টিকার ফল পাওয়া যাবে ২৫ নভেম্বর

প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০২০, ১৭:৫৩

সাহস ডেস্ক

বিশ্বজুড়ে ৩০টির বেশি টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। এর মধ্যে কয়েকটি টিকা পরীক্ষার তৃতীয় বা চূড়ান্ত ধাপে রয়েছে। বিশ্বেজুড়ে টিকা পরীক্ষায় তৃতীয় ধাপে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের মডার্নার টিকাটি নিয়ে আলোচনা চলছে।

মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন জৈবপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি ২৫ নভেম্বরের পর তাদের টিকার জরুরি ব্যবহারের জন্য মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) কাছে অনুমোদন চাইবে।

অনুমোদন পাওয়ার আগে মডার্নার ‘এমআরএনএ-১২৭৩’ টিকাটি যথেষ্ট নিরাপদ হিসেবে প্রমাণিত হতে হবে। এফডিএর কাছ থেকে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমতি পেলে তা স্বাস্থ্যের জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহার করা যায়।

মডার্নার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিফেন ব্যানসেল বলেছেন, ‘২৫ নভেম্বর সেই দিন, যেদিন আমাদের হাতে করোনার টিকা সম্পর্কিত যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ থাকবে। তখন আমরা টিকাটির জরুরি ব্যবহারের জন্য আবেদন করতে পারব।’

ব্যানসেল অবশ্য বলেছেন, তাদের টিকাটির অনুমোদন পাওয়ার বিষয়টি আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকের শেষভাগ বা দ্বিতীয় প্রান্তিকের প্রথম ভাগের আগে আশা করছেন না। এফডিএর নীতিমালা অনুযায়ী, টিকা ব্যবহারের জরুরি অনুমোদন পেতে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া কমপক্ষে অর্ধেক স্বেচ্ছাসেবীকে সর্বশেষ টিকা দেওয়ার পর থেকে দুই মাস পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

ব্যানসেল বলেন, ‘আমরা টিকা সম্পর্কে যা জানতে পারব তার ওপর ভিত্তি করে প্রথম প্রান্তিকের শেষ দিকে বা দ্বিতীয় প্রান্তিকের প্রথম দিকে অনুমোদনের বিষয়টি গ্রহণযোগ্য সময় হতে পারে।’

টিকাটির প্রাথমিক পর্যায়ের পরীক্ষা হিসেবে প্রথম ধাপে বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে সহনশীল ও প্রতিরোধী সক্ষমতা দেখাতে পেরেছে। গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে ‘নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন’ সাময়িকীতে।

মডার্নার প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ট্যাল জ্যাকস বলেছেন, গবেষণার প্রথম ধাপে যে তথ্য পাওয়া গেছে তাতে টিকাটি বয়স্ক লোকদের ক্ষেত্রে কার্যকর হতে পারে বলে আশা দেখাচ্ছে। তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় এটি পর্যালোচনা করা যাবে।

মডার্নার টিকা পরীক্ষায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। মডার্নার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তাদের টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মৃদু থেকে মাঝারি। মডার্না এখন পর্যন্ত ১৫ থেকে ৩০ হাজার অংশগ্রহণকারীকে টিকা দিয়েছে এবং তাদের টিকা পরীক্ষার মাঝামাঝি পর্যায়ে রয়েছে।

ব্যানসেল স্বীকার করেছেন, তাদের চেয়ে টিকা পরীক্ষায় কিছুটা এগিয়ে রয়েছে ফাইজার। তারা দুই ধাপের টিকা পরীক্ষার মধ্যে অল্প কিছুদিন বিরতি দেওয়ায় এ সুবিধা পেয়েছে। মার্কিন টিকা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ফাইজার টিকা পরীক্ষার চূড়ান্ত ধাপে রয়েছে।

এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ প্রতিরোধে কোনো টিকা বা অ্যান্টিভাইরাস চিকিৎসা অনুমোদন পায়নি। বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণে ১০ লাখের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত