‘অশনি’ সাধারণ ঘূর্ণিঝড় হয়ে অন্ধ্র উপকুলে, আরও দু’দিন বৃষ্টি

প্রকাশ : ১১ মে ২০২২, ১৩:২৬

সাহস ডেস্ক

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ শক্তি হারিয়ে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এটি বাংলাদেশের উপকূল থেকে দূরত্ব বাড়ছে। এখন ভারতের অন্ধ্র উপকূলে অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড়টি আরও দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আরও জানিয়েছে, এর প্রভাবে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আরও দুদিন বৃষ্টি হতে পারে।

বুধবার (১১ মে) সকাল ছয়টায় ঘূর্ণিঝড় ‘অশিনি’র অবস্থান ছিল ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে। অবশ্য ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় দুদিন ধরেই বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস, এমন বৃষ্টিপাত চলতে পারে আরও দুদিন।

ঘূর্ণিঝড়-সংক্রান্ত ১৬তম বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি বুধবার (১১ মে) সকাল ছয়টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-পশ্চিম বা উত্তর দিকে এগিয়ে ও দুর্বল হয়ে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গভীর নিম্নচাপে পরিণত পারে।

বাংলাদেশের উপকূল থেকে ঘূর্ণিঝড়টির দূরত্ব বাড়ছে। মঙ্গলবার (১০ মে) সকাল ছয়টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল ‘অশনি’।

বুধবার আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর মধ্যে সিলেটে ১১৯, টাঙ্গাইলে ৫৭, ঢাকায় ৩৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। আজও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টিপাত হবে। এটি চলবে আগামী দুদিন।

বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। এটি দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে থাকা সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁদের গভীর সাগরে যেতে না করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত