সাদাস্রাব নিয়ে ভয়ের কিছু নেই

প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২১, ২৩:০৭

সাহস ডেস্ক

সাদাস্রাব বা লিকোরিয়া একটি প্রচলিত রোগ। নারীর জরায়ু থেকে এক ধরনের শ্বেত বর্ণের তরল স্রাব নির্গত হয়, যাকে লিকোরিয়া বলে। সংস্কৃত ভাষায় একে শ্বেতপ্রধারাও বলা হয়। এমনিতে জীবনে কমবেশি সবারই ভেজাইনা থেকে হালকা সাদাস্রাব বা লিকোরিয়া নিঃসৃত হয়। একজন নারীর মাসিক চক্র পর্যায়ের উপর নির্ভর করে যোনির স্বাভাবিক স্রাব বিভিন্ন রঙের, পরিমাণের এবং ঘনত্বের হয়।

এটি একটি স্বচ্ছ তরল, যা যোনিকে আর্দ্র এবং পিচ্ছিল রাখে, এবং যোনিতে সংক্রমণে বাধা দেয়। আর এই জায়গাটা আর্দ্র থাকলে সুস্থ থাকে। আর্দ্রতা রাখার জন্যই আল্লাহ্ প্রদত্ব বা প্রাকৃতিক ভাবে কিছু সাদাস্রাব আসে। একজন নারীর বয়ঃসন্ধিকাল থেকে মেনোপোজ পর্যন্ত প্রাপ্তবয়স্ক জীবনে হরমোনের মাত্রার তারতম্যের কারণে লিউকোরিয়া হয়।

নারীদের মাসিক যেটা হয়, সেটা মাসের প্রথমদিন থেকে শুরু করে পরবর্তী মাসের আগ পর্যন্ত তার মানসিক যে পরিবর্তন হয়, তার সঙ্গে সঙ্গে সাদাস্রাবের পরিমাণ, কোয়ালিটি বা ধরনেরও পরিবর্তন হয়। সেই হিসেবে এক এক সময় এক এক ধরনের সাদাস্রাব হয়। সুতরাং লিউকোরিয়া নারীদের একটি স্বাভাবিক অবস্থা। কাজেই এর চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না।

কিন্তু কারোর অত্যধিক বা অস্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত লিউকোরিয়ার চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। যেটার কারণে তার প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় সমস্যা সৃষ্টি করছে। এরকম যদি হয় তাহলে এটার ব্যাপারে চিকিৎসকদের সাধারণ কিছু বিষয় জানার থাকে- এটা কোন খারাপ বার্তা দিচ্ছে কিনা, রংটা কেমন, ধরনটা কেমন (তরলের পরিমাণটা), ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ ও প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয় কিনা? এই প্রশ্নের উত্তরের উপরে চিকিৎসকরা চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।

উল্লেখিত ঘটনা গুলো না থাকলে লিউকোরিয়া নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নাই। এটাই স্বাভাবিক। তবে প্রতিটা জিন সকলের তো একুই রকম না। স্বাভাবিক মাত্রার মধ্যে কমবেশি হতে পারে। এটা নিয়ে ভয়ের কিছু নাই।

সূত্র: ডক্টর টিভি

সাহস২৪.কম/এমআর

 
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত