কোমল পানীয় থেকে সাবধান
প্রকাশ : ০৪ জুন ২০২৩, ১০:২৯


গবেষণায় দেখা গেছে, কোমল পানীয়তে কোনো পুষ্টি উপাদান নেই বরং দেহের জন্য ক্ষতিকর কিছু রাসায়নিক উপাদান রয়েছে।
প্রায় ৪০ হাজার মানুষের ওপর চালানো গবেষণা দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন চিনির পরিমাণ বেশি এমন ধরণের কোমল পানীয় পান করেন তাদের হার্ট এটাকের সম্ভাবনা স্বাভাবিকের তুলনায় ২০ গুণ বেড়ে যায়।
কোমল পানীয়ের অন্যতম উপাদান হচ্ছে ক্যাফেইন। ক্যাফেইন একটি আসক্তির মাদক, যা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে উত্তেজিত করে।
অত্যধিক ক্যাফেইন গ্রহণের ফলে বর্ধিত হারে মূত্রাশয় ও পাকস্থলীর ক্যান্সার এবং উচ্চরক্তচাপ দেখা দেয়। এটি শিশুদের মধ্যে জন্ম বৈকল্য সৃষ্টি করে।
সুতরাং কোমল পানীয় থেকে সাবধান। আমেরিকা, মালয়েশিয়া, জাম্বিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বেশকিছু দেশের গবেষণার রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, নিয়মিত কোমল পানীয় খাওয়াতে দাঁত, হাড়, পেশি ও লিভারের জটিল রোগ হয়।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় শিশু-কিশোরদের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে অধিকাংশ কোলা পানীয় ফসফরাস, ক্যালসিয়াম এবং হাড়ের দ্রুত ক্ষতি করে।
কৃত্রিম মিষ্টিকারক হিসেবে কোমল পানীয়তে এসপারটেম, এসিসালফেম ও স্যাকারিন ব্যবহার করা হয়। এগুলো স্মৃতি বিনষ্ট, মৃগীর খিঁচুনি, বমিভাব, ডায়রিয়া, অস্পষ্ট দৃষ্টি, মস্তিষ্কের ক্যান্সার, মূত্রাশয়ের ক্যান্সার সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
কাজেই সকল প্রকার কোমল পানীয় স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
কোমল পানীয় বেশি পান করলে মানুষের শরীরে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি চর্বি জমে। কেননা কোমল পানীয়তে চিনির আধিক্য থাকায় অতিরিক্ত চিনি হার্টের জন্য ক্ষতি করে।
এই পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, সাধারণত চিনিযুক্ত পানীয় (দুধ, চা, চিনি, মদ, অন্যান্য কোমল পানীয়) অধিকহারে গ্রহণের প্রবণতা যাদের থাকে তাদের রক্তে চর্বি ও প্রোটিনের মাত্রা বেড়ে যায়। যা হৃদরোগের জন্য অন্যতম দায়ী।
(‘সার্কুলেশন’ জার্নাল, নিউজ অনলাইন অবলম্বনে এস এম মুকুল )