শক্তি জোগানোর পাশাপাশি দৈহিক তাপমাত্রা কমাতেও কাজ করে।

ক্যালরির পরিমাণ কম থাকায় তালের শাঁস ওজন কমাতে ভূমিকা রাখে। এতে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকায় এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। 

এশিয়ার দেশেগুলোতে গরমে কাঁচা তালের শাঁস খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার হিসেবে পরিচিত। আর বাংলাদেশে এখন বাণিজ্যিকভাবে তালের শাঁস বিক্রি করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন অনেকে। 

১) তালের শাঁসে থাকা জলীয় অংশ শরীরে  পানিশূণ্যতা দূর করতে সাহায্য। এবং সেইসঙ্গে শরীর পানির অভাব দূর করে। 

২) তালে শাঁসে রয়েছে ভিটামিন সি ও বি কমপ্লেক্স যা শরীরের জন্য বিশেষভাবে উপকারি।  

৩) তালে শাঁসে রয়েছে ভিটামিন এ, যা দৃষ্টিশক্তিকে প্রখর করতে সাহায্য করে। 

৪) তালে শাঁসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে।

৫) অনেক সময়ে অ্যাসিডিটির ফলে বমিভাব হয় এবং খাবার বিস্বাদ লাগে। কচি তালের শাঁস এই বমিভাব দূর করতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে খাবারে অরুচিভাব কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। 

৬) কচি তালের শাঁস লিভারের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

৭) আপনার যদি অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা থেকে থাকে, তাহলে তা দূর করতে খান কচি তালের শাঁস। 

৮) তালের শাঁসে থাকা ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। 

৯) ত্বককে সুন্দর, উজ্জ্বল ও দীপ্তিময় করে তুলতে নিয়ম করে খান তালের শাঁস।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত