আপনি কী ডিপ্রেশনে ভুগছেন? জেনে রাখুন কিছু বিষয়

প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০১৯, ১৪:০৭

সাহস ডেস্ক

মন খারাপ, এই শব্দ দুটো ঘুরে ফিরে দিনে বেশ কয়েকবার আমরা বলে থাকি। কখনো নিজেই নিজেকে বলি আবার কখনো অন্যকে। ঠিক কী কারণে মন খারাপ হয় তা নির্ধারণ করা কঠিন। প্রত্যেকের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি, পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির মতো আরও অনেক কারণের ওপর ব্যপারটা নির্ভর করে। প্রিয় বন্ধুর ফোন বা কফিশপে আড্ডার মধ্যে সেই মন খারাপের রেশ আবার কেটেও যায়। এরকম মন খারাপ আমাদের সবার হয়। মন খারাপ মানেই কিন্তু ডিপ্রেশন নয়। মন খারাপ দীর্ঘস্থায়ী হলে ও তার সঙ্গে আরও বিশেষ কয়েকটি লক্ষণ একসঙ্গে দেখা গেলে তখন তা ডিপ্রেশনের পর্যায়ে পড়ে। মন খারাপ কখন ডিপ্রেশন হয়ে দাঁড়ায় সবার আগে তা জানা জরুরী।
 
মন খারাপ ও ডিপ্রেশন
ডিপ্রেশন সাধারণত ৩ রকম ভাবে দেখা যায় – মাইল্ড, মডারেট ও সিভিয়ার। ডিপ্রেশনের লক্ষণগুলো অবজার্ভ করে ডিপ্রেশনের লেভেল স্থির করা যায়। প্রথমে তাই জানা দরকার মন খারাপের সাথে কোন লক্ষণগুলো যুক্ত হলে সেটা ডিপ্রেশনের পর্যায়ে পড়ে।
 
১। দুই সপ্তাহ টানা ডিপ্রেসড মুডে থাকা
২। কোনও কিছুতে উৎসাহ না পাওয়া
৩। ক্লান্তিভাব, এনার্জি লেভেল কমে যাওয়া
৪। আত্মবিশ্বাসের অভাব, লো সেলফ এস্টিম
৫। এ নিজের মধ্যে অপরাধ বোধ
৬। ঘন ঘন মৃত্যু বা আত্মহত্যার চিন্তা হওয়া
৭। মনোযোগের অভাব/ সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধে
৮। উত্তেজিত হয়ে পড়া, চারপাশের জগৎ হতে নিজেকে সরিয়ে রাখা
৯। ঘুমে ব্যঘাত ঘটা, অতিরিক্ত ঘুম বা কম ঘুম
১০। খিদে কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়া, সঙ্গে ওজন বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া
 
মাইল্ড ডিপ্রেশনে এর মধ্যে অন্তত ৪ টি লক্ষণ দেখা যায়। মডারেট ডিপ্রেশনে অন্তত ৬ টি লক্ষণ দেখা যায়। আর সিভিয়ার ডিপ্রশনের ক্ষেত্রে ৮ টি লক্ষণ দেখা যায়। সব লেভেলেই লক্ষণগুলোর মধ্যে টানা ডিপ্রেসড মুড, উৎসাহের অভাব বা ক্লান্তিভাব অবশ্যই থাকবে।
 
মুড ভাল রাখার কয়েকটি উপায়
১। ব্যক্তিগত সম্পর্কের জটিলতা, অফিসের টেনশন- সব কিছু আমাদের মানসিকভাবে খুব ক্লান্ত করে দেয়। এই বিরক্তি কাটাতে নিয়মিত ব্রিদিং এক্সারসাইজ অনেক উপকার করতে পারে।
 
২। পরিবারের থেকে দূরে একা রয়েছেন। বন্ধুকে বা বাড়িতে ফোন করুন। যাদের কম্পিউটারে ইন্টারনেট ফেসিলিটি রয়েছে, তারা ভয়েস চেটের সাহায্য নিন। তবে সবচেয়ে ভাল যদি চিঠি লিখতে পারেন।
 
৩। শুধু ঝকঝক, পরিপাটি থাকার জন্য নয়, নিজেকে একটু প্যাম্পার করার জন্যে বিউটি পার্লারে যেতে পারেন। নিজেকে ঝরঝরে ফ্রেশ লাগবে।
 
৪। রাগ বা টেনশন মাত্রাছাড়া হয়ে যাচ্ছে, তৎক্ষণাৎ সাহায্য নিন মিউজিকের। মন খারাপ, স্ট্রেস, অ্যাংজাইটি কাটানোর জন্যে মিউজিকের ওপর নির্ভর করে দেখুন।
 
৫। দৈনন্দিন জীবনে কোন নেগেটিভ ঘটনা ঘটলে, আমরা বারবার সেই ব্যপারটাই ভেবে যাই। এই নেগেটিভ বিষয়গুলো আমাদের মনে একটা নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি মনে গেঁথে দেয়। সেই জন্য যদি অপছন্দের কিছু ঘটেও থাকে, তা হলে আপনার প্রথম কাজ হবে তার নেতিবাচক দিকটি মন থেকে পুরোপুরি বের করে দেওয়া।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত