ঘুঘু পাখির ঘর নিরাপত্তায় পুলিশি প্রহরা!

প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০২১, ১৪:৩৭

সাহস ডেস্ক
নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের রেলওয়ে অফিসার্স কলোনিতে পুলিশ সুপার সিদ্দিকি তাঞ্জিলুর রহমানের বাসভবন। ভবনের পুরো প্রাঙ্গণজুড়ে মনোরম লিচু বাগানে ৩০টি ঘুঘু পাখি বাসা বেঁধেছে।   
 
প্রকৃতির অন্য বন্যপ্রাণী ঘুঘু পাখির ডিম নষ্ট করতে পারে এমন আসংঙ্কায়  ঘুঘুর বাসায় বসানো হয়েছে পুলিশি প্রহরা।
 
গণমাধ্যমের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য মতে, ভবনের সামনে গোলঘর, গেট, লিচু বাগান, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের কুলারের সবখানে বাসা বেঁধেছে ঘুঘু পাখি। কিছু দিনের মধ্যে এসব পাখির ডিম দেওয়া শেষ হবে। দু একটি বাসায় তা দেওয়া শুরু করেছে মা ঘুঘু।
 
গাছের পরিচর্যায় সর্বদা ব্যস্ত থাকা পুলিশ সুপার তাঞ্জিলুর রহমান বলেন, 'ভবনের ৩০টি স্থানে ঘুঘু পাখি বাসা বেঁধেছে। এ কারণে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে এসি ছাড়ছি না। পাখিগুলো যাতে নিরাপদে ডিম পাড়তে পারে, সেজন্য সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছি। কলোনিতে অভিযোগ নিয়ে আসা দর্শনার্থীদের সঙ্গে গোলঘরে বসাও যাচ্ছে না। কেউ উচ্চস্বরে কথা বলছে না।' 
 
বন্যপ্রাণী প্রেমী পুলিশ সুপার বলেন, 'ছেলেবেলায় এয়ারগান দিয়ে কত পাখি মেরেছি। অথচ এখন দেখুন পাখিদের জন্য মায়া হচ্ছে। ওদের নিরাপত্তার কথা ভেবে পরিবারসহ কষ্ট করছি।'
 
সিদ্দিকি তাঞ্জিলুর রহমান বলেন, ঘুঘু পাখির চরম শক্র হচ্ছে তালুয়া পাখি। ওই পাখি যাতে ঘুঘুর ডিম খেয়ে না ফেলে, সেজন্য বাসভবনে পুলিশ পাহারা বসিয়েছি। পালাক্রমে বিরামহীন খোঁজ রাখছেন তারা। আমি নিজেও এ নিয়ে তদারকি করছি। প্রচণ্ড গরমে কষ্ট পাচ্ছি, তাতে কী! আমার বাসভবন এখন ঘুঘু পাখির অভয়ারণ্য। এটা কি আনন্দের নয়? পরিবেশ রক্ষায় কাজ করে এসব পাখি। তাই এদের রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।
 
পাখি ও পরিবেশবাদী সংগঠন সেতুবন্ধনের সভাপতি আলমগীর হোসেন বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত আমরা সার্বিকভাবে এসপি মহোদয়কে এ বিষয়ে সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক।

 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত