আরও ২১২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৩৮৬২

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৪৬৭ জনে। একই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৮৬২ জন। সব মিলিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ৪০ হাজার ১১৫ জনে।

শুক্রবার (৩০ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৩ হাজার ৯৭৫ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১০ লাখ ৬৪ হাজার ১৯৫ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২১২ জনের মধ্যে পুরুষ ১১৯ জন ও ৯৩ জন নারী। তাদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, নব্বইর্ধ্বো ৬ জন, আশির্ধ্বো ১১ জন, সত্তরর্ধ্বো ৩২ জন, ষাটর্ধ্বো ৬৯ জন, পঞ্চাশর্ধ্বো ৪৮ জন, চল্লিশর্ধ্বো ২৫ জন, ত্রিশর্ধ্বো ১৫ জন, বিশর্ধ্বো ৫ জন এবং দশর্ধ্বো ১ জন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ২০২ জন, বাড়িতে ৯ জন এবং হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয় আরও একজনকে।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারা গেছে ঢাকা বিভাগে ৬৫ জন, এরপর চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৩ জন, খুলনা বিভাগে ৩৬ জন, সিলেট বিভাগে ১৭ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৩ জন, বরিশাল বিভাগে ১১ জন, রংপুর বিভাগে ৯ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৮ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৬৪৮টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩২টি, জিন এক্সপার্ট ৫২টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৪৬৪টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৪৮ হাজার ৫৪৮টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৫ হাজার ৪৪টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭৭ লাখ ৯ হাজার ৯১৪টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ৭৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৮১ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন চার হাজার ৬৪৬ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন তিন হাজার ৩৫৫ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন দুই লাখ ৯০ হাজার ৭৫৪ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন দুই লাখ সাত হাজার ৬০৪ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৮৩ হাজার ১৫০ জন।