হাঁটলে সৃষ্টিশীল চিন্তাভাবনার উন্নতি ঘটে

প্রকাশ : ২৯ মে ২০২৩, ১৪:৫৮

মেহেবুবুা ওয়ারিশা হৃদ্যতা
সুযোগ পেলেই হাঁটুন। শরীর-মন ভালো থাকবে, সৃষ্টিশীলতারও বিকাশ ঘটবে।

আমরা সবাই জানি, হাঁটাহাঁটি করা একটি ভালো ব্যায়াম। তবে হাঁটাহাঁটিতে সৃষ্টিশীল চিন্তাভাবনার উন্নতি ঘটে এটি আপনার জন্য নতুন খবর। 

কাজেই সুযোগ পেলেই হাঁটুন। শরীর-মন ভালো থাকবে, সৃষ্টিশীলতারও বিকাশ ঘটবে। হেসেই উড়িয়ে না দিয়ে খবরটি মনযোগ দিয়ে পড়ুন এবং কাজে লাগান।

আপনি যদি মননশীল মানুষ হোন তাহলে এটি আপনার জন্য সুখবর! কারণ আপনার সৃষ্টিশীলতাকে উসকে দেবে হাঁটাহাঁটির অভ্যাস। 

ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বেশ কয়েকটি সমীক্ষায় এ ব্যাপারে প্রমাণ পেয়েছেন। 

সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা শুয়ে-বসে দিন কাটান তাদের তুলনায় যারা সুযোগ পেলেই হাঁটাহাঁটিতে অভ্যস্ত তাদের সৃষ্টিশীলতা গড়পড়তা ৬০ শতাংশ বেশি।

অনেক প্রতিভাবান-সৃষ্টিশীল মানুষ দাবি করেন, হাঁটাহাঁটির সময়ে তারা শ্রেষ্ঠ আইডিয়াটি পেয়ে যান। অ্যাপেলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস হেঁটেহেঁটেই তার সভার কাজগুলো সমাধা করতেন। 

একই ধরনের অভ্যাসে অভ্যস্ত ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ। ‘জার্নাল অব এক্সপেরিমেন্টাল সাইকোলজি: লার্নিং, মেমোরি অ্যান্ড কগনিশন’ সাময়িকীতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ডক্টর মেরিলি ওপেজো ও ড্যানিয়েল শোয়ার্জ বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন।

তারা জানান, হাঁটাহাঁটিতে ঘরে-বাইরে দু’জায়গাতেই আপনি একই ধরনের ফল পাবেন। এমনকি হাঁটাহাঁটির পর আপনি কিছুক্ষণ বসে থাকলেও কিন্তু সৃষ্টিশীলতার ক্ষতি হবে না।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শরীরবিজ্ঞানীদের গবেষণায় বলা হয়েছে, স্বাভাবিক কাজকর্মের বাইরে কিছু বাড়তি পরিশ্রম করলে বা হাঁটলে যে উপকারগুলো পাবেন-

১. হাই ব্লাডপ্রেসার, ডায়াবেটিস, স্ট্রোকসহ বেশ কিছু রোগ থেকে বাঁচা যাবে।
২. শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যাবে।
৩. শরীরে সুপ্ত অবস্থায় থাকা রোগ-জীবাণু বিকশিত হওয়ার সুযোগ পাবে না।
৪. হাঁটার কারণে শরীরের ঝাঁকুনিতে অনেক ছোটখাটো অসুখও শরীর থেকে বিদায় নিবে।

গবেষণা ফলাফলে প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন ৩০ মিনিট এবং শিশুদের জন্য ৬০ মিনিট পরিশ্রমের সুপারিশ করা হয়েছে। তবে এই পরিশ্রমের আওতায় গৃহস্থালির ভারী/কঠিন কাজ, হাঁটা, সাইক্লিং, সিঁড়ি ভাঙ্গা, পারিবারিক বিনোদনমূলক খেলা এবং শিশু-কিশোরদের জন্য প্রতিযোগিতামূলক খেলাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

( সূত্র : ওয়ার্ল্ড সায়েন্স )

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত