‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কেটে উন্নয়ন বন্ধ কর’

প্রকাশ : ০৬ মে ২০২১, ১৬:২৫

সাহস ডেস্ক

‘ঢাকাস্থ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ (৩য় পর্যায়)’ শীর্ষক মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে গাছ কেটে রেস্তোরাঁ, হাঁটার পথ নির্মাণের প্রতিবাদ জানিয়ে ০৬ মে (বৃহস্পতিবার) গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ‘পরিবেশ বীক্ষণ’।

সালমান রাহাতের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর নির্বাহী সহ-সভাপতি ডা. আবদুল মতিন, আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক, সুমাইয়া সেতু, পরিবেশ বীক্ষণ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্য, আসমানী আশা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সারাদেশে গাছের তথা বনাঞ্চলের পরিমান দিন দিন কমছে, যেখানে একটি ভূখণ্ডের ২৫% বনাঞ্চল থাকার কথা সেখানে তা কমে গিয়েছে। দ্য স্টেট অব গ্লোবাল ফরেস্ট-২০১৮ বলেছে, বাংলাদেশের মোট ভূখণ্ডের সাড়ে ১৩ শতাংশ বনভূমি। অপরদিকে মন্ত্রণালয়ের দাবি, দেশের মোট আয়তনের ১৭ শতাংশ বনভূমি। কারণে-অকারণে আজ বনভূমি উজাড় করা হচ্ছে। ঢাকা শহরে সেই বনভূমির পরিমাণ আরও কম। বসবাসের অযোগ্য শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাছ কাটার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সুমাইয়া সেতু বলেন, ঢাকা শহরে আজ মানুষ অক্সিজেনের অভাবে ভুগছে। অক্সিজেনের বদলে কার্বন ডাই-অক্সাইড অতিদ্রুত মাত্রায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমতাবস্থায় যে কয়েকটি উদ্যান টিকে আছে, যার উপর আজ পৈশাচিক থাবা পড়ছে। আমরা এই সকল থাবাকে মোকাবেলা করে পরিবেশ রক্ষা করব। 

বিক্ষোভ সমাবেশের সভাপতির বক্তব্যে ‘পরিবেশ বীক্ষণ’ এর অন্যতম সংগঠক প্রিতম ফকির বলেন, গাছ বাঁচলেই আমি-আপনি বাঁচব। গাছ অক্সিজেন দিবে, দালান না। উন্নয়ন মানে পরিবেশ ধ্বংস করে দালান, রেস্তোরা নির্মাণ করা না। প্রকৃতি কাউকে ছেড়ে কথা বলে না, প্রকৃতি ধ্বংস করবেন না।

বেঁচে থাকার জন্য সুস্থ-সুন্দর পরিবেশ গড়ার অঙ্গীকার জ্ঞাপন করে সমাবেশ শেষ করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত