পঞ্চগড়ে বিপন্ন প্রজাতির গন্ধগোকুলের ৩ ছানা উদ্ধার

প্রকাশ | ২০ মে ২০২১, ১২:১৮ | আপডেট: ২০ মে ২০২১, ১২:৩৬

অনলাইন ডেস্ক

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় বাংলাদেশে সংরক্ষিত বিপন্ন প্রজাতির ৩ গন্ধগোকুলের ছানা উদ্ধার করা হয়েছে।

১৯ মে (বুধবার) উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের ব্রহ্মতোলি গ্রামে মরিচ ক্ষেত থেকে গন্ধগোকুলের তিন ছানা উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেলে ওই এলাকার  স্থানীয় নুর আলমের মরিচ ক্ষেতে মরিচ তুলছিলেন কয়েকজন নারী। মরিচ তোলার একপর্যায়ে ক্ষেতের মাঝখানে একটি গর্তে গন্ধগোকুল দেখতে পান তারা। মানুষের উপস্থিতি টের পেয়ে মা গন্ধগোকুলটি একটি ছানা নিয়ে পালিয়ে যায়। 

গর্তে থাকা বাকি ৩টি ছানা খাদ্য সংকটে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। পরে  নুর আলম ছানা ৩টিকে উদ্ধার করে বাড়ি এনে তাদের খাবারের ব্যবস্থা করেন।  এ খবর ছড়িয়ে পড়লে গন্ধগোকুলের ছানা দেখতে ভিড় জমায় স্থানীয়রা।

বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, ‘গন্ধগোকুল নিশাচর প্রাণী। খাটাশের বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে এরাই মানুষের কাছাকাছি থাকে। মূলত ফলখেকো হলেও ছোট প্রাণী এবং তাল-খেজুরের রস খায়। এরা ইঁদুর ও ফসলের ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে কৃষকের উপকার করে থাকে। এই প্রজাতিটি বাংলাদেশে সংরক্ষিত।  

গন্ধগোকুল আত্মরক্ষার্থে নিজের শরীর থেকে একটি সুঘ্রাণ ছেড়ে দেয়। এজন্য এ প্রাণীর নাম গন্ধগোকুল। বর্তমানে বনজঙ্গল কমে যাওয়ায় খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে চলে আসে। উদ্ধার হওয়া গন্ধগোকুলটি বিপন্ন প্রজাতির।’

নুর আলম সিদ্দিক গণমাধ্যমকে বলেন, ছানা ৩টি খাদ্য সংকটে হয়তো অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। নড়াচড়া করতে পারছিল না। আমি তাদের বাড়িতে এনে খাবার দেই। এখন তারা পুরোপুরি সুস্থ। বনবিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। তাদের পরামর্শ নিয়ে ছানা তিনটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।

পঞ্চগড় বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা সুলতানুল ইসলাম  বলেন, ‘ওই তিন ছানাকে কি করা যায় সে বিষয়ে ডিএফওর সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।’ 
 
দিনাজপুর বন বিভাগের কর্মকর্তা (ডিএফও) বশিরুল আল মামুন বলেন, উদ্ধার হওয়া গন্ধগোকুলটি বিপন্ন প্রজাতির। বিষয়টির ব্যবস্থা নিতে পঞ্চগড়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে