চীন থেকে এলো ২ কোটির বেশি টিকা

ছবি: ইউনিসেফ

মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধী চীন থেকে আরও ২ কোটি ৪ লাখ ৬০ হাজার ডোজ টিকা দেশে এসেছে। চুক্তি অনুযায়ী, যৌথভাবে এ টিকার খরচ বহন করবে বাংলাদেশ সরকার, এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক ও ইউনিসেফ। টিকার এই চালান ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে বাংলাদেশের অন্তত ৮০ শতাংশ মানুষকে কোভিড টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যকে বেগবান করবে।  

মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর)  বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি জানায়, চীন থেকে বাংলাদেশে ২ কোটি ৪ লাখ ৬০ হাজার ডোজ টিকা আসার মধ্য দিয়ে এ বছর জুন মাস থেকে এ পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-অনুমোদিত বিভিন্ন সূত্র থেকে ইউনিসেফ ১০ কোটিরও বেশি টিকা সরবরাহ করেছে বাংলাদেশে। 

ইউনিসেফ সরবরাহকৃত ১০ কোটি ডোজ টিকার মধ্যে ৫ কোটিরও বেশি টিকা সংগৃহীত হয়েছে কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটির মাধ্যমে। ইউনিসেফ দ্বারা সরবরাহকৃত এই ১০ কোটি ডোজ টিকার বাইরে বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক টিকা সংগ্রহ করেছে।

বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেছেন, মহামারি থেকে মুক্তি পেতে সবচেয়ে কার্যকর উপায় টিকাগ্রহণের সমঅধিকার নিশ্চিত এবং বিশ্বজুড়ে টিকাদানের হার বাড়ানো। উৎপাদকদের কাছ থেকে টিকা সংগ্রহ করে সেটা বাংলাদেশের প্রতিটি স্তরে দ্রুত পৌঁছে দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ইউনিসেফ ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটির আওতায় বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ টিকা সরবরাহের বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে, যা বিশ্বের টিকাদানের ইতিহাসে সরবরাহজনিত সবচেয়ে বড় ও সবচেয়ে জটিল কার্যক্রম।