কর্মস্থলে না থেকেও বেতন নিচ্ছেন ইউনিয়ন চিকিৎসকরা

প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০১৯, ১২:৫৫

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের স্বাস্থ্য সেবা দিতে একজন মেডিকেল অফিসারও নেই। সব কয়টি পদই শূণ্য। ঢিলেঢালা ভাবে উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার (ডিএমএফ) দিয়ে চলছে বড়খেরী ও চর আলগী ইউনিয়নের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম।

সরেজমিনে চর রমিজ ইউনিয়ন ও চর বাদাম ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে গেলে দেখা যায় আরেক চিত্র। উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার (ডিএমএফ) পদটি থাকা সত্বেও দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্বে অবহেলার কারণে নূন্যতম স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছেন না ওই ইউনিয়নের খেটেখাওয়া মানুষগুলো।

চর রমিজ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার (ডিএমএফ) রাসেল আমিন বাবু এবং চর বাদাম ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার (ডিএমএফ) সোহরাব হোসেন সুজন কর্মস্থলে না এসে মাসে দুই-একদিন নামমাত্র উপস্থিত হয়ে বেতন-ভাতা তুলছেন। কয়েক বছর ধরে এভাবে দায়িত্বে অবহেলা করে আসছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। 

এলাকাবাসী জানান, কর্তব্যরত চিকিৎসক রাসেল আমিন বাবু ও সোহরাব হোসেন সুজনের দায়িত্বে অবহেলার কারণে সাধারণ রোগীরা কষ্ট করবে এটা কেমন কথা?  

চরগাজী স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ও সেকমো পদটি শুন্য থাকায় চিকিৎসা সেবা বঞ্ছিত হচ্ছেন চরগাজী ইউনিয়নের ৪২,৮৯০ জন মানুষ। এছাড়া ন্যূনতম স্বাস্থ্য সেবাও পাচ্ছে না চর রমিজ ইউনিয়নের ৪২,৭৩৯ জন, চর বাদাম ইউনিয়নের ২১,২৬৬ জন মানুষ।

এদিকে রামগতি ৩১ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা: আবিদা সুলতানা কর্মস্থলে না এসে বেতন-ভাতা তুলছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। গত ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল অত্র কমপ্লেক্সে নিয়োগের পর দুই-তিন এসেছিলেন বলে জানা গেছে। এই বিষয়ে রামগতি ৩১ শয্যা হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আবদুর রহিম বলেন, মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষে এখন পর্যন্ত দায়িত্বে অবহেলা করায় তাকে শোকজ করলেও এখনো কোন জবাব পাইনি।

উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো: বেলাল হোসেন জানান, চর রমিজ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার (ডিএমএফ) রাসেল আমিন বাবু এবং চর বাদাম ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার (ডিএমএফ) সোহরাব হোসেন সুজন কর্মস্থলে সব সময় না থাকলেও মাসিক মিটিংগুলোতে উপস্থিত থাকেন।

দুই সেকমো’র দায়িত্বে অবহেলার বিষয়ে জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ডা: আশফাকুর রহমান মামুন বলেন, বহুবার তাদের শোকজ করা হয়েছে। কয়েকবার তাদের বেতন বন্ধ করা হয়েছিল, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। 

সাহস২৪.কম/রিয়াজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত